আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রামাদান ইন গাযা

:)
গাযার মার্কেট গুলো রামাদানের শুরুতেও দেখা গিয়েছে , বিক্রেতা জোর করছে ক্রেতাকে জিনিশ পত্র কিনতে ! বাযারে পন্যের আধিক্য ও নেই! দোকানে জিনিশ পত্র সাজিয়ে রাখার শেলফ , টেবিল কেনাও বেশির ভাগ দোকানীর পক্ষে অসম্ভব ! অল্প সংখ্যকের পক্ষে হয়তো সেটা এফোর্ট করা সম্ভব হয় । রামাদান এর আগমন ও গাযাবাসীকে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে উদ্ভুদ্ধ করেনি এতোটুকু ! কারন তো একটাই! অব্যাহত ইসরাইলি আগ্রাসন আর গাযার বর্ডার ব্লক করে রাখার ফলে গাযায় দারিদ্রতার চরম উর্ধগতি ! দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি " ইযরাইলের গাযা স্ট্রিপ কর্ডন করে রাখার জন্য আর সেই সাথে কৃষকদের কাছ থেকে অত্যাধিক হারে খাজনা আদায়ের জন্য এবছর সবজি আর ফলের দাম বেড়ে গিয়েছে অনেক! ব্লকড অবস্থায় এটা তৃতীয় রামাদান হলেও আগের বছরগুলোর তুলনায় এবছর সেল কমে গিয়েছে প্রায় ৬০% " - একটা সবজির দোকানের মালিক আবু হাসানের কথা। "রামাদান সত্বেও মার্কেট গুলোতে দোকান মালিকদের ব্যাবসা প্রায় কলাপ্স করেছে, এখন বাজারে গোশতের দাম আগের বছরের তুলনায় তিনগুন! এর কারন , দখলদার ইযরাইলীরা বর্ডার দিয়ে মাংশ আনা নেওয়ার অনুমতি দেয়না "- এক কসাই খানার মালিক আবু আলম এসব বললেন । বর্ডার দিয়ে কি আসবে , না আসবে , টানেল দিয়ে কি যাওয়া আসা করবে , তার উপর ইসরাঈলী বাহিনীর কঠোর খবরদারী আর নিষেধাজ্ঞার কারনে গাযায় সৃষ্টি হয়েছে পন্য সংকট। সেই অল্প জিনিশ আনাতেও ব্যাপক খরচ।

কোন ইনভেস্টমেন্ট না থাকায় , কাঁচামাল না থাকায় সৃষ্টি হচ্ছেনা কর্মসংস্থানের। অতঃপর ক্রেতার অভাব। বিক্রেতার বিক্রি নেই। আয় নেই। আর্থিক সংকট ক্রমান্বয়ে বিশাল আকার ধারণ করেছে! এভাবে চলতে থাকলে এতে অবাক হবারো কিছু থাকবেনা যদি একদিন কোন কাস্টোমার খুঁজে না পাওয়া যায়! জীবন যাপন বড় কঠিন হয়ে গিয়েছে আজ সেখানে! এতো মুল্যবৃদ্ধি , নিম্ন আয় , আর বেকারত্বের এই হার আগে কখনোই সেখা যায়নি এত্তো ব্যাপক ভাবে! কোনমতে জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য টাও আর কিনতে পারছেনা গাযান রা! ভোগান্তি পৌছেছে শেষ সীমায়।

পরিবার প্রধানদের দুশ্চিন্তা , কিভাবে অনাগত দিনগুলো কাটবে ! দু মুঠো অন্য সংস্থানের জন্য গাযাবাসীকে নামতে হয়েছে আরেক যুদ্ধে ,ক্ষুধা আর দারিদ্রের বিরুদ্ধে । হানাদার ইযরাঈলী বাহিনীর কঠিন ব্যারিকেটের কারনে গাযা স্ট্রিপ অর্থনৈতিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে সম্পূর্ণ! International Committee of the Red Cross এর মতে , "the economic collapse in the Gaza Strip is as a result of the Israeli siege, which has led the unemployment rate to increase by 44% since April 2009. This is a huge increase in the percentage of poverty, with 70% of the population living in poverty and on 30 dollars a month. " এই স্বল্প আয়ে ব্যাপক মূল্য বৃদ্ধিতে কোনঠাসা এখন গাযার যুদ্ধ ক্ষতিগ্রস্থ আর সব সময়ে ইসরাঈলী হামলার ভয়ে থাকা মানুষ গুলো! ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতে ওরা ভুলেই গেছে। এই রামাদান তাই গাযাবাসীর কেটেছে অব্যাহত দ্রব্যসংকট , ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি , আয়ের নিম্নগতি ,পাহারসম বেকারত্ব আর এসব কষ্টের সাথে সংগ্রাম করে। আর সব কিছু ছাড়িয়েতো আছেই দখলদার ইসরাঈলী বাহিনীর যখন তখন অপহরণ , হত্যা ,পন্য আটকে দেয়া ...... কষ্ট করতে করতে , মৃত্যুর প্রহর গুনতে গুনতেই কেটে যাবে এবছরের ঈদটাও! ( প্যালেস্টাইন টেলিগ্রাফ অবলম্বনে )
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.