সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,
এক গরিব লোকের ঘরে চোর এসে আতিপাতি করে খুঁজে, নিয়ে যাওয়ার মতো কিছুই পেল না। হতাশ হয়ে চোর যখন চলে যাচ্ছে-
লোক : (শুয়ে শুয়ে) দরজাটা বন্ধ করে যেও।
চোর : (দীর্ঘশ্বাস ফেলে) দরজা খোলা থাকলেও সমস্যা নেই। আপনার ঘরে কেউ ঢুকবে না।
ভাড়াটে স্বাক্ষীকে টাকার লোভ দেখিয়ে তার কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।
চুরির মামলা।
বিবাদী পক্ষের জাঁদরেল উকিল জানতে চাইলেনঃ তুমি কি চুরি হতে দেখেছো?
--দেখেছি মানে, আমার সামনেই তো চুরি হলো।
-- তা সেটা কতো বড়ো ছিলো?
থতমত খেলো ভাড়াটে স্বাক্ষী, কি চুরি হয়েছে, তা জানা হয়নি। তবে সে পেশাদার। তাই ভড়কে না গিয়ে বাম হাতটা উঁচু
করে ধরলো।
উকিল রেগে গিয়ে বললেন--চুরি হয়েছে দেশী ছাগল আর তুমি দেখাচ্ছো অস্ট্রেলিয়ান গরুর সাইজ।
ভাড়াটে স্বাক্ষী হেসে বললো--সবে তো একটা হাত তুলেছি, এখন অন্য হাতটা কোথায় রাখি দেখুন, তবে তো বুঝবেন।
অতিথী
সেই যে বাড়ীতে এক অথিতি এসেছে। এক সপ্তাহ যায় দু সপ্তাহ যায় তবু নড়বার কোন লক্ষণ নেই। স্বামী-স্ত্রী কেউ কিছু বলতে পারে না লজ্জায় ।
একদিন পাশের ঘরে অথিতিকে শুনিয়ে দুজন খুব ঝগড়া করতে লাগলো, মিছামিছি। স্ত্রীকে স্বামীর প্রহার এবং স্ত্রীর কান্নায় আওয়াজও শোনা গেল এক পর্যায়ে। গতিক সুবিধের নয় ভেবে অথিতি ভদ্রলোক তার সুটকেস নিয়ে এক ফাকে বেরিয়ে গেল। জানালা দিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনায় তা দেখে ঝগড়া বন্ধ করে খুব এক চোট হেসে নিল- যে বুদ্ধি করে তারা অথিতি তাড়াতে পেরেছে। স্বামী বললো তোমার লাগে টাগে নিতো? যে জোরে কাঁদছিলে।
স্ত্রী বললো দূর একটুও লাগেনি। এ তো লোক দেখানো কেঁদেছিলাম । হাসিমুখে এক সময় অথিতির আর্বিভাব, হেঁ, হেঁ আমিও কিন্তু লোক দেখানো গিয়েছিলাম ।
অনেক দিন পর বাড়িতে একজন মেহমান এসেছে। মেহমান দেখে বাড়ির মালিক বললেন, তা কেমন আছেন, অনেক দিন পর এলেন, আজ তো আর থাকবেন না, আবার কবে আসবেন?
মেহমান : অনেক দিন পর এলাম, যেতে তো আর দিবেন না, লুঙিটা দিন গোসলটা সেরেই আসি।
এক তরুণী চাকরিজীবী, রোজ অফিসে বেশ দেরি করে আসেন। অফিসের বস, এই ঘটনা জেনে অনেক বার ওই তরুণীকে শাসিয়েছেন। অথচঃ আজও সে দু�ঘণ্টা দেরি করে অফিসে এসেছে!
বস : আচ্ছা, আজও দেরি হল কেন?
তরুণী : কি করব স্যার, রাস্তায় এক বখাটে ছেলে পিছু নিয়েছিল!
বস : বলে কী! তাহলে তো দ্রুত হেঁটে আরও এক ঘণ্টা আগে অফিসে পৌঁছানোর কথা, দেরি হল কেন?
তরুণী : আর বলবেন না, ছেলেটা এত আস্তে হাঁটে!
ম্যানেজারঃ তুমি নাকি আলমিরার চাবি আবারও হারিয়েছ?
কেরানিঃ জ্বী স্যার।
ম্যানেজারঃ আগে একটা হারিয়েছিলে তাই এবার তালার সঙ্গে দুটো চাবিই তোমাকে দিয়েছিলাম ।
কেরানিঃ দুটোই হারাই নি স্যার ! একটা মাত্র হারিয়েছি ।
ম্যানেজারঃ তাহলে অন্যটা কোথায় ?
কেরানিঃ হারিয়ে যাবার ভয়ে আগে থেকেই সাবধান ছিলাম। তাই ওটা আলমিররার মধ্যেই সংরক্ষণ করে রেখেছিলাম ।
উকিল
উকিলঃ সেকি ম্যাডাম ? আপনার স্বামী তো পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন । তাহলে চার বছরের আর একটি দুই বছরের বাচ্চা এলো কোথা থেকে ?
ভদ্রমহিলা রাগের স্বরেঃ তা আমি তো বেঁচে আছি না কি?
(সংগ্রহ)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।