আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কি দিয়ে ইফতারী করবেন?



রমজানে স্বাস্থ্য নিয়ে অনেকেরই অনেক ধকল পোহাতে হয়। সামান্য কিছু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করলেই এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যেসব কারণে রমজানে অনেকেরই বিভিন্ন ধরনের শারিরীক অসুবিধা দেখা দিতে পারে সেগুলো হল- - বদহজমঃ বদহজম হতে পারে অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহনে অথবা ফ্রাইড,তেল জাতীয় খাবার মাত্রাতিরিক্ত গ্রহন করলে। - কোষ্ঠকাঠিন্যঃ ডায়েটে যদি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার না থাকে কিংবা সব্জি, ফলমুল, পানি বেশি পরিমান না গ্রহনে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। - মাথা ব্যাথাঃ মাথা ব্যাথা হতে পারে যদি পরিমিত ঘুম না হয় এবং অতিরিক্ত শারিরিক পরিশ্রম হয়।

- লিথার্জিঃ হঠাৎ অতিরক্ত শর্করা বা তেল জাতীয় খাবার গ্রহনে রক্তচাপ অনেক নেমে যেতে পারে যা লিথার্জি ডেকে আনতে পারে। - মাংসপেশিতে ব্যাথা বা খিচুনিঃ ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম বা পটাশিয়াম এর অভাবে এরকম হতে পারে। দুগ্ধজাতীয় খাবার,ফুলকপি,গাজর,বাদাম,বৃক্ক ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমান ক্যালসিয়াম পাওয়া যাবে। বাদামী চাল,ফুলকপি,ডিমের কুসুম,বাদাম,কলা,আপেল খেজুর,গাজর ইত্যাদি খাবারে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যাবে। পনির,আপেল,তরমুজ,বরই,আনারস,মুরগি,চীনাবাদাম,সামুদ্রিক মাছ,বাধা কপি,শশা,মরিচ এ প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম পাওয়া যাবে।

- অনিদ্রাঃ পরিমিত ঘুম প্রয়োজন আমাদের স্বাস্থ্য সঠিক রাখতে। পরিমিত ঘুম না হলে মাথা ব্যাথা,হজমে সমস্যা হতে পারে। আর তাছাড়া খাবার পর পরই ঘুমালে হজমে সমস্যা হবে। তাই ঘুমানোর অন্তত ১-১/২ ঘন্টা আগে খাবার গ্রহন করা উচিৎ। রমজানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হল ইফতারি।

ইফতারিতে সতর্ক থাকতে হবে যেন সারাদিনের না খাওয়ার পর হঠাৎ এমন কিছু না গ্রহন করা হয় যাতে হজমে সমস্যা হতে পারে। রমজানের অনেক উপকারিতার মধ্যে কিছু হল ক্ষতিকর কোলেস্টেরল লেভেল কমে যাওয়া,ত্বকের উন্নতি। ইফতারিতে আমাদের কি প্রাধান্য দেওয়া উচিৎ? আমাদের শরীরের যেহেতু অধিকাংশই পানি তাই ইফতারিতে প্রচুর পরিমান তরল বা শরবত/জুস খাওয়া উচিৎ। সাথে সাথে হঠাৎ রক্তচাপ যেন কমে না যায় সেজন্য মিষ্টি জাতীয় খাবার বা খেজুর হতে পারে উত্তম খাবার। খেজুরে রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান।

যেমন সোডিয়াম,ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম,আয়রন,ফসফরাস,সিলিকন,ম্যাঙ্গানিজ,সালফার,কপার,ক্লোরিন ইত্যাদি। আর প্রচুর পরিমানে পটাশিয়ামও রয়েছে যা ডায়রিয়া প্রতিরোধক। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন যেমন থায়ামিন,নায়াসিন,ভিটামিন-সি,রাবোফ্লাভিন,বিটা-ক্যারোটিন ইত্যাদি। ইফতারির পরে রাতে বা সেহেরিতে আমাদের ডায়েটে প্রাধান্য দেওয়া উচিৎ দুগ্ধজাতীয় খাবার,প্রচুর পরিমান তরল,ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। এসব খাবার আমাদের পাকস্থলি এবং কিডনিকে সুষ্ঠুভাবে কাজে সাহায্য করে।

যারা ডায়াবেটিক রোগি,যাদের কিডনি সমস্যা বা নিম্নরক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের চিকিৎসকের নিকট হতে উপযুক্ত ডায়েট সংগ্রহ করা উচিৎ। লিংক

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।