আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইফতারী

sawhir@yahoo.com

রমজান মাসে একটা পোষ্ট না দিলে মানায় না তাই দিলাম। ইফতারী সময় যে কান্ড ঘটে- আমাদের বাসায় রোজায় সবচেয়ে বেশী ক্লান্ত হন আমার বাবা। তিনি স্বভাবে অত্যন্ত নরম প্রকৃতির সহজ সরল মানুষ। আমার বড় ভাইও সহজ সরল, বড় ভাইয়ের বউ একটু ঘাড় তেড়া টাইপের, আর ছোট ভাল হল অহংকারী, আর আম্মু ত আম্মুই, আর আমি একদমই ঠান্ডা প্রকৃতির খোচা মারা স্বভাবের ছেলে। ইফতারির সময় সকলের কান্ড দেখে অনেক সময় হাসি পায় আমার অনেক সময় ঝারি মারতে ইচছা করে, কিন্তু কিছুই করি না।

খালি দেখি আর মজা নেই। আব্বুর কথা হলো মিনিমাম ১৫ মিনিট আগে ইফতারী তৈরী করে বসে থাকতে হবে। কিন্তু তা কি আর সম্ভব, আম্মু ও ভাবী'র ও প্রচুর পরিশ্রম হয় এতগুলো ইফতারী তৈরী করতে। আবার উনারাও রোজা থাকেন। প্রত্যেক দিন একই কাণ্ড, আব্বুঃ কি ব্যপার এখনও তোমাদের হলো না, আর ত সময় নাই।

ছোট ভাইঃ শরবতের আয়োজনে ব্যস্ত, অনেক সময় মোবাইল টা কানেই থাকে, মনে হয় ওর গার্ল ফ্রেন্ডের সংগে কথোপকথন চলতে থাকে। ভাবীঃ একবার রান্না ঘর একবার নিজের ঘর, আরেক বার ভাতিজাকে (উনার ছেলে, ১৯ মাস বয়স) ডাকা ডাকি করতে থাকে, মুখ গম্ভীর করে। ভাইয়াঃ নতুন কোন আইটেম করার জন্য ব্যস্ত থাকে। আমিঃ অলসের ঢেকি, তাদের এহেন কাজ কর্ম উপলব্ধি করতে থাকি। প্রায় প্রত্যেক দিন ই এরকম ভাবে কাটে ইফতারী আগ পর্যন্ত।

গত পরশুদিন ইফতারী পর সকলের ব্যস্ততার একটা বাস্তব রুম অভিনয় করে গুদা মাইরা কথাগুলো তাদেরকে এংগেলে শুনাই, তারপর থেকে আজকে পর্যন্ত ইফতারীর পূর্ব প্রস্তুতি একটু ভিন্ন। কোন হট্টগোল নেই, সকলের চোখ শুধু আমার উপর, কবে যে আমারে বেবাকে মিল্লা সাইজ করে সেই চিন্তুায় মরতাছি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।