আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার ইফতারী

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

সত্যি কথা, রোজা রেখে সারাদিন মনে হয় পুরো দুনিয়াটা খেয়ে ফেলবো। চিবিয়ে ছোবড়া বানাবো। কিন্তু বাস্তবে ইফতারী করার পর, আর রুচি থাকে না এক্সট্রা কোন জিনিস খাবার। প্রতিদিনই মনে করি, আজকে এটা খাবো, ওটা খাবো।

অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার পথে হরেক রকমের ইফতারীর পসার দেখে মনে হয় সব কিনে ফেলি। কিন্তু পকেটের কথা চিন্তা করে অনেক সময় দমে যাই। আমরা সবাই জানি পুরোন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইফতারী পাওয়া যায়। এবং সেগুলো নাকি লাইন দিয়ে কিনতে হয়। কত রকম মুখোরোচর খাবার (!) "বড় বাপের পোলারা খায়" আজব একটা নাম।

আজকে পেপারে পড়লাম "ছোট বাপের বড় পোলারা খায়" নামে নতুন একটি আইটেম পাওয়া যায়। আমার খুব সখ জীবনে একবার হলেও এই পুরোন ঢাকার ইফতারগুলো কিনে খাওয়া। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমি যেখানে থাকি সেখান থেকে পুরোন ঢাকায় গিয়ে ইফতারী নিয়ে ফিরে আসা পুরোটাই টাফ। মনে হয় সম্ভব না। কোন পরিচিত ব্লগ বন্ধু বান্ধব যারা পুরোন ঢাকায় থাকেন তারা আমাকে দাওয়াত করতে পারেন (!) অথবা সেই সব আইটেম কিনে নিয়ে আমার বাসায় চলে আসতে পারেন।

আমি খেতে খুব পছন্দ করি। যেমনটি আমার বাবা। মনে হয় আমরা বংশ পরস্পরায় খেতে খুব পছন্দ করি। যাই হোক, আগে আমার ইফতারী তৈরী করতেন, আমার মা, (উনি এখন বিদেশে থাকেন) তাই এখন আমার ইফতারী তৈরী করে আমার স্ত্রী। উনি ভাল রান্না করেন।

তবে আমার মায়ের মত না। ওনার হাতের রান্না আমি পছন্দ করি। দুই একটি ইফতারী আইটেম ছাড়া সব আইটেমই আমাদের বাসাতেই তৈরী করা হয়। আমি মূলতঃ ছোলা আর মুড়িটা বেশী খাই। শরবত, কলা, সিদ্ধ ডিম, পিঁয়াজু, বেগুনী, আলুর চপ, ছোলা, মুড়ি, টমেটো, শশা, খেজুর, চেরী, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ধনিয়ার পাতা, পিঁয়াজ, জিলাপী, যেকোন ফল ইত্যাদি মূলতঃ আমার প্রতিদিনের ইফতারীতের আইটেম।

ইফতারের পর আমি আমার স্ত্রীর হাতে তৈরী চা খাই। সেই চা সম্মন্ধে অনেকেই এখানেই জানেন। অনেকে ব্লগে ভার্চুয়াল ভাবে সেই চায়ের স্বাদ গ্রহন করেছেন। এরপর রাত দশটা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যে ভাত খাই খুব অল্প।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।