আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতকাহন (শেষ পর্ব)

মনের আয়তনের সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল ঋনাত্নক হোক মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতকাহন (প্রথম পর্ব) মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতকাহন (দ্বিতীয় পর্ব) মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতকাহন (তৃতীয় পর্ব) --------------------------------------------------------------------------------- **********রাষ্ট্র পক্ষের সাক্ষীদের এই অবস্থার কারন*********** ---------------------------------------------------------------------------------- ৪২ বছর পর কোন বিচার প্রমান করা, সাক্ষী প্রমান যোগাড় করা এমনিতেই কঠি[ন, কিন্তু অসাধ্য নয়। অনেক সাক্ষী বেঁচে নেই। অনেকে আবার বয়স্ক। অথচ বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা না কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিয়ে ঘুরতেছে, ভাতা নিচ্ছে, কোটার সুবিধায় চাকরী হচ্ছে এমন লোকও পাওয়া যাবে ভুরি ভুরি। অথচ প্রত্যক্ষ সাক্ষী পাওয়া গেলো না।

অনেক আসল মুক্তিযোদ্ধা আবার সার্টিফিকেটই পায় না। তাঁদের নাকি কয়েক লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হবে, তাও সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে সার্টিফিকেটের কার্যকারিতা হ্রাস পেতে পারে, মানে শর্ত প্রযোজ্য। যা বলছিলাম সাক্ষীর ব্যাপারে, আদালতে সাক্ষী দেয়ার চেয়ে,তুই রাজাকার -তুই রাজাকার স্লোগান দেয়া অনেক সহজ। কারণ সাক্ষীর সারাজীবনের নিরাপত্তা তো রাষ্ট্র দিবেনা। আবার রাষ্ট্র চাইলেই আকাশ থেকে সাক্ষী নামাতে পারবে না।

কিন্তু বিচার হবে সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে, কারো চাপে নয়। যুদ্ধের পর জনতা দুইজন রাজাকার কে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মেরেছিল। আবেগময় হলে ঠিক আছে, কিন্তু এটা যদি করা হয় তাহলে রাজাকার আর মানুষের মধ্যে তফাৎ ধরতে অণুবীক্ষণ যন্ত্র লাগবে। তাইতো ওই ঘটনার পর বিনা বিচারে হত্যা বলে নিন্দা করেছিল অন্যান্য দেশ। আবার চিকন আলি নামে একজনের ফাঁসি হয়েছিল, কিন্তু কার্যকর হয়নি।

এটা অবশ্য আমাদের সমস্যা, কারো রায় কার্যকর হয়না, সরকার পরিবরতনে কারো বা সাজা কমে যায়। এই ভয়ে কৌশলে ফাঁসি দেয়া আর বিনা বিচারে হত্যা করা একই মনেহয়। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা এবং কার্যকর করতে পারলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আর দেরি নাই। যেহেতু Charge No.4 এ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমান করতে পারেনি। অর্থাৎ পরাজয় ঘটেছে এবং গণতন্ত্র ব্যবস্থায়, কোন ব্যাপারে রাষ্ট্রের পরাজয় মানে জনগণের পরাজয়।

তাই জনগনে অংশ হিসেবে সরকারের কাছে আমার চাওয়া, ভবিষ্যতে সরকার যেন কঠিন প্রসিকিউসন টিম দ্বারা আরও বিচক্ষন, উন্নত সাক্ষীর মাধ্যমে সুষ্ঠ বিচার নিশ্চিত করে। ---------------------------------------------------------------------------------- ******************অবশেষে যা বলতে চাই****************** ---------------------------------------------------------------------------------- ....... ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা এবং কার্যকর করতে পারলে আমাদের আর পিছনে ফিরে যেতে হবে না। আমরা কেন ১৯৭১ এ বার বার ফিরে যাই। কারণ কিছু অমীমাংসিত অধ্যায় রয়েছে। ১৯৫২ তে তো আমরা ফিরে যাই না?? একটু চিন্তা করে দেখুন যখন যে কাজ করার কথা ছিল, তখন যদি আমরা সে কাজ করতাম তাহলে আমরা এখন চিন্তা করতাম ভবিষ্যৎ নিয়ে, পাদ্মা সেতু নিয়ে, সামনে কীভাবে আগানো যায় তা নিয়ে।

এই পদ্মা সেতু, শেয়ার বাজার, হলমার্ক, ডেসটিনি এখনকার বিষয় নিয়ে আমরা আন্দোলন কখন করব জানেন?? ঠিক পাঁচ বছর পর। আরেকটা নির্বাচনের ঠিক আগে। এই ইস্যু গুলো অমীমাংসিত রাখতে দেয়া যাবে না। বিদ্যুতের দাম বাড়লে আমাদের গায়ে লাগে না, সিএনজি তিনগুন ভারা নিলে কিছু মনে হয় না, শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, আর আমরা লাফাই এ+ নিয়ে। পুরা মাতাল একটা জাতি।

আমরা দেখেও দেখি না, শুনেও শুনি না। তাই যুদ্ধাপরাধী বিচারের পাশে একটু বেশী গুরুত্ব দিয়ে বর্তমান সংকট গুলো সমাধানের চেষ্টা করি। উৎসর্গঃ স্বাধীনতার আগে থেকে আজ পর্যন্ত যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লরছেন। কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ সকল যুদ্ধাপরাধী ও পাকিস্তানী মিত্র বাহিনীদের, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলশ্রুতিতে এ লেখা সম্ভব হয়েছে(তুচ্ছার্থে)। লেখক......... Md. Moshiqur Rahman Mamun http://www.facebook.com/moshiqur.rahman.9 somewhereinblog.net/blog/Moshiqur_Rahman ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.