আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানবতাবিরোধী বিচার সরকারের এখন গলার কাঁটা

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার এই সরকারের এখন গলার কাঁটা। আমি মনে করি যুদ্ধাপরাধ/মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রশ্নবিদ্ধ। আইনের ছাত্র ও ব্লগার হিসেবে এটা আমার পর্যবেক্ষন। প্রথমত: বিচারক বিচার চলাকালীন সময়ে তা কারো সাথে শেয়ার করতে পারবেন না। বিচারপতিরা কোনো মামলায় আইন বিশেষজ্ঞের ব্যাখ্যার প্রয়োজন মনে করলে সেই বিষয়ে অভিজ্ঞদের অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগের রেওয়াজ রয়েছে।

এর বাইরে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে ব্যক্তিগত পর্যায়ে বা পক্ষভুক্ত কোনো ব্যক্তিপর্যায়ে আলোচনা বা পরামর্শ নেয়ার সুযোগ নেই। দ্বিতীয়ত: এই বিচার প্রক্রিয়া পক্ষপাতমুলক প্রমান স্বরূপ- প্রসিকিউটর মালুম এবং বিচারপতি নিযামুল হকের সংলাপ:- আমি দাঁড়াইয়া যামু, আপনি আমারে বসাইয়া দেবেন। লোকে দেখুক আমাদের মধ্যে কোনো খাতির নাই। ’ তৃতীয়ত: ট্রাইবুনালে সরকারের অযাচিত হস্তক্ষেপ রয়েছে বিচারকের উপরে- পদত্যাগী বিচারক বলেছেন- গভর্নমেন্ট রায়ের জন্য পাগল হইয়া গেছে। একজন বিচারককে সরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে নাসিম সাহেব বলেছেন- (বিচারপতি জহির সাহেব বললেন)আমি আসতেছি, স্যার।

এই কথা কইয়া চইলা গেল। তখন নাকি তারে ল’ মিনিস্টার ডাকাইয়া সেক্রেটারিয়েট নিছে। সে আইসা আমারে বলে, ‘আই এম নো মোর ইয়োর মেম্বার’। আমি কই মানে! কী বলছেন আপনে? উনি বললেন, আপনি কোর্টে উঠেন...। আপনার লগে দেখা করে যাব।

তবে আমি কোর্টে উঠবো না, উঠতে পারতেছি না আমি। শ্যাষে আমি কোর্টে উঠলাম। কোর্ট সাইরা চারডার সময় দেখা করল। তখন আমাকে বলল যে, এ রকম ডাকাইল... ডাকাই নিয়া বলল যে, রিজাইন করেন। রিজাইন করলাম... রিজাইন দিয়ে আসলাম।

চতুর্থত: বিচারপতি মোটিভেটেড,ব্যায়াসড কারন তিনি প্রলোভনের/ পদোন্নতির জন্য তিনটা রায় দিতে চেয়েছিলেন যা তার কথায় প্রকাশিত হয়েছে। নিজামুল হক নাসিম কথোপকথনে দেখা যায় : উনি কয় একটা দেন। সিনহা বাবু কইছে, ডিসেম্বর এর মধ্যে তিনটা রায় দেন। এইটা (সাঈদী) গোলাম আযম সাহেবের, আর সাকা। এই তিনডা দিয়া ফালাইতে পারলেই হইছে।

তারপরে নিয়ে আসি আপনারে আমরা (অাপীল ডিভিশনে)এইখানে। এরপরে ওহানে (ট্রাইবুনালে) আপনারে আর লাগবে না। আমি কইছি, যা করেন করেন, প্রমোশনডা দিয়া লন আগে। জামায়াতের হাতে একটি ইস্যু তুলে দেওয়ার জন্যে সরকারকে নিন্দা জানাই। জামায়াত আগে এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছিলো।

মিরাকল/যেভাবেই হোক তারা তা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। বিচারপতি যাদের সাথে যোগাযোগ করতেন (সাইফুল ইসলাম তারেক, রায়হান রশিদ, ড. আহমদ জিয়াউদ্দিন) তারাও টাকার বিনিময়ে বিরোধী পক্ষের কাছে পুরো রেকর্ড বিক্রী করে দিতে পারেন। শুনেছি টাকা দেখলে নাকি কাঠের মূর্তিও হা করে। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.