আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পঞ্চাশ তম পোষ্ট আর দু:খময় একটি দিন ...

ছাগু তোষণ নীতি নির্ভর মডারেশন প্রক্রিয়াকে ধিক্কার জানাই. ব্লগের এক কোনায় জেনোসাইড বাংলাদেশের লোগো ঝুলিয়ে ছাগু তোষণ নীতির নামে ভন্ডামি বন্ধ করুন... নইলে এই মডারেশন নীতি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকার নাটক বন্ধ করুন.. ব্লগ পর্যবেক্ষনে, আপাতত শুধু কমেন্টাই..
পরশু রাতে ঘুমাতে যাবার আগে স্বভাবমতোই ব্লগে একবার ঢুঁ দেওয়া... "আপনার ব্লগ দেখুন" এই লিংকে ক্লিক করে নিজের পাতায় গিয়ে দেখি ঊনপঞ্চাশ পোষ্ট হয়ে গেছে... ঊনপঞ্চাশ পোষ্টের সাথে সাথে ছয়মাসও কখন যে কেটে গেলো খেয়ালও করি নাই.. ভাবতেই ভালো লাগছিলো, ডায়পার ব্লগার থেকে প্রমোশন পেয়ে হাফপ্যান্ট ব্লগারের ক্যাটাগরিতে উঠলাম, গর্বভরা বুকে ঘুমাতে যাবার সময় ভেবে রেখেছিলাম পরদিন সকালেই এক ফাঁকে দিয়ে দেবো হাফসেন্চুরী পোষ্ট... পরদিন শুক্রবার, চার্জ চলে যাওয়ায় মোবাইলও ছিলো বন্ধ আর ঘুমটাও ভাঙ্গলো অনেক দেরীতে। চার্জে লাগিয়ে কিছুক্ষন পরে ফোন অন করতেই একটা এসএমএস, সবচেয়ে কাছের এক বন্ধুর ফোন থেকে, সেই ভোর ছয়টায় পাঠানো... ওর বাবা হাসপাতালের আইসিইউতে.. পড়েই চমকে উঠলাম। এইতো কদিন আগে চট্টগ্রামে উনার সাথে দেখা, কি উজ্জল হাসি -- এই এসএমএস টা তাহলে কিভাবে সম্ভব??? দেরী হয়ে গেছে, ঘড়িতে তখন এগারোটা, করলাম ফোন। রিং হতে হতেই বুঝলাম আরেকটা এসএমএস এসেছে, ওটা দেখা হলো না। বন্ধুকে বললাম কি অবস্থা এখন, ও শুধু বললো তুই কি আগের এসএমএসটা নিয়েই আছস, আব্বু তো আর নেই, এই তো গোসলের জন্য নিয়ে গেলো এই মাত্র... ব্রেইন স্ট্রোক, একটা মাত্র ঘন্টা টিকে ছিলেন, তারপর সব শেষ... শেষ যেবার দেখা উনি বলছিলেন আংকেল নিজের তো পরের প্রজন্ম এসে গেলো, এবার বন্ধুর জন্য একটা মেয়ে টেয়ে দেখো... হাসতে হাসতে বলেছিলাম আংকেল আপনি যা ইয়াং হইছেন, ছেলের জন্য কি দেখবো ভাবতাছি আন্টিরে না জানায় আপনার জন্যই মেয়ে দেখবো... এমনটাই ছিলেন উনি, ছেলের বন্ধুদের সাথে বন্ধুর মতো আড্ডা দিতেন, কয়েক বছর আগে উনার যখন বাইপাস হলো আত্মীয় স্বজনদের থেকে আমাদের আগে ডেকেছিলেন। নিজের লোকজন যখন অনেক দূরে তখন মিগ৩৩ এ চ্যাট থেকে পরিচয় এমন একজন ছেলের বন্ধু যখন রক্ত দিতে সেই দূর থেকে হাসপাতালে এসে হাজির হয় তখন আমাদের এই ভার্চুয়াল সম্পর্কের প্রশংসায় উনাকে কি যে খুশি হতে দেখেছি... হয়তো আজকেও উনি খুশিই হবেন, উনার ছেলেকে একা রেখে যান নি, আমরা কাছের বন্ধুরা তো আছিই, ভার্চুয়াল বন্ধুরাও ছেড়ে যায়নি.... মনটা খারাপ, তাই ব্লগে ঢোকাই হয়নাই.. সন্ধার পরে ফেসবুকে বন্ধুর প্রোফাইলে আসা শোকবানী গুলো পড়তে গিয়ে এক বন্ধুর প্রোফাইল স্ট্যাটাসে দেখলাম নাহিদার চলে যাওয়ার কথা... তখনও বুঝিনাই কোন নাহিদা, এক বুক আশংকা নিয়ে ঢুকলাম সামহোয়ারইন এ, যা ভেবেছিলাম তাই। সবার মায়া ছিন্ন করে ছোট্ট বোনটা চলেই গেলো...ইস বিধাতা মাঝে মাঝে এতো নির্মম কেনো যে হয় পঞ্চাশ তম পোষ্ট লিখতে বসে একগাদা দু:খের কথা বলে বসলাম। কি করবো দিনটাই যে এমন কেটে গেলো। সবসময় মজার পোষ্ট লিখতে ইচ্ছা করে, সিরিয়াস হতে ভালো লাগেনা একটুও... আজকে কেনো জানি ইচ্ছা হচ্ছে না, মন খারাপটা শেয়ার করতে ভালো লাগছে... ব্লগে আসা রাগিব ভাই এর একটা পোষ্টের লিংক ধরে, নিকের বয়েস ছয়মাস হলে কি হবে পড়ার বয়েস কিন্তু অনেক বেশী..রাগিব ভাই, নুশেরা আপু, সাইফাই সিজার, শান্তির দেবদূত, স্বপ্নজয় এদের লেখা থেকে যত অনুপ্রেরণা... সবসময় সাথে থাকে প্রিয় দুই ছোটো ভাই জইন আর শাওন.... ভালো হোক খারাপ হোক স্বজনপ্রীতি তে এরা ওস্তাদ... জেডা পর্ষদের সাথে মিশে ভার্চুয়াল সম্পর্কটাকে অনেক কাছের মনে হয়... চান্কু, শ্রাফু, ফ্রাতন্বী, নাজমুল, সোডা, শাওন... রাকিব কিংবা তায়েফের সাথে কলেজ লাইফে তেমন কথা হয়েছে বলে মনে পড়ে না, আজকে ব্লগে কাছের বন্ধু কিন্তু এরাই... শামসীর ভাইএর মতো বড়ভাই পাওয়া আমার কাছে অনেক কিছু, না দেখেও এতো আপন লাগে ভাবাই যায় না....মুক্তবয়ান আর সিউল দের মতো ছোট ভাই পাওয়াও কম কথা নয়... মাত্র অল্পকদিনে যারা অনেক কাছে টেনে নিয়েছেন সবাইকে অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা... আমার এই পোষ্টটা আমার খুব প্রিয় সেই আংকেল আর নাহিদার জন্য... আল্লাহ এদেরকে যেখানেই রাখুক, ভালো রাখুক........................................................................................... উপরের ছবিটি ফ্লিকার থেকে নেওয়া। ফটোগ্রাফার: কাজী তাহসিন আগাজ অপুর্ব....
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.