আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্যাডারদের পৌষমাস, জনগণের সর্বনাশ

জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই

তাদের এতকাল ভাত ছিল না। অনেকের দেশেও জায়গা ছিল না। কেউ কেউ ৭ বছর, কেউ কেউ ২ বছর পালিয়ে ছিলেন। হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পরও ঠিক জমছিল না। সরকার দিন বদলের কথা বলে তাদের মাথায় বাড়ি মেরেছিল।

তাদের ভাত মারার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু না, অবশেষে সেই পুরোনো মওকা ফিরে এসেছে। একটি ইসু্য তাদের জন্য পুনর্বাসিত হওয়র দরজা খুলে দিয়েছে। বলছিলাম বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শেল্টার পাওয়া গুণ্ডাপাণ্ডার কথা। যাদেরকে আমরা ভদ্রভাষায় ক্যাডার বলে থাকি।

তাদের রাজনৈতিক দলে থাকার মূল কারণ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে পিটানোর জন্য। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঠেকানোর অজুহাতে এরা রাজনৈতিক শেল্টার পেয়ে আসছে দীর্ঘকাল ধরে। এদের পেশা হল রাজনীতি করা। রাজনীতির নামে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দখলবাজি করে কোটিপতি বনে যাওয়া। খালেদা জিয়ার বাড়ি ইসু্ নিয়ে এখন রাজপথে নামতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।

আবারও একটি ব্যক্তি ইসু্য নিয়েই রাজপথ গরম হতে যাচ্ছে। আর এই সুযোগে পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসী ক্যাডাররা রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হচ্ছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই এখন আওয়ামী সাইনবোর্ড ব্যবহার করতে আগ্রহী। যারা একান্তই আওয়ামী সাইনবোর্ড পাচ্ছে না, তারা চামড়া বাঁচাতে বিএনপি ঘেষে আছে। এতকাল কোন গরম ইসু্য ছিল না বলে তাদের কোন কদর ছিল না।

এখন কদর বাড়ছে। এই বাড়ি ইসু্য নিয়া যত মারামারি, সংঘর্ষ, ভাংচুর ও অরাজকতা হবে ততই তাদের কদর বাড়তেই থাকবে। আর তাদের কদর বাড়া মানে জনগণের সর্বনাশ। তারা বিপুল উৎসাহে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি চালিয়ে যাবে। রাজনৈতিক শেল্টার ব্যবহার করে তারা আবারও কোটি কোটি টাকা কামাবে।

দিন বদল যা হবে, তাদের হবে। বিদু্যৎ, পানি, চাকুরি, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট ইত্যাদির জন্য হাহাকার করতে থাকা জনগণের জন্য আগের মতোই রয়ে গেছে সর্বনাশ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.