আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চন্দ্রগ্রহণ এক উজ্জ্বল পূর্ণিমার আভা ছড়িয়ে দিল

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

চন্দ্রগ্রহণ ছবিটা দেখলাম। জিজ্ঞেস করেন অনুভূতি কি? এক কথায় বললে, বিমুগ্ধ। দুই কথায় বললে, বিমুগ্ধ, বিমুগ্ধ। তিনকথায় বললে, বিমুগ্ধ বিমুগ্ধ বিমুগ্ধ। আর বিস্তারিত বলতে বললে বলবো, ঝকঝকে ক্যামেরা, চমৎকার অভিনয়শৈলী, পরিশ্রমী মিউজিক, শক্তিশালী গল্প, ঝরঝরে পান্ডুলিপি, নান্দনিক সিনেমাটোগ্রাফী, বিশাল ও মনোমুগ্ধকর সেট, পরিচালকের দারুণ মুন্সীয়ানা - এসব ছড়িয়ে আছে চন্দ্রগ্রহণের প্রতিটা মুহূর্তের বিন্যাসে।

এ ছবিটা চলছে দেখে আমরা দুইবার বসুন্ধরা থেকে ফিরে গেছি। দেখবো না বাংলা ছবি। কিন্তু সেদিন অন্য ছবিগুলো দুইবার/তিনবার দেখা হয়ে গেছে বলে ঢুকে পড়লাম। এবং পুরো সময়টা মন্ত্রমুগ্ধের মত ছবিটা দেখেছি। ফালানির জন্ম হয় রানীর হাটের এক পাগলীর গর্ভে।

কিন্তু বাপের কোন ঠিক-ঠিকানা নেই। রানীর হাটের অধিবাসী বেশ কয়েকজন পুরুষই তার মাকে ভোগ করেছিল - কালক্রমে স্পষ্ট হতে থাকে। এমন একজন দোকানী আবুলের ছেলের সাথে ফালানীর মানসিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফালানীর জন্মের পর থেকে তার মৃত পাগলী মায়ের সাথে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপনকারী সকল পুরুষ ফালানীকে নিজের মেয়ের মত আগলিয়ে রাখে। আবুলের ছেলের সাথে ফালানির প্রেমের সম্পর্ক নিয়েও তারা ইতিবাচক।

একসময় সবাই বিয়ে দেবার আয়োজন করলে আবুল এই বিয়েতে মত দেয় না। কারণ তার সাথেও ফালানীর মায়ের শারিরীক সম্পর্ক ছিল। ফালানী ও তার প্রেমিক হয়তো ভাইবোন। এতদিন পরে বাবার দাবীতে আবুলের আগমনে ফালানী ছেড়ে যায় পরিচিত ডেরা। আত্মহত্যা করতে গিয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।

অতপর পাগল হয়ে হারিয়ে যায় শহরের ডাস্টবিনে। এমন চমৎকার একটা গল্পের অসম্ভব চমৎকার চিত্রায়নে আমি বিমুগ্ধ। ভাবতে পারছিলাম না গল্পটি এদেশের, ছবিটা তৈরী এদেশে এবং তা দেখার জন্য বসুন্ধরার অর্ধেক আসন পরিপূর্ণ! মুরাদ পারভেজকে সম্মান জানাই টুপি খুলে। আর গল্পকারের পদধুলি নিতে চাই।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.