আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চন্দ্রগ্রহণ: একটি অন্যরকম সৃষ্টি

...ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাচিয়া,সদাই ভাবনা, যা কিছু পায়, হারায়ে যায়, না মানে স্বান্তনা...

বড়দিনের ছুটিতে মুরাদ পারভেজ পরিচালিত চন্দ্রগ্রহণ মুভিটা দেখে আসলাম। অসাধারন এক সৃষ্টি। চলচ্চিত্র আলোচনা বা সমালোচনা কোনটাই কখনো করিনি। নিজেকে খুব ভালো চলচ্চিত্র বোদ্ধাও কখনও মনে হয় নি। শ্রেফ ভালো লাগার কারনেই লিখতে বসা।

প্রথমেই বলতে হয় গল্পটির কথা। অদ্ভুত সুন্দর একটি গল্প। ছোট্ট একটা গ্রাম্য খেয়াঘাট আর সেই ঘাটকে কেন্দ্রকরে গড়ে ওঠা হাট হলো গল্পের পটভূমি। সেই হাটেই থাকে এক পাগলী। একদিন সেই পাগলীর কোল জুরে আসে ফুটফুটে এক মেয়ে।

হাটের সবাই সবাইকে সন্দেহ করে, কে এই মেয়ের বাবা। কিন্তু সবাই শেষ পর্যন্ত মেয়েটিকে নিজেদের মেয়ের মতই বড় করতে থাকে। পাগলীর মৃত্যুর পর মেয়েটির জায়গা হয় হাটেরই এক দোকানীর কাছে। এরপর কেটে যায় ১৪ বছর। হাটের এক দোকানদারের ছেলেকে মেয়েটি ভালোবাসে।

হাটের সবাই সম্পর্কটিতে খুশিও হয়। সবাই চায় তাদের দুজনকে বিয়ে দিতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছেলেটির বাবা রাজী হয় না। সে মেয়েটির কাছে গিয়ে তার পিতৃত্বের কথা স্বীকার করে বলে ভাই বোনের বিয়ে হয় না। এই সুন্দর গল্পটির চিত্রায়ন করেছেন মুরাদ পারভেজ তার সৃষ্টিতে।

সবচেয়ে অসাধারন লেগেছে পাগলী হিসেবে চম্পার অভিনয়। রিয়াজ অসাধারন অভিনয় করেছেন হাসু চরিত্রে। মূল চরিত্র সোহানা সাবার অভিনয়ও বেশ ভালো লেগেছে। খেয়াঘাট আর হাটের চিত্রায়ন আর পুরো মুভিতে আলো আধারি সৃষ্টির কাজ আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। রাতের দৃশ্য গুলো আমাদের দেশে এক সময় দিনের বেলাই এক্সপোজার কমিয়ে শুট করা হতো।

জাস্ট ব্যাক গ্রাউন্ডে ব্যাপক ঝি ঝি পোকার ডাক লাগিয়ে দিত। যার ফলে মাঝ রাতেও আকাশে রোদ দেখতাম আমরা। রাতে শুটিংএ আসলে অনেক ভারি ভারি সার্চ লাইট টাইপের লাইট ব্যাবহার করতে হয়। এই ছবিতে রাতের দৃশ্য অনেক আর যেভাবে সেগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, আমার কাছে অনবদ্য লেগেছে। হাবিব আর ইমন সাহার সুরে গানগুলোও দারুন।

একটা জায়গা একটু অন্যরকম লেগেছে। এক জায়গায় হাসু (রিয়াজ) ফালানি (সোহানা সাবা) কে নিয়ে শহরে আসে, যার নাম শ্যামপুর । শ্যামপুর হিসেবে ঢাকার উত্তরা কে না দেখিয়ে অন্যকোন মফস্বল টাইপ শহরকে দেখালে মনে হয় ভালো হতো। পুরো ছবিতে আবহাওয়া মিউজিকের ব্যাবহারও একটু কম মনে হয়েছে। যদিও ছবিটি দেখে মন খারাপ করে বের হতে হবে, তারপরও আমি বলবো, ছবিটা দেখে আসতে পারেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.