আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোন দলকে ভোট দেব?



আগামী পরশু নির্বাচন। অনেকের মত নির্বাচন নিয়ে আমিও ভাবছি। তবে আওয়ামী লীগকে ভোট দিচ্ছি না এটা নিশ্চিত। কেন আওয়ামী লীগকে ভোট দেব না? অনেক কারণ আছে। প্রধান কারণ সন্ত্রাস।

১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত দেশে কি পরিমান সন্ত্রাস হয়েছে তা সবাই জানে। ২০০৬ সালের লগি-বৈঠার কথাও ভুলিনি। "হাজারী ছিল, হাজারী আছে, হাজারী থাকবে" শেখ হাসিনার এই কথাটিই আওয়ামী লীগকে ভোট না দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত যারা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল তাদেরকেই আবার ২০০১ এর নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। এবারও গান পাউডার দিয়ে ১১ জন নিরীহ বাসযাত্রী হত্যার নায়ক নানককে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

কথা দিয়ে কথা না রাখা শেখ হাসিনার একটা স্বভাব। ১৯৮৬ সালে বলেছিল "যারা এরশাদ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে তারা হবে জাতীয় বেইমান"। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগই সেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে জাতীয় বেইমানে পরিনত হয়েছিল। শেখ হাসিনা বলেছিলেন ৫৭ বছর হলে রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন কিন্তু এখনও তিনি রাজনীতি করে যাচ্ছেন। বলেছিলেন বিরোধী দলে গেলেও আওয়ামী লীগ কখনো হরতাল করবে না।

কিন্তু যথারীতি সেই ওয়াদাও ভঙ্গ করেছেন তিনি। আওয়ামী লীগের ৫ বছরে দ্রব্যমূল্য কম ছিল এটা স্বীকার করছি। হয়তো বিএনপির তুলনায় আর্থিক দুর্নীতিও কম ছিল। কিন্তু সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ছিল খুব বেশি। সেঞ্চুরি মানিকের অপরাধের কোনো বিচার হয়নি।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকাটা যেমন গুরুত্বপুর্ণ, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপুর্ণ। যেটা আওয়ামী লীগ আমলে ছিল না। হাসিনা পুত্রের দেশপ্রেম নিয়েও সন্দেহ আছে। সে তো আমেরিকায় সেটেল। বাংলাদেশকে নিয়ে কোনো চিন্তা ভাবনা করে বলে মনে হয় না।

শেখ হাসিনা প্রায়ই বিভিন্ন অভদ্র উক্তি করে থাকেন। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখে কিভাবে ইয়েস উদ্দিন, পেয়াজ উদ্দিন, অশান্তি বেগম ইত্যাদি শব্দ শোভা পায়? এইমাত্র শেখ হাসিনার আর একটি উক্তি মনে পড়ল। প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি বলেছিলেন "চট্টগ্রামের ছাত্রলীগের ছেলেরা, তোমরা কি শাড়ি, চুড়ি পরে থাক? আর যদি একটা লাশ পরে তবে দশটা লাশ পরবে"। খালেদা জিয়া বা বিএনপিকে যে আমার ভাল লাগে তা না। তার পুত্রদ্বয়ের দুর্নীতির বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই।

জামাতকে সাথে নেওয়াটাও আমি সমর্থন করি না। জনগনের ধাওয়া খাওয়া ঢাকার সালাউদ্দিনকে আবারো মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বিএনপির মধ্যেও সন্ত্রাস আছে। তবে সেটা আওয়ামী লীগের চেয়ে কম। বিএনপি হচ্ছে মন্দের ভাল।

আমি মনে করি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হওয়া উচিত। যেকোনো হত্যাকান্ডেরই বিচার হওয়া উচিত। সবকিছু চিন্তা করে মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়াতো কখনোই সম্ভব না। আর বিএনপিকেও খুব একটা ভাল লাগে না। তাই এবারের নির্বাচনে কাউকেও ভোট না দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।