আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঝর্ণা এবং বর্ষা

আমি কবি নই তোমাদের একজন, আমি কবি নই প্রেমিক তোমাদের...

পাহাড়টা চকচকে যৌবন প্রাপ্ত; তা দেখলেই বোঝা যায়..... তার চার পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে- ভরা যৌবনের ঝোপ ঝাড়। মেঘও কম নয়! যৌবনে অনন্যা সে। থৈথৈ যৌবনের উচ্ছাস ঝান্ডা তুলে; সে ভেসে বেড়ায় অজানায়। একদিন পাহাড়ের কোল ঘেষে- ভেসে যাচ্ছে মেঘ আপন মনে, হঠাৎ ডেকে বল্ল পাহাড়- একটু দাড়াও। মেঘ কাছে এলো; অনুভব করল অদ্ভুত উষ্নতা।

শুরু হলো ভালোলাগা, ভালোবাসা। পাহাড় বল্ল- তুমি খুব সুন্দর। মেঘ বল্ল- তুমিও। পাহাড় বল্ল- ভালোবাসি। মেঘ বল্ল- আমিও।

ভালোবাসার স্নিগ্ধ জলে; ওরা ভাসতে থাকে; সুখ! সুখ! সুখের অন্দরে। মেঘ পাহাড়কে না দেখে থাকতে পারে না। পাহাড়ও ওকে- না ছুঁয়ে থাকতে পারে না। সকল প্রতিকূল উপেক্ষা করে- তারা সিদ্ধান্ত নিল; বিয়ে করবে। দিন, ক্ষনও ঠিক।

লগ্ন এলো- মেঘের পরনে বধু সাজ; পাহাড়ের মুখে চন্দন; মাথায় টোপর। যে পর্ব পূর্ণ হলে- পাহাড় পাবে মেঘ'কে মেঘ ধরবে পাহাড়'কে তখনি এলো প্রচন্ড বজ্র। হ্যাঁচকা টাতে তুলে নিয়ে গেল মেঘ কে। বজ্রের সাথে বিয়ে হয় মেঘের। মেঘ ভুলতে পারে না; পাহাড়কে।

পাহাড় পারে না; মেঘ কে। দুজনের মন পড়ে থাকে- একই মহনায়। মেঘ জ্বলে বজ্রের অনলে। পাহাড় পোড়ে বিরহের দহনে। পাহাড়ের কান্না ঝরে- ঝর্ণা ধারায়।

মেঘের কান্না; বর্ষা।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।