সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
কলিগ কইলেন :
আমার এক বন্ধু আছিল ভীষণ চাপাবাজ। প্রতিদিন নিত্যনতুন চাপা পিটাইতে ওস্তাদ। তার চাপার বহর এমনই যে, পিটাইতে পিটাইতে ভুইলা যায় কী কইতেছিল। তো সে একবার সুন্দরবন ঘুইরা ফিরা আসছে।
আইসাই আমার কাছে চাপা পিটাইতে বসছে। কয়, বস, হেভি মজা হইলো সুন্দরবনে। সিন দেখলে আপনের ঘুম হারাম হয়া যাবে। সিনটা বড় কথা না। বড় কথা হইলো রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
তবে ভাগ্য খারাপ অল্পের জন্য টাইগার দেখতে পারি নাই। টাইগারের পায়ের ছাপ দেখছি। যাই হউক, এই ট্যুরের মোস্ট ইম্পর্টেন্ট পার্ট হইলো আমাদের হরিণ শিকার। যাওয়ার সময় একটা ছোট শটগান নিয়া গেছলাম।
একদিন বনের মধ্যে ঘুরতেছি, ফিরতেছি।
হঠাৎ দেখি বাদাবনের আড়ালে এক ঝাঁক হরিণ ঘাস খাইতেছে। হরিণ খুব সজাগ প্রাণী। শিকার করা কঠিন। আস্তে করে শটগান বাইর কইরা শুট করলাম। আপনে বিশ্বাস করবেন কি না জানি না, এক গুলিতে একটা হরিণ পইড়া গেল।
ঝাঁকের অন্য হরিণগুলা দে ছুট। কাছে গিয়া দেখি বিশাল হরিণ। এখন এই বিশাল হরিণ নিয়া কী করি? আস্ত এইটারে টাইনা নেওয়া তো একার পক্ষে সম্ভব না। আবার মাংস খাওনেরও খায়েস মনে। কী করি কী করি চিন্তা করতে করতে সিদ্ধান্ত নিলাম।
সবচেয়ে টেস্টি আর মাংসল পা দুইটা কাইটা নেই। ব্যাগ থেকে ছুরি বের করে পা দুইটা কাইটা দুই কাঁধে নিলাম।
এর মধ্যে কলিগের ফোন বাজতে শুরু করলো। স্যরি কয়া বন্ধু ফোন ধরতে গেল। মনে হয় কোনো গার্লফ্রেন্ডের ফোন।
অনেক্ষণ ধইরা ইনুনি-বিনুনি কথা কইতে থাকলো। পাক্কা আধাঘণ্টা পর ফিরে আসলো। আমি জিগাইলাম, তারপর কী হইলো?
বন্ধু কয়, কই জানি আছিলাম?
আমি কই, ওই যে দুই পা দুই কান্ধে নিলেন।
বন্ধু কয়, তারপর আর কী? হট আছিলাম, শুরু কইরা দিলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।