আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরাই বাংলাদেশ

অনেক কিছুই আছে, কিন্তু লিখবনা কিছুই! (লিখতে ইচ্ছে করছে অনেক কিছুই, কিন্তু নেই যে কিছুই!)

যে কোন কাজের একটা উপযুক্ত সময় থাকে, সময়ের পূর্বে বা পরে সেই কাজ অর্থহীন হয়ে যায়। তেমনি স্বাদ আস্বাদনেরও একটা উপযুক্ত সময় থাকে। একজন জিহ্বায় ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তিকে দুনিয়ার সব থেকে সুস্বাদু খাবার খেতে দিলে সেই খাবারটা শুধু নষ্টই হবে, কিংবা প্রিয় মানুষের মৃত্যুতে ব্যথিত একজনকে প্রেমের কাব্য শোনানোটা আহাম্মকির পর্যায়ে পরে। ঐশ্বরিয়াকে তার যুব বয়সে অনেক মানুষ কাছে পেতে চেয়েছে বা তাকে শুধু একটু চোখে দেখতে পাওয়ার জন্য অনেক কষ্ট করেছে, কিন্তু ৮৫ বছর বয়সী ঐশ্বরিয়াকে বিয়ের পাত্রি হিসেবে দুনিয়ার কোন সুস্থ মানুষ বিয়ে করবে না। এত সৌন্দর্য থাকা সত্ত্বেও সে অযোগ্য।

কারণ হিসেবে শুধু সময়ের পার্থক্যই খুঁজে পাওয়া যায়। আমরা মানুষ, আমরা ভোগবিলাসী, আমরা আরামপ্রিয়, আমরা অনুসন্ধিৎসু, আমরা সৃষ্টিশীল। এই সকল গুনাবলি মানুষের মাঝে একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত থাকে, এর পরে এ সকল গুন হয়ে যায় অভ্যাস বা বাধ্যতা। হ্যাঁ, যুবা বয়সের কথাই বলছি। একজন যুবক যেমনি শারীরিক ভাবে সক্ষম, তেমনি মানসিক ভাবেও শক্তিশালি।

সে তখন সৃষ্টি করতে চায়, আবিস্কার করতে চায়, তার সাথে উপভোগ ও করতে চায়। কিন্তু আমাদের দেশে যুব সমাজ সবথেকে বেশি হতাশায় ভোগে। আমাদের দেশে যুবারাই সবথেকে বেশি আত্মহত্যা করে। কর্মহীনতায় ভোগে। খাবারের কষ্টে ভোগে।

যে সৃষ্টির উল্লাসে মেতে উঠতে চায়, যে আবিস্কারের নেশায় ছুটতে চায় তাকে আমরা করে রাখছি অথর্ব আর বৃদ্ধদের করে রেখেছি কর্মব্যস্ত! অথচ! তারা সেখানে শুধু বাধ্য হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে; সৃষ্টির আনন্দে নয়। আমাদের কি কিছুই করণীয় নেই? বিরিয়ানি অনেক সুস্বাদু খাবার, কিন্তু স্বাভাবিক পরিবেশে একদিন আগের বিরিয়ানি খাওয়ার অযোগ্য। কিন্তু ভাত সস্তা ও সামান্য স্বাদের আর স্বাভাবিক পরিবেশে দু’দিন আগের ভাত ও পান্তা হিসেবে খাওয়া যায়। তেমনি মেধাবী তরুন বৃদ্ধ বয়সে অথর্ব বৈ কিছুই না। আমরা শঙ্কর জাতের মানুষ বলে আমাদের বুদ্ধির ব্যাপকতাও কম নয়, মিশ্র পরিবেশে বাস করি বিধায় আমরা অল্প বয়সেই পরিপক্বতা অর্জন করি।

আবার মিশ্র আবহাওয়া আর আঞ্চলিক প্রথাগত খাদ্যাভ্যাসের কারনে আমরা বুড়িয়েও যাই দ্রুত। সেক্ষেত্রে আমাদের তরুন বা যুব বয়সটাই সবথেকে উপযোগী। আমাদের এই যুব সমাজকে ব্যবহার করা তাই সবথেকে বেশি দরকার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের ব্যবহার করছেনা। এখন আমাদের কি করণীয়? আমাদের করণীয় শুধু একটাই, তা হল- আমরা অবহেলিত, আমরা হতাশ, যুগ যুগ ধরে আমাদের যুব সমাজ উপেক্ষিত।

কিন্তু আমরা একটু চেষ্টা করলেই পারি আগামীর যুব সমাজকে হতাশার হাত থেকে বাচাতে, তাদেরকে পথ দেখাতে। আমরা ভিন্ন প্রজন্মের হলেও আমরা যুবক, তাই আমরা গভীর সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ। তাই তাদের জন্য সুন্দর পরিবেশ আমাদের-ই প্রস্তুত করতে হবে। আসুন, এগিয়ে আসি। আমরা এগোলেই যুব সমাজ পথ পাবে, তার সাথে দেশ পাবে আলোর ঠিকানা।

আমাদের দেশ বাংলাদেশ। কিন্তু আসলে তো আমরাই বাংলাদেশ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।