একজন সেনাসদস্যকে পেটানো ও তাদের গাড়ি পোড়ানোয় সেনাসদস্যরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজের ছাত্রদের যেভাবে নির্যাতন করছে তাতে ছাত্রদের ক্ষোভ কি আরো বাড়বে নাকি কমবে? আমি তো জানতাম সেনাসদস্যরা অনেক বুদ্ধিমান। রাইফেলের বাট, হকিস্টিক, লাঠি আর বুটের বাড়ি দিয়ে তারা তাদের ক্ষোভ মেটাচ্ছেন। পরে ছাত্ররা কি পাল্টা ক্ষোভ মেটাবে না? সেনাসদস্যরা কী ভাবেন? জেনারেল মইন সামরিক সরকার না আসাতেই এই অবস্থা করছেন। কিছুদিন পর তিনি যখন সামরিক সরকার গঠন করবেন তখন কি করবেন। মইন সাহেবকে মনে রাখতে হবে আর্মিরা রাইফেলের মুখে অনেক দিন ক্ষমতায় থাকতে পারলেও কীভাবে বিদায় নিয়েছে, দয়া করে তা মনে রাখবেন।

মনে রাখবেন এই দিন দিন নয় আরো দিন আছে। ছাত্ররা এই দিনকে নিবে সেদিনেরই কাছে। কিছু দালাল পত্রিকা সেনা সদস্যদের বর্বরতাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। জনগণ তাদের চিনে রাখছে। আমি একটা কথা পরিষ্কার বলতে চাই সেনাবাহিনী আজ তাদের ক্ষোভ মেটাতে পারলে জনগণও তাদের ক্ষোভ মেটাতে পারবে।

আমাদের বাজেটের বিশাল টাকা সামরিক খাতে ব্যয় হয়। অথচ তারা আমাদেরটা খেয়ে আমাদেরকে অন্যায়ভাবে নির্যাতন করবে?
।