আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রমনী রঙ্গ ! ( রম্য )

ব্লগার ভগিনী টুম্পা মনি পুরুষ সমাচার(রম্য) শিরোনামে পুরুষ প্রজাতির প্রতি এক খানি রম্য ইট ছুড়িয়াছেন। Click This Link আত্মরক্ষার অধিকার যেহেতু সার্বজনীন, আমিও পালটা পাটকেল নিক্ষেপ করিলাম! ব্লগার ভ্রাতারা আশা করি পাটকেল ছোঁড়ায় পাশে থাকিবেন, যেমনটা ব্লগার ভগিনীরা ঐ পোষ্টে পাশাপাশি ইটা ছুড়িয়াছেন ! ভগিনী যে ছবিখানা দিয়াছেন উহা দিয়াই শুরু করিলাম। চরিত্রহীন পুরুষ, বুকে একজন কে লইয়া আরেক জনের দিকে হাত বাড়ায়। আমার প্রশ্ন হইতাসে তাইলে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা যে ছাগিখান গাল বাড়াইয়া দিতাসে, ওর চরিত্র কিরূপ? উনি কি অন্ধ? এইবার ভগিনী যে যুক্তিজাল বিস্তার করিয়া পুরুষ প্রজাতির ইজ্জতের উপর আক্রমন করিয়াছেন তার কিছু জবাব দেওয়ার চেষ্টা করা যাকঃ- -উহারা সাধারণত ''হ্যালো'' কে স্টাইল করিয়া বলিতে যাইয়া ''হেলাওওঁওঁওঁওঁওঁওঁ '' বলিয়া ফেলেন। / মেয়েরা কিভাবে হ্যালো বলে বিস্তারিত বলিলাম না, সবারি অভিজ্ঞতা আছে, তবে মাঝে মাঝে ফোন বিড়াল না মানুষ ধরিল এই ধন্ধে পড়িতে হয়।

-উহারা নারীর বেশ ভূষাকে অবজ্ঞা করিলেও নিজেরা নারীদের বেশ ধরিতে পছন্দ করেন। যেমন হাতে চুড়ি, কানে দুল, গলায় মালা আজকাল অনেক পুরুষকেই পরিধান করিতে দেখা যায়। / মেয়েরা যে প্যান্ট অমুক তমুক পরিয়া ভাব লয় তার বেলা? -উহারা নিজেদের সুপুরুষ হিসেবে উপস্থাপন করিতে যাইয়া প্রায়সই রিক্সাআলাদের গায়ে হাত তুলিয়া থাকেন। / গৃহিণীরা প্রায়শই সংসার পটুত্ব দেখাইতে কাজের মেয়ের গায়ে গরম খুন্তির ছ্যাকা দিয়া থাকেন। ( -উহারা ভাড়া লইয়া রিক্সাআলার সাথে ঝগড়া বাধাইয়া দেন।

/ পুড়াই উলটা অভিযোগ, বাজী ধরিয়া বলিতে পারি রিকশাভাড়া নিয়ে বচসা চিরকাল মেয়েরা করিয়া আসিয়াছে। যে কোন রিকশাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করুন। -উহারা বাসে উঠিবার আগে নারীদিগকে ধাক্কা দিয়া পাশ কাটাইয়া উঠিবার চেষ্টা করেন। /এই বৈষম্য প্রকৃতি প্রদত্ত, যদি বিশ্বাস করেন গায়ে জোর মেয়েদের বেশী থাকিলে তাহারা সরে দাঁড়াইয়া পুরুষদের আগে বাসে উঠিতে দিত তবে উনি কোন প্রজাতির গর্দভ তাহা ভাবিতে হইবে। -উহারা বাসে উঠিবার পর বীরপুরুষের ন্যায় নারীদের সিট দখল করিয়া বসিয়া থাকেন।

/ যে সমস্ত বীর আবাল এই কর্ম করিয়া থাকে তাহাদের অন্যে পুরুষরাই সিট থেকে উঠায় দেয়। -উহারা বাসে উঠিলে নারীর পাশে বসিবার জন্য মরিয়া হইয়া থাকেন। / বসতে চায়, এই জন্য অভিযোগ করিতেসেন। না বসিতে চাইলে মন খারাপ হবে নাতো? (কেউ পাত্তা দিলনা! ) -উহাদের মোবাইলের সিমের অভাব হয় না। সব কোম্পানির সিমের কল রেট উহাদের মুখস্ত থাকে।

/ কথা সত্য। কারন উহারা যে বালিকাদের সাথে কথা বলেন তারা অতিশয় কৃপন, শুধু মিসকল দিয়া থাকেন। এইজন্য মোবাইল কলরেট বালিকাদের না জানিলেও চলে। -উহারা নিজের ঘরের বঊয়ের চেয়ে পাশের বাড়ির ভাবিদের রান্না বেশি পছন্দ করিয়া থাকেন। / জি, এটাও ঠিক কথা, পাশের বাড়ির ঘুষখোর জামাইয়ের বউয়ের দামী শাড়ি গাড়িও অনেক সুন্দর লাগে না? - উহারা বউয়ের দোষ কীর্তন করিতে ভালোবাসেন।

/ জি, কথা সত্য। এবার বলেন কোন বউ এইটা বলেনা 'তোমার সংসারে আইসা আমার জীবনটা ছাড়খার হইয়া গেল ' -উহারা গার্ল ফ্রেন্ডের পিছনে হাজার হাজার টাকা খরচ করিলেও উহাদের নিজেদের বউ বাচ্চাদের পেছনে টাকা খরচ করিতে গেলে উহাদের মানি ব্যাগে শনির দশা লাগিয়া যায়। / তাই না?, বউ বাচ্চাদের জন্য মানিব্যাগে বরাদ্দ না থাকিলে উহারা বুঝি আসমানি হাওয়া খাইয়া বড় হয়? আর যেসব গার্লফ্রেন্ড পুরুষের মানিবাগের সাইজ দেইখা সম্পর্ক করে উহারা বুঝি মেয়ে না? তাদের বেলা? -উহারা পরকিয়া করিতে ভালোবাসেন। / সত্য কথা, কাদের সাথে করে? লতা, পুষ্প, বৃক্ষ, মেঘ এর সাথে তো নয়, আরেকজন নারীর সাথেই করেন। ঐ পক্ষের ভগিনী কেন আরেকজন ভগিনীর সংসার ভাঙ্গিয়া এই কাজ করিতে পারে? তখন নারী অধিকার কই থাকে? -উহাদের চামড়া পাতিলের তলার ন্যায় হইলেও উহারা বিবাহের জন্য ময়দার মত ধলা মেয়ে খুঁজিয়া বেড়ান।

/ জী, এইটাও খুব ঠিক কথা। আপ্নিও আপনার ভাইয়ের জন্য ধলা কন্যাই খুজিবেন, আর যদি সে নিজে থেকে কালো মেয়ে বিয়ে করে নিয়ে আসে তবে আপ্নিইই দাঁর বন্ধ করিয়া কাঁদিতে বসিবেন। উহারা সিগারেট খাইয়া নিজেদের মহাপুরুষ বলিয়া চালাইয়া দিতে চেষ্টা করেন। / কে বলিয়াছে? গুল্ডলীফ কোম্পানীর মালিকের কন্যা নাকি? -উহারা কয়েকজন এক জায়গায় আড্ডা দিতে বসিলে একটু পর ঝগড়া বাধাইয়া দেন। তাহার পর মারামারি, কাটাকাটি, খুনাখুনি করিতেও উহারা দ্বিধা বোধ করেন না।

/ মেয়েরা একজায়গায় হইলে যে কি আলোচনা চলে এইডা নিয়া বহু কৌতুক আছে, আমি আর পুনরাবৃত্তি করিব না। ! নাকি বলিবেন অইসব শাড়ি, গহনা, হাবিজাবি আলাপ তো পুরুষেরাই করিয়া থাকে! আর চুলাচুলি বলিয়াও এক খানা শব্দ আছে, এইটা তাইলে কারা করে কে জানে! -উহারা অপরিচ্ছন্ন বিধায় উহাদের গায়ে যে রকম মহিষের মত দুর্গন্ধের প্রাদুর্ভাব হয় উহারা তা ম্লান করিতে কড়া পারফিউম ইউজ করেন। / আমি তো জানিতাম ইহা ফরাসী জাতির বৈশিষ্ট, উহারা সব পুরুষ নাকি? উহাদের মইধ্যে কি নারী নাই? -উহারা নারীদের মন পাওয়ার জন্য সব রকম ফন্দি ফিকির করিয়া থাকেন। পরে যদি বুঝিতে পারেন নারী তাহাদের প্রেমে পরিয়াছে উহারা ভাব ধরেন। / ইহা জানিয়াও মেয়েরা পুরুষদের প্রেমে হরদম পড়িতেছে, আজব তো! -উহারা চোখে সান গ্লাস লাগাইয়া ভাবেন উহাদের বুঝি খুব হেন্ডসাম লাগিতেছে।

/ হেন্ডসাম লাগিলে লেগসাম ভাবিবে কেন? আর মেয়েরা কি উদ্দেশে সান গ্লাস পড়িয়া থাকে একটু জানায়ে যাইতেন! -উহারা টিচার হইলে সব সময় ক্লাসের সব চেয়ে সুন্দরী ছাত্রীকে পড়া ধরিয়া থাকেন। / ধরিবেই তো, সুন্দরীগুলা যে সারাদিন রূপচর্চায় ব্যস্ত থাকে, পড়াশোনার সময় পায়না, ক্রমশ একটা গাধায় পরিনত হয় এইটা তো দুনিয়ার সবাই জানে, পড়া উহাকে আগে ধরিবে না তো কাকে ধরিবে? -উহাদের বুড়া বয়েসে ভীমরতি পরিলক্ষিত হয়। উহারা নিজের মেয়ের বয়সী মেয়েকে বিবাহ করিয়া আনেন। / এই কথায় কবি নীরব হওয়া পড়িল! তয় সামান্য কথা আসে। মেয়ে যখন বাপের বয়সী কারও সাথে প্রেম করিয়া পূর্বের সংসার ভাঙ্গিয়া বিবাহ করিয়া ফেলে সেইখানে সব দোষ পুরুষ কে দিলে চলিবে? ** ইহা নিতান্তই ফান পোস্ট, দয়া করিয়া কেউ সিরিয়াস হইবেন না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।