আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বপ্নভঙ্গ:

বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা, প্রত্যাশা ও সম্ভাবনার সংগ্রহমালা

অনেক বছর আগে রাজাকার জামাতীদের একটি বই পড়ার সুযোগ হয়েছিল। স্বভাবত:ই বইটির লেখকের কোন নাম নেই। জামাতী নেতাদের হাতে ঘুরতো বইটি। বইটির নাম হচ্ছে "স্বপ্নভঙ্গ"। আজকাল চারদিকে তাকিয়ে আবারও বইটির কথা খুব মনে পড়লো।

বইটির মূল প্রতিপাদ্য ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধ কতোটা নির্মম ও আত্মঘাতী ছিল। ভারতীয়দের প্রচারণায় ও উদ্যোগে দেশ স্বাধীন হয়েছে। পাকিস্তান হারাবার বেদনা বইটির পাতায় পাতায় ফুটে উঠে। বারবার বিদেশীদের কাছে ইসলামী আন্দোলন হোঁচট খায়। পাক স্থান না-পাক হয়ে যায়।

ধানী জমির বর্গা পাওয়ার মতো ইসলামের বর্গা নেওয়া দল জামাতীরা "ইসলাম গেল আর ইজ্জত গেল" বলে চারদিকে বেইজ্জতি শুরু করে। একাওরের স্বপ্নভঙ্গের বেদনা আরেকবার মোচড় দিয়ে উঠে যখন তারা দেখে 2007-এ বাপ-চাচার খালি মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগ আবার বিলীন হতে যাচ্ছে। সত্যি দু:খজনক স্বপ্নভঙ্গ। একা একা মাঠে গোল দেওয়ার আনন্দ সত্যি খুব স্বগর্ীয়। খোদার গজবে আর সুনামিতে এদেশের সকল মুক্তবুদ্ধির মানুষের বিলীন হয়ে যায় না কেন? তাহলে মস্তিস্কবিহীন জলহস্তীর দল ও তাদের পোষ্যরা আবারও মৃত বিবেকের কবরস্থান পাহারা দিতে পারে।

বাধ সাধছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আর কুফরী শক্তি। অনেকেই চার বার হেরে এবারই প্রথমবারের জেতার স্বপ্ন দেখছিল তাও কপর্ুরের মতো উবে যাচ্ছে। একাওরের ফেরারীদের জন্য এই সুবর্ণ সুযোগ এভাবে মাঝ পথে হারাবার বেদনাটা সত্যি খুব গভীর। জাতীয়তাবাদীদের ঘাড়ে সওয়ার হয়েছে জেহাদী সৈনিকরা। আজকের খবরে দেখলাম আবার জেএমবির সদস্যরা অস্ত্র ও জেহাদী বইসহ ধরা পড়া শুরু হয়েছে।

এই অশনি সংকেত নতুন ভাবে হুমকি দেওয়ার জোর প্রস্তুতি। তবে লোক হাসানো আর সাজানো নির্বাচনের এই পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার দৃশ্য সত্যি বেদনাদায়ক। সুখকর স্বপ্ন দেখতে দেখতে এই অকস্মাৎ দিবাস্বপ্নের ভঙ্গের কান্না আবারও শোনা যাচ্ছে। দয়া, দাক্ষিণ্য ও করুণার প্রত্যাশায় আবারও প্রার্থনা শুরু হয়েছে। মাথামোটা মস্তিস্কবিহীন জলহস্তীর দল যুদ্ধ করছে নিজের ছায়ার সাথে।

এর আগেও এধরণের লোক দেখানো নির্বাচন করে নাকে খত দিয়ে নতুন করে নির্বাচনে যেতে হয়েছিল। যার একবারে শিক্ষা হয় না, তাদের কি শতবারেও হবে? হোঁচট খেলে গর্দভগুলো নড়ার চেস্টা করে। একে ডাকে, ওকে ডাকে। কস্ট লাগেই এতোটা জনপ্রিয়তার বন্যায় ভাসমান দলের এরকম ছলচাতুরীর নকশা সাজিয়ে উতরাবার চেস্টা দেখতে। তাই হুজুরের ওয়াজের শেষ অংশ হচ্ছে মহাপ্রলয়ের বজ্রধ্বনি।

ভয়ে এবার তোশকের নীচে গিয়ে আশ্রয় নিন। গজব নামবে। সংবিধান ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। যারা সকল সাংবিধানিক বিধান ভেঙ্গে সামরিক আইনের আশীর্বাদে আত্মপ্রকাশ করেছে আর যারা জাতীয়তাবাদী টুপি পড়ে একাওরের হাতের রক্তের দাগ মুছতে ব্যস্ত তাদের কাছে সংবিধানের পবিএতা? এর চেয়ে বড়ো উপহাস আর কি হতে পারে? জলহস্তী আর তাদের টুপি পড়া মাহুতের এই দুর্দশা দেখে কি আপনারা একাত্ম হবেন না? নতুন গোলামের স্বপ্ন দেখতে দেখতে এক নাটুকে নাবালকের প্রস্থান। হাস্যকর হলেও বাস্তব।

তারপরেও গর্তে পড়া জলহস্তীকে দেখে হাসতে নেই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।