আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারতীয় কুটনীতিবিদ গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশের নির্বাচন

দেশকে ভালবাসি

অবাক হওয়ার মত বিষয়! সুদূর আমেরিকাতে এক ভারতীয় কুটনীতিবিদ গ্রেপ্তারের সাথে বাংলাদেশের নির্বাচনের কি সম্পর্ক থাকতে পারে? আসলে অন্তদৃষ্টি, দূরদৃষ্টি ও প্রজ্ঞাহীন অধিকাংশ বাংলাদেশীদের জন্য অবাক হওয়ার মতই বিষয়। আসুন সকলে মিলে অন্তরচক্ষু খোলা রেখে, স্থিতিস্থাপকতা (ব্যালেন্স) বজায় রেখে বিষয়টি বিশ্লেষণ করি। কিছুদিন ধরেই বাজারে গুজব যে, আমেরিকান রাষ্ট্রদূত এবং ভারতীয় রাষ্ট্রদূত শংকর স্বরণের মধ্যে আমাদের নির্বাচন নিয়ে বোঝাপড়া হচ্ছে না। মাজিনা দিল্লী পর্যন্ত গিয়ে তাদের ঐ মতানৈক্যের একটি সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করে, কিন্তু ফলপ্রসু হয়নি। এখন বিষয়টি পরিস্কার, কুটনৈতিক টানাপোড়নের গুজবটি এখন বাস্তবে রূপ লাভ করছে।

যেহেতু তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ ভারত আমেরিকার সাথে কুটনৈতিক সমঝোতায় আসতে ব্যার্থ হয়েছে, ঐ বেচারি দেবযানীর গ্রেপ্তার ছিলো আমেরিকার তরফ থেকে ভারতের জন্য একটি কুটনৈতিক চপটাঘাত (থাপ্পর)। অথচ আমেরিকায় চাকুরীরত তৃতীয় বিশ্বের কুটনীতিবিদরা কমবেশি সকলেই এ ধরনের দোষে দোষী। তবে কেন ভারতীয় দেবযানীর সম্মানের উপর এমন মরণাঘাত? তাকে গ্রেপ্তার করা যেতো বাসা থেকে, কিংবা আর কোথাও লোকচক্ষুর অন্তরালে। কেন দিনের আলোতে স্কুলের সামনে নিজ সন্তান ও উপস্থিত অনেক সাধারণ জনগণের সামনে হাতকড়া লাগিয়ে গ্রেপ্তার করা হলো? হতে পারতো অপর কোনো মধ্য বয়সী ভারতীয় পুরুষ কুটনীতিবিদ, কিন্তু না। একে আমেরিকানরা বলে পিআর ক্যাম্পেইন।

যে কোনো একটি ঘটনাকে সর্বাধিক প্রচার এবং জনসাধারণের কাছে স্পর্শকাতর করে তুলতে হলে, ঘটনার সাথে একটি সুন্দরী মেয়ের উপস্থিতি প্রয়োজন। এতে খবরের আবেদন হয় অনেক বেশি। বেচারী দেবযানীর রূপ, চাকুরীর অবস্থান এবং ভারত/আমেরিকার সম্পর্কের বর্তমান টানাপোড়েন হচ্ছে তার সম্মানের উপর নিপতিত গযবের মূল কারণ। এদিকে ইউপরোপিয়ান ইউনিয়নের বাংলাদেশে অবস্থানরত সদস্যরা আমাদের বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সরকারি দাওয়াত পেয়েও যোগদান করেনি। এটা ছিলো তাদের তরফ থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অপর এক চপটাঘাত (থাপ্পর)।

এখানে মজার বিষয় হচ্ছে কুটনৈতিক চপটাঘাত ভারত পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারলেও আমাদের মাথা মোটা আওয়ামী লীগ সরকার নাও বুঝতে পারে। কারণ যারা তথাকথিত মুসলমান মুশরিকদের আদেশ/উপদেশকে নিজের জন্য ভাল মনে করে তাদের শরীরের উপরের অংশ মাথা থাকতে পারে, মগজ থাকার কথা নয়। আমাদের বর্তমান আওয়ামী সরকার কর্তৃক পরিচালিত গণহত্যা ও চেতনাহীন কর্মকা- তাই প্রমাণ করে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে ভারতীয় স্বার্থ কি? তা বুঝতে হলে সিকিম নামের তৎকালীন স্বাধীন দেশটি ইতিহাসের দিকে দৃষ্টিপাত করলেই তা বুঝা যাবে। তবে আমেরিকা তথা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের স্বার্থ কি তা বুঝতে হলে যারা ইংরেজি ভাল বুঝেন তারা পড়ে দেখতে পারেন।

তাদের স্বার্থের বিষয়টি অনেক গভীর এবং লম্বা সময়ের পরিকল্পনা, সকলের পক্ষে বোধগম্য নয়। তবে বর্তমান সময়ের বিশ্ব কুটনৈতিক বোলচালে ধারণা করা যায় যে, ভারত প্ররোচিত সন্ত্রাসী আওয়ামী শাসনের দিন ফুরিয়ে এসেছে। এ যাত্রা বাংলাদেশ সিকিম হওয়া থেকে হয়তো বেঁচে যাবে। এতসব রাজনৈতিক হত্যাকা-ের চরম মূল্য দিতে হবে বর্তমান সরকারকে। কারণ ভারতকে আন্তর্জাতিক ভাবেই বাধ্য করা হবে আওয়ামী লীগের জন্য প্রসারিত সহযোগিতার হাত গুটিয়ে নিতে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.