নারী আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠুক এবং সর্বত্র স্বাধীনতা ভোগ করুক যার ইতিবাচক প্রভাবে দেশের উন্নয়ন সাধিত হোক আমরা তা চাই এবং তাদের যে ছুটির ঘোষণা হলো এটার সাথে সাথে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের ইচ্ছার প্রতিফলন থাকতে হবে। মাতৃত্বকালীন সময়টা একজন মায়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান সময়। দেশে সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ৬ মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি থাকলেও বেসরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম-নীতি ছিলো না। এর আগে নারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস করেছিলো সরকার তবে তা শুধু সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে। এ উদ্যোগের ফলে কর্মজীবী নারীরা মাতৃত্বকালীন সময়ে সন্তান লালন পালনের ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারার দ্বার উন্মোচিত হয়েছিলো।
উল্লেখ্য, এ ছুটি প্রথম অবস্থায় ছিলো ৩ মাস পরে এটাকে বাড়িয়ে ৪ মাস করা হয়েছিলো। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে এ ছুটি ৬ মাস করেছে। তবে এ ছুটি কেবল সরকারি অফিস আদালতে কার্যকর হয়েছিলো। আর এবার তা বেসরকারি অফিসেও কার্যকর হতে যাচ্ছে। নিঃসন্দেহে এটা একটি সুখবর এবং এর জন্য সরকারকে আমরা অভিনন্দন জানাই।
সম্প্রতি জানা গেছে, সরকারি চাকরিজীবীদের মতো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার এবং খুব দ্রুত এ বিষয়ে আদেশ জারি করা হবে ও এটাকে কার্যকর করা হবে। মাতৃত্বকালীন সমস্যা কম বেশি প্রায় সব নারীর একই এবং এটি একটি জটিল সমস্যা। কারণ সদ্যজাত শিশুকে বাসায় রেখে অফিস করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এর ফলে মায়ের মন সর্বক্ষণ অফিসমুখি রাখা খুবই কষ্টকর। ছোট শিশুটিকে বাসায় কার কাছে রেখে আসবে এবং শিশুটি নিরাপদে থাকবে কি-না এ নিয়ে যদি একজন মা সারাক্ষণ চিন্তার মধ্যে থাকে তাহলে তার পক্ষে অফিসের কাজে মনোযোগ দেয়া সম্ভব নয়।
এ ছাড়া শিশুটির মায়ের অনুপস্থিতিতে নানা ধরনের বিপদ হতে পারে। সুতরাং সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকারের এ সিদ্ধান্ত সারাদেশের মানুষের জন্যই একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। এখন সরকারকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যেন, এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কোনোরূপ বাধা সৃষ্টি না হয়। কারণ অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এটাকে অবহেলা করা বা এটা না মানার চেষ্টা করতে পারে। সেদিকে সরকারের সুনজরদারি থাকতে হবে।
তা না হলে এ আদেশ নাও মানা হতে পারে। এবারের এ ৬ মাস মাতৃত্বকালীন ছুটির সিদ্ধান্তের সাথে সাথে বেসরকারি শিক্ষকদের বাড়ি ও চিকিৎসা ভাড়াও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। আমরা আশা করি এটাও দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। কারণ বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ১০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ১৫০ টাকা দেয়া হয়। এটা কখনই মেনে নেয়া যায় না।
যারা শিক্ষকতার সাথে জড়িত যাদের বলা হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর তাদের যদি এ সময়ে ১০০ টাকা বাড়ি ভাড়া হয় তবে তা বাস্তবতার সাথে কতোটুকু সঙ্গতিপূর্ণ এটা ভেবে দেখা দরকার! তাই এ টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকেও আমরা সাধুবাদ জানাই এবং তা যেন বাস্তবতার নিরিখেই হয়। নারী আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠুক এবং সর্বত্র স্বাধীনতা ভোগ করুক যার ইতিবাচক প্রভাবে দেশের উন্নয়ন সাধিত হোক আমরা তা চাই এবং তাদের এ যে ছুটির ঘোষণা হলো এটার সাথে সাথে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের ইচ্ছার প্রতিফলন থাকতে হবে। আমরা আশা করি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকরাও এখন এ সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন ঘটাবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।