পবিত্র কোরআনে আমাদেরকে মহান আল্লাহ আদেশ করেছেন, “যারা মহান আল্লাহকে ছেড়ে অন্যের পূজা করে তাদেরকে তোমরা গালি দিও না, কেননা এর ফলে অজ্ঞতার কারণে তারাও তোমাদের প্রভুকে গালি দিতে পারে। ”
এতো গেল মহান স্রষ্টার প্রসঙ্গ। এবার আসি আমাদের জীবনের চেয়েও প্রিয় মহা মানব হযরত মোহম্মদ (সঃ) এর প্রসঙ্গে।
কোন সন্তানের সামনে তার পিতাকে কেউ কটু কথা বললে সেই সন্তান চুপ থাকতে পারে না। কারণ সন্তানদের কাছে তার পিতা হচ্ছে সবার চেয়ে বেশী সম্মানিত।
কিন্তু আমাদের মুসলিমদের কাছে মহানবী (সঃ) হচ্ছেন আমাদের প্রিয় পিতার চেয়েও বেশী সম্মানিত। এই মহা মানবের জন্য আমরা মুসলিম সন্তানেরা নিজেদের পিতাকেও কুরবানী দিতে পারি। এখন কেউ যদি আমাদের এই মহা মানবকে নিয়ে অশ্লীল কথা বলে, মিথ্যাচার করে, তাকে হেয় করে তাহলে আমরা কি করবো??? আশা করি বুদ্ধিমান ও বিবেকবান মানুষেরা তা সহজেই উপলব্ধি করতে পারবে। আমরা আমাদের জীবনের চেয়েও আমাদের পিতাকে ভালবাসি। আর পিতার চেয়ে লক্ষগুন বেশী আমাদের মহা মানব নবী মোহাম্মদ (সঃ)কে ভালবাসি।
আর ভালবাসার মানুষটিকে হেয় করলে একজন মানুষ কি করতে পারে আশা করি মানুষ মাত্রই এই বিষয়টা উপলব্ধি করতে পারবে।
হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে ব্যঙ্গ করে চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতিবাদে লিবিয়ায় রকেট হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেনস নিহত হয়েছেন। এই রকেট হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের আরো তিন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে ব্যঙ্গ করে যুক্তরাষ্ট্রে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতিবাদে বেনগাজিতে ওই কনস্যুলার ভবনে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধরা। তখনও যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা নিহত হন।
হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে ব্যঙ্গ করে চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতিবাদে লিবিয়ার প্রতিবেশি দেশ মিশরেও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে হামলা হয়েছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা নামিয়ে তা পুড়িয়ে ফেলা হয়। তারপর দূতাবাসে একটি কালো পতাকা উত্তোলন করার চেষ্টা চালায় বিক্ষুব্ধরা যাতে লেখা ছিল, “আল্লাহ ছাড়া কোনো প্রভু নাই এবং হযরত মোহাম্মদ (সা.) তার প্রেরিত দূত। ”
ছবিটার অংশ বিশেষ দেখার সুযোগ হয়েছে। আল্লাহর কসম, এমন একটা জঘন্য মুভি তৈরীর জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তিই প্রাপ্য ।
কত বড় জানোয়ারের বাচ্চা হলে ইতিহাসের সত্য ঘটনাকে সম্পূর্ণ ভাবে উল্টিয়ে মানুষ এমন একটা মিথ্যা ও জঘন্য মুভি তৈরী করতে পারে।
ইসলাম ধর্ম মতে কেবল অন্যায়কারী ব্যক্তিই শাস্তি পাবার যোগ্য। একজনের অন্যায়ের জন্য আরেক জনকে অবশ্যই শাস্তি দেয়া গুরুতর অন্যায়। কিন্তু অন্যায়কারীকে যে প্রশ্রয় দেয় অবশ্যই সেও একজন অন্যায়কারী। আজ যদি যুক্তরাষ্ট্র সরকার এহেন ইসলাম বিরোধী কর্মাকান্ডে তাদের নাগরিকদের বাধা দিত তাহলে হয়তোবা দৃশ্যপট ভিন্ন হতো।
তাই পরিষ্কার করেই বলতে চাই মার্কিন সরকারী কর্মকর্তার মৃত্যুর জন্য মার্কিন সরকারই দায়ী। যে দেশের সরকার তাদের নাগরিকদের অন্যায়ে বাঁধা দেয় না অবশ্যই সে দেশের সরকারী কর্মকর্তারা এমন পরিস্থিতির মুখোমুখী হবেই।
সকল ইসলাম বিদ্বেষীদের বলতে চাই, নবী মোহাম্মদ কেবল তোমাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছে। দাওয়াত কবুল করা আর না করা তোমাদের ব্যাপার। কিন্তু কেবল মাত্র ইসলামের দাওয়াত দেয়ার জন্য একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে যিনি আমাদের দেড়শ কোটি মুসলিমদের কাছে নিজের জীবনের চেয়েও প্রিয় তাকে হেয় করলে আমরা তোমাদের ছেড়ে দেব না।
ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে প্রস্তুত থেকো। যদিও তোমরা বুঝতে পারছো না যে তোমরা ঘুমন্ত এক জাতিকে নিজেদের অজান্তে জাগিয়ে দিচ্ছ, যে জাতি একবার একত্রে জেগে উঠলে পালাবার পথ পাবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।