আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তুমি আরেকবার আসিয়া যাও মোরে হাসাইয়া---

জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন, বই হলো তার বাহন, আইনের মৃত্যু আছে কিন্তু বইয়ের মৃত্যু নেই। এক কৃষক খালি হাতে মাঠ থেকে ঘরে ফিরে এল। বউ জিজ্ঞেস করল, আরে, তোমার কোদাল কোথায়? গলা চড়িয়ে কৃষক বলল, যাহ, কোদাল ভুলে মাঠে ফেলে এসেছি। বউ শান্ত গলায় বলল, গলা নামিয়ে বলো। কথাটা কেউ যদি শুনতে পায় তা হলে সে মাঠে গিয়ে তোমার কোদাল চুরি করে নিয়ে যাবে।

যাও, তাড়াতাড়ি মাঠে গিয়ে কোদাল নিয়েএসো। কৃষক তাড়াতাড়ি মাঠে গেল। কিন্তু কোথায় কোদাল? চুরি হয়ে গেছে। বাড়ি ফিরে কৃষক গলা নামিয়ে বউয়ের কানের কাছে ফিসফিস করে বলল, কোদাল চুরি হয়ে গেছে। বিবাহবার্ষিকীর রাতে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রী তার স্বামীকে বলল, ‘শোনো, আমি স্বপ্ন দেখলাম যে তুমি আমাকে কাল সকালে একটি নেকলেস ও হীরার আংটি দিচ্ছ।

এর মানে কী, তুমি বলতে পার? তুমি কি সত্যিই আমাকে এগুলো কিনে দেবে?’ শুনেই স্বামীর পিলে চমকে গেল। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই স্বামী হন্তদন্ত হয়ে বাইরে গেলেন। কিছুক্ষণ পর ফিরে এলেন কাগজে মোড়ানো একটি প্যাকেট নিয়ে। প্যাকেট দেখেই স্ত্রীর তো চোখ-মুখ হাসিতে ঝলমল। দ্রুত স্ত্রী প্যাকেট খুললেন।

ভেতরে একটা বই। বইয়ের নাম—খোয়াবনামা। স্বামী-স্ত্রীর কথা হচ্ছে- : আচ্ছা এভাবে যদি জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকে, তাহলে আমরা কী করব ? : সবাই যখন কষ্ট করে জিনিসপত্র কিনবে আমরা আরাম করে বসে বসে দেখব। : কীরে ! এত দেখেশুনে শেষমেশ এই খাটো মেয়ে বিয়ে করলি। : আরে ! বিপদ যত ছোট হবে ততই তো ভালো।

: কী করে, তোর নাকি শুনলাম বউয়ের সাথে মাসে তিরিশ দিনই কথা বন্ধ থাকে? : না, ঊনত্রিশ দিন। : মানে ??? : বেতন যেদিন পাই সেদিন ঘরে ঢোকার পরই হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলে- ‘দে’। স্ত্রী : বিয়ের আগে কি তোমার কোনো বান্ধবী ছিল? স্বামী : না, তুমিই প্রথম। স্ত্রী : কাল যে মেয়েটির সঙ্গে খুব হেসে কথা বলছিলে ওই মেয়েটি তা হলে কে ? স্বামী : ওর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছে বিয়ের পর। বিয়ের ৪র্থ দিনের মাথায় অফিসফেরত স্বামীকে স্ত্রী একটি নতুন খবর আছে জানাল।

কৌতুহলী হয়ে স্বামী সেটা কী জানতে চাইল। ‘কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের এই বাড়ির সদস্য সংখ্যা দুই থেকে তিন-এ দাঁড়াতে যাচ্ছে … ’ স্ত্রী এ কথা জানাতেই স্বামী এসে খূশী হয়ে ---বলল- : এত বড় সংবাদ দিতে তুমি আমার অফিস থেকে ফেরা অবধি অপেক্ষা করেলে কেন ? : কী আশ্চর্য ! আমি তো টেলিগ্রামই পেলাম এই মাত্র। তাছাড়া আমি কি আর বুঝতে পেরেছি আমার মা আমাদের সঙ্গে থাকতে আসবে শুনে তুমি এত খুশি হবে !!! স্ত্রী : তোমার এই টানাটানির সংসারে আমি আর থাকতে পারব না, আমি বাপের বাড়ি চললাম। স্বামী : রাগটা কাল করলে হয় না? স্ত্রী : মানে? স্বামী : মানে আজ ২৪ ঘন্টা হরতাল কিনা। স্ত্রী : কী ব্যাপার! বাজার থেকে পেঁয়াজ আননি কেন, দাম বেশি বলে পেঁয়াজ আনবে না? স্বামী : না, ঠিক তা নয়।

স্ত্রী : তাহলে? স্বামী : পেঁয়াজ কাটতে বসে তুমি প্রতিদিন চোখের জল ফেলবে, দৃশ্যটা আমি সহ্য করতে পারি না। নারী+পুরুষঃ কেনাকাটা নারী : প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লিস্ট বানিয়ে বাজারে গিয়ে সেগুলো কিনে আনে। পুরুষ : যতক্ষণ না বাড়ির চাল-ডাল সব শেষ বলে বউ চেঁচাতে শুরু করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বাজারে যেতে চায় না। বাজারে গিয়ে যা পছন্দ হয় তা-ই কিনতে চায়। কখনো কখনো দাম দিতে গিয়ে দেখে, সে মানিব্যাগ আনতে ভুলে গেছে।

মিতব্যয়িতা নারী : এক টাকা দামের জিনিসের জন্য কখনোই দুই টাকা খরচ করবে না। তা সে যত পছন্দসই হোক না কেন। পুরুষ : যা পছন্দ হবে তা কিনতেই হবে। জিতে কিংবা ঠকে যেভাবেই হোক। তর্ক নারী : তর্কাতর্কির শেষ কথাটি হবে নারীর।

পুরুষ : নারীর পর পুরুষের কথা বলা মানে নতুন তর্কের শুরু। প্রেম পুরুষ: প্রতিটি পুরুষই চায় কোনো নারীর প্রথম প্রেম হতে। নারী: নারীরা চায় তারা তাদের ভালোবাসার পুরুষটির শেষ প্রেম হোক। স্মৃতি নারী : যে পুরুষটি তাকে বিয়ে করতে চায় তাকে সারা জীবন মনে রাখে। পুরুষ : সেসব নারীকে মনে রাখে যাদের সে বিয়ে করেনি।

বাথরুম পুুরুষ : সাধারণত ছয়টি জিনিস থাকে। সাবান, সেভিং ক্রিম, রেজর, টুথব্রাশ, আর তোয়ালে (ক্ষেত্রবিশেষে কোনো হোটেল থেকে চুরি করা)। নারী : সাবান, টুথব্রাশ, টুথপেস্ট তো আছেই সেই সঙ্গে শ্যাম্পু, চিরুনি, লিপস্টিক….আরও কত কী! বেশির ভাগ জিনিস পুরুষেরা চিনবেই না। সন্তান নারী : নারীরা তাদের সন্তানদের পুরোপুরি চেনে। তাদের সুখ, দুঃখ, স্বপ্ন, বন্ধু, গোপন ভয় এমনকি গোপন প্রেম সম্পর্কেও তারা জানে।

পুরুষ : নিজের বাড়িতে মোট কয়জন মানুষ আছে তা-ও সব সময় মনে রাখতে পারে না। অলংকার নারী : যেকোনো ধরনের অলংকার পরলেই নারীদের সুন্দর দেখায়। পুরুষ : বড়জোর একটা আংটি কিংবা ব্রেসলেট। এর চেয়ে বেশি কিছু পরলেই লোকে মন্দ বলতে শুরু করে। বন্ধু নারী : বান্ধবীরা মিলে আড্ডা দিতে গেলে নিজেদের সুখ-দুঃখের আলাপেই ব্যস্ত থাকে।

পুরুষ : পুরুষদের আড্ডায় ‘দোস্ত তোর লাইটারটা দে তো’ জাতীয় কথাবার্তাই বেশি শোনা যায়। বাইরে খাওয়া নারী : ভাগাভাগি করে বিল দেয়। পুরুষ : সবাই চায় অন্যের ওপর বিল চাপিয়ে দিতে। কারও কাছেই ভাংতি থাকে না। কাপড় ধোয়া নারী : প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত কাপড় কাচে।

পুরুষ : চিমটি কাটলে ময়লা বের না হওয়া পর্যন্ত কাপড়ে সাবান ছোঁয়ায় না। নেট থেকে----------------সংগ্রহ করেছি। আগে পড়ে থাকলে আবারও পড়ুন। যতই পড়িবে ততই জ্ঞান বাড়িবে  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।