কবঠ
প্রয়োজনে আরো একবার গর্জে উঠব আমরা ঠিকই। তবে হিংসা দিয়ে হিংসা জয় করা যায় না। সর্বচ্চ ধর্য্যের পরীক্ষা সবাইকে দিতে হবে ওরা চাইছে সংঘর্স। আমরা চাই ফাসি। করো সাথে আমাদের কোন বিরোধ নেই।
ফাসি কার্যকর হলেই আমরা যার যার বাড়ী ফিরে যাব। ইতিমধ্যেই অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। সরকারের ভুল রাজনীতির কারণে। ধর্মরাজনীতি নিষিদ্ধ করে বিচরটা শুরু করলে আজকের এই দিনটি আমাদের দেখতে হতো না। সরকার ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে এনেছেন।
আম্বাদের এই ভাবনা থেকে বেড়িয়ে আসতেই হবে যে, কোন মৌলবাদী মানুষের ভোট কখনো নৌকায় পড়বে না। মৌলবাদের সিম্বল ধানের শীশ, দাড়িপাল্লা আর নয়তো লাঙ্গল। আইনগত ভাবে এদেরকে বাচিয়ে রাখার অর্থ নিরবে নিভৃতে জামাতবিএনপিকে সর্মথন যুগিয়ে যাওয়া। সরকার এই সাধারন সমীকরনটি কেন বুঝতে চাইছে না। তা ঠিক বোধগম্য নয়।
৭২ থেকে ২০১৩ চল্লিশ বছর পাড় করেও আমরা ধর্মান্ধই রয়ে গেলাম। ধর্মের ব্যাবহার করে আজও আমাদের রাজনীতি করতে হয়। এই চল্লিশ বছরে আমরা কি শিখলাম। মৃত্যু আনিবার্য এবং এটাই স্বাভাবিক। জীবন ও মৃত্যুর চক্র হতে এযাবত কেউ নিস্তার পেয়েছে বলে শোনা যায়নি।
মৃত্যুভয় থেকেই মুলত ধর্ম পালনে মানুষ নিজেকে সম্পৃক্ত করে। বাংলাদেশের শতকরা সাতাশি ভাগ মানুষ মুসলমান। তারা বেশ সাচ্ছন্ধে তাদের ধর্ম করও করে। ধর্ম নিয়ে কেউ কথা বলেছে এমনটি শোনা যায়নি। তবুও বৈষয়িক ও রাজনৈতিক লাভের জন্যই আমরা ধর্মকে ব্যাবহার করে যাচ্ছি।
কেন আজকেও আমাকে ধর্মান্ধ হয়ে বাচতে হবে। বিবেকের কাছে যে মানুষটি দায়বদ্ধ তার আর কোন দায় থাকার কথা নয়। এই সহজ সরল উপলদ্ধি টুকুই আমাদের অর্জন করতে হবে। বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ মানুষ কখনো কোন অন্যায় করতে পারে না।
তার যে অধিক প্রাপ্তির আঙ্কাক্ষা নেই।
যোগ্যতার বাইরে পাবার ইচ্ছাটাই মানুষকে পথ ভ্রষ্ট করে।
বেগম জিয়ার যোগ্যতার বাইরে যে, বিরাট অর্জন। সেই অর্জন টিকিয়ে রাখতে হলে এইসব অপশক্তি গুলির সহায়তা তার দরকার। তাই তিনি সবসময় অপরাজনীতি টিকিয়ে রাখতে যা যা দরকার তাই বেশ সুচারু রুপে করে যাচ্ছেন। বিএনপি ঘারানার মাথার কাজ যারা করেন একটু খোজ নিয়ে দেখলেই দেখা যাবে তারা সবাই পাকিস্তান মুসলিম লীগের পরিবার গুলোতেই তাদের শিকর প্রত্থিত।
তারা ধর্মান্ধ হলেও ধার্মিক নন। জুয়া, মদ ও মেয়ে মানুষে তাদের অরুচি নেই। ধর্ম পালনের চাইতে ধর্ম রক্ষাই তাদের কাছে মুখ্য। ধর্ম থাকলেই তারা বেচে থাকবেন। ধর্মকে আশ্রয় করে।
পূর্বপুরুষের সমস্ত প্রাপ্তি তারা এভাবেই টিকিয়ে রাখতে চান বলেই আজও ধর্ম স্বমহিমায় তার পূর্ববর্তী স্থানে অবস্থান নিয়ে রাজত্ব করে যাচ্ছে।
স্বাধীনতার বেয়াল্লিশ বছরে মাত্র তিনটি বছর আমরা মানুষের মত মানুষ হয়ে বাচতে পেরেছিলাম। সেটাও সম্ভব হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর কল্যাণে। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর আমরা আবার সবাই মানুষ থেকে মুসলমান হয়ে গেলাম। অদ্যাবধি আছি।
আর হয়তো কখনো মানুষ হতে পারবো না। এটাই আমাদের ভবিতব্য। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।