খুলনায় থাকার দরুন শাহাবাগ চত্বর এখনও আমি দেখিনি। তবে আমি এই আন্দোলন থেকে দূরে আছি তা বলব না । শীববাড়ী অবস্থান নিয়েছি । যদিও একটি দিন ও রাত্রি যাপন এর সৌভাগ্য এখনও হয় নাই। আন্দোলন এখানে তার নিজের গতিতেই চলছে।
কোন ধরনের রাজনৈতিক ইন্ধন ছাড়াই। চলছে পথ নাটক , চলছে মুক্তির গান, চলছে শ্লোগান। তবে আমি বলব না যে এখানে কোন ভাবে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহন করতে চায় নি। তারা অংশগ্রহণ করতে চেয়েছে আমরাও দিয়েছি। কিন্তু অংশগ্রহন টা ছিল শুধু আমাদের সাথে অবস্থান করা মাইকে গলাবাজি করা নয়।
কিন্তু এই আন্দোলন কেন?
সবাই হয়ত মনে করছেন আরে বেটা সারাদিন রামায়ন পড়ে সিতা কার মা । এত পুরাই আহম্মক। আরে আমরা রাজাকারের ফাসি চাই। আমার প্রশ্ন এটাই যে আমাদের কেন রাজাকার এর ফাসির জন্য আন্দোলন করতে হবে।
কেনই বা সরকার এরকম আইন করবে যে আইনের সংশোধন
এর প্রয়োজন পড়বে।
তাহলে কি সরকার এই রাজাকারদের বাচাতেই চেয়েছিল। কেনই বা চেয়েছিল । কেমন যেন সব কিছু ঘোলাটে মনে হল।
একটু চিন্তা করতেই মনে পড়ল আরে এত বাংলাদেশের রাজনীতি এখানে ক্ষমতার জন্য সবকিছুই সম্ভব। এর পরই মনে পড়ল ৯৬ এর কথা যখন জামাত এর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছিল এই আওয়ামীলীগ।
আর বিএনপি অরা ক্ষমতার জন্য এদের পতাকা বহুল গাড়িতেই চড়তে দিল।
আর এখন ক্ষমতার জন্য যে আওয়ামীলীগ এই রাজাকারদের সাথে আবার ও আতাত করেছে , এই রায় সেই প্রমানটাই দিল।
এইবার আমাকে অন্য এক চিন্তা গ্রাস করল তা হল সামনেই নির্বাচন আর এই নির্বাচনে এই ক্ষমতা লোভী দলগুলোকেই কি আমাদের ভোট তা দিতে হবে?
এখন বোধহয় আমাদের মাথায় এই চিন্তা টা ও নিতে হবে।
আর রায় গুলো কি কার্যকর করতে সরকার এই মেয়াদে পারবে নাকি আমাদের তাকে আরও পাঁচ বছর সময় দিতে হবে?
নাকি রায় কার্যকর করাতে আমাদের আবার ও প্রজন্ম চত্বরে আসতে হবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।