আজীবন নর্থ লাইন হয়েই থাকতে চাই। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সাথে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়। সে সময়ে যে সব এদেশীয় দোসর পাকিস্তানী সেনা বাহিনীকে হত্যা, ধর্ষণ, লুন্ঠন করতে সহায়তা করেছে তারা আজ আবার তাদের স্বস্বভাবে ফিরে এসেছে। পুড়িয়ে দিচ্ছে মন্দির, গীর্জা; ছড়াচ্ছে সামপ্রদায়িকতার বিষ বাস্প। পোড়াচ্ছে বাস, ট্রাক, ট্রেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
এটাই স্বাভাবিক, কারণ এদেশকে ওরা কখনো নিজেদের ভাবেনি, ভাববেও না। তাই এদেশের মানুষ, সম্পদ পোড়াতে তাদের কোন কষ্ট হবেনা।
খুব কষ্টে বলতে ইচ্ছে করে, যারা আজ সাঈদীর মতো ধর্ষক, রাজাকারকে বাঁচানোর জন্য প্রান দিচ্ছ তারা কি তার কুকর্মের জন্য পৃরষ্কার দিলে খুশি হতে? যাদেরকে সে/তারা সে সময়ে ধর্ষণ, খুন করেছে তারা কি তোমার কেউ নয়? তাহলে আজ তোমার বোন/মাকে জেলখানায় সাঈদীর হাতে তুলে দিয়ে আস ফূর্তি করার জন্য আর বাসায় গিয়ে চাঁদে সাঈদীর ছবি দেখ আর বগল বাজাও, আর বেহেস্তের গ্যারান্টি যোগাড় কর।
যে কথা বলতে চেয়েছিলাম তাই শুরু করতে পারলাম না। যাহো্ক, গত কয়েকদিনে জামাতের তান্ডব দেখে বিএনপির আবার ৭১ এ ফিরে যাবার খায়েশ হয়েছে।
পাকিস্তানে সেনাদের সেই অমোঘ সঙ্গ কি এত সহজে ভোলা যায়? এখনতো আর মরে গেলেও তাদের পাওয়া যাবেনা, তাই সে সময়ে যারা তাদের দোসর ছিল তাদেরকে মুক্তি দিয়ে, তাদের সাথে যোগ দিয়ে হিন্দুদের তাড়িয়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটানো আর কি। কীসের শাহাবাগের তরুণ প্রজন্ম! তারা কি এমন প্রমাণ দিতে পেরেছে যে তাদের যৌবন আছে! প্রমাণতো দিয়েছিলো রাজাকার আর পাকিস্তানী সেনারা। আহ! সেদিনের সে স্মৃতি ভোলা যায়! সত্যি আমার কষ্ট হয় বিএনপির জন্য, তারা এতো করল জামাতের জন্য কিন্তু সেই ৭১ এর স্বাদটা পেলোনা। শাহাবাগের তরুণরাতো বাচ্চা ছেলে তারা সেই স্বাদের বুঝবেই কি আর করবেই কি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।