এই দুনিয়ায় আসলে সবাই দেখতে সুন্দর। পার্থক্য একটাই,কেউ কেউ দেখতে সবসময়ই সুন্দর। আর কেউ কেউ দেখতে মাঝে মাঝে সুন্দর ফ্রান্সের সুদৃশ্য নিদর্শন আইফেল টাওয়ার এর কথা তো আমরা সবাই অনেক শুনেছি। বিভিন্ন ফটোগ্রাফে কিংবা সিনেমায় এই অপূর্ব ইমারত বা টাওয়ারটির চোখ ধাঁধানো কারুকাজও দেখেছি। কিন্তু এই টাওয়ারটি নির্মাণের পেছনের ইতিহাস আমরা হয়তো অনেকে জানিই না।
প্যারিসের আইফেল টাওয়ার(ফরাসি ভাসায়: La Tour Eiffel লা তুর ইফেল) পৃথিবীর বিখ্যাত কাঠামোর একটি এবং ফ্রান্সের অন্যতম একটি প্রতিক। গুস্তাভো আইফেলের নির্মিত ৩০০ মিটার(৯৮৬ ফুট) উচ্চতার এই টাওয়ার। ১৯৩০ সালে নিউইয়র্কে ‘ক্রাইসলার বিল্ডিং’ টির (Chrysler Building) নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত আইফেল টাওয়ারই ছিলো পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থাপনা।
আইফেল,রেলের জন্য সেতু ডিজাইন করতেন,টাওয়ারটি নির্মাণে তিনি সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছিলেন। তাঁর নামানুসারেই মিনারটির নাম রাখা হয়েছিলো ‘আইফেল টাওয়ার’।
১৮,০৩৮ টি লোহার বিভিন্ন আকৃতির ছোট ছোট কাঠামো জোড়া লাগিয়ে এই টাওয়ার তৈরি করতে ৩০০ কর্মীর প্রয়োজন হয়েছিল।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, ১৮৮৯ সালের ৩১ মার্চে মাত্র দুই বছর, দুই মাস, দুই দিনে টাওয়ারটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিলো। এতো উঁচু আর এমন আকৃতির টাওয়ার বানাতে কিন্তু খুবই কম শ্রম ব্যয় করা হয়েছে। এই টাওয়ারের নির্মাণ কাজটি পূর্তবিদ্যা (Civil Engineering) ও স্থাপত্যশিল্পের ক্ষেত্রে এক বিপ্লবের সূচনা করেছিলো।
১৯০৯ সালে এর চুড়ায় বসানো হয় একটি বেতার এন্টেনা।
এতে তার উচ্চতা আরও ২০.৭৫ মিটার (৬৬ ফুট) বেড়ে যায়। সেই থেকে আইফেল টাওয়ারকে বেতার তরঙ্গ প্রেরণের (Radio Transmision) জন্যও ব্যবহার করা হচ্ছে। পরে আইফেল টাওয়ারে একটি টিভি এন্টেনাও সংযোজন করা হয়েছে।
পক্ষন্তরে প্যারিসের আইফেল টাওয়ার ইতিমধ্যে পার করল ১২৭ বছর। এ টাওয়ার তৈরির সময় তেমন দৃষ্টি কাটতে পারেনি।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। শুরুতে এটি যেন একটি ধাতব বস্তুর চেয়ে খুব বেশি কিছু ছিল না। ১৮৮৭ সালের ২৬ জানুয়ারি আইফেল টাওয়ার চালু হয়। কাল প্রবাহে এ আইফেল টাওয়ার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারি নগরীর বিশেষ মর্যাদা এনে দিয়েছে। এ টাওয়ার বিশ্ববাসীর কাছে অন্যতম আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
টাওয়ার চালু হওয়ার পর শহরের মানুষ বিরক্ত হয়ে বলেছিলেন, প্যারিসের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেল। বিশিষ্টজনরা গর্জে উঠেছিলেন, এ যেন এক দৈত্য শহরের লজ্জা। এমনকি কমিটি গড়ে রীতিমত আইফেল টাওয়ার হটাও আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফরাসি সেনাবাহিনী নাৎসিদের অপব্যবহার রুখতে টাওয়ারের অংশবিশেষ ভেঙে ফেলার কথা ভেবেছিল, তারপর হিটলার স্বয়ং আইফেল টাওয়ার ধ্বংস করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যদিও তা অমান্য করা হয়েছিল।
দেরি না করে এখনই চলে যান আইফেল টাওয়ারে
আইফেল টাওয়ার
তথ্য ও ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।