আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তানভীরের আলিশান ভবনে নিষিদ্ধ পিতাঃ আল্লাহর গজব পড়ুক হারামজাদার মাথায়

মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন। যার নিজের রয়েছে ২৭টি গাড়ি, আগে-পিছে ১৪ গাড়ি যাকে সশস্ত্র পাহারা দিয়ে নিয়ে যায়, বিলাসী জীবন-যাপন যার- সেই হলমার্ক কেলেঙ্কারির হোতা তানভীর মাহমুদ তফসিরের পরিবারের হাল কেমন? রাজধানী ঢাকায় যার রাজকীয় প্রাসাদ, গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার আশুগঞ্জের তারুয়া গ্রামে যার আলিশান ভবন, সেই তানভীরের পিতার কি অবস্থা? না, মোটেই তা সুখকর নয়। গ্রামের আলিশান বাড়ি দূর থেকে দেখা ছাড়া তানভীরের পিতা নূরুল ইসলাম কালু মিয়ার ভেতরে প্রবেশের অধিকার নেই। একেবারেই নিষিদ্ধ। এ বাড়ির কলাপসিবল গেইট খোলা হয় কেবল তানভীর গেলেই।

তার পিতা বসবাস করেন আলিশান বাড়ির পেছনে পুরনো ভাঙা টিনের ঘরে। বেশভূষায়ও নেই তার পুত্রের বিলাসী জীবনের ন্যূনতম ছাপ। আর গাড়ি! সে তো কালু মিয়ার জন্য অলীক কল্পনা। বুধবার সরজমিন তারুয়া গ্রামে কথা হয় হাল আমলে আলোচিত তানভীরের পিতার সঙ্গে। পুরনো টিনের ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।

পায়ে প্লাস্টিকের স্যান্ডেল। পরনে অল্প দামি লুঙ্গি আর পাঞ্জাবি। বয়স সত্তরোর্ধ্ব। কেমন আছেন? বলেন, বাবা কেমন আর থাকবো? তানভীরের আলিশান ভবনে যাওয়ার কথা বললে কালু মিয়া বলেন, বাবারে এ বিল্ডিংয়ের চাবি আমার কাছে নেই। এ ঘরে আমার ছেলে এলেই থাকে।

আমি টিনের ঘরেই থাকি। কালু মিয়া বলেন, আমি এলুমিনিয়ামের ব্যবসা করতাম। অনেক কষ্ট করে সন্তানদের বড় করেছি। জমি বিক্রি করে তানভীরকে টাকা দিছি ঢাকায় ব্যবসা করতে। দোকান দিতে।

তানভীরের কেলেঙ্কারির কথা কি জানেন? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার ছেলে তো এসব আমারে জানায়নি। আলিশান বিল্ডিংয়ে বিরাট তালা ঝুলছে দু’-দিকের দরজায়। স্টিল দিয়ে বানানো ভারি দরজার ওপর কলাপসিবল গেইট। তাতে তালা। এই বিল্ডিংটির পাশেই একটি টিনের ঘরে থাকেন নূরুল ইসলাম কালু মিয়া।

গ্রামের সাদাসিদা এই মানুষটিকে দেখলে বুঝতে কষ্ট হয় তিনি কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক তানভীরের পিতা। কালু মিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় সেখানে উপস্থিত হন মসজিদের ইমাম রহমত উল্লাহ, এই গ্রামেরই বাদল মিয়াজী। নূরুল ইসলাম বলেন, ১০-১২ কানি ক্ষেত ও ঢাকার শেখেরটেকের বাড়ি বিক্রি করে তারে ব্যবসার জন্য টাকা দিছি। এই টাকায় প্রথমে ব্যবসা খোলে। আবার রহমত উল্লাহ ও বাদল মিয়াজী বলেন, তাইনের টেহা দিয়াই প্রথমে প্যাকেজিং কারখানা করে।

এর নাম ছিল হলমার্ক প্যাকেজিং। নূরুল ইসলাম জানান, তিনি অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবসা করতেন। ঢাকা, চিটাগাং ও কুমিল্লার এজেন্টদের কাছ থেকে মাল এনে এখানে বিক্রি করতেন। সহায়-সম্পদের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, সবই তো আমার। এখনও আমার ১৫-২০ কানি জমি আছে।

তানভীরের বাপ-চাচারা ৫ ভাই। সবার বড় কালু মিয়া। তারপর রহিছ মিয়া। তিনি রেশন দোকানি। তৃতীয় জন মোখলেছ মিয়া।

তিনি আগে সিলভারের ব্যবসা করতেন। এখন কৃষিকাজ করেন। চতুর্থ শফিকুল ইসলাম ও পঞ্চম হোসেন মিয়া। তাদের উল্লেখ করার মতো কোন পেশার কথা জানা যায়নি। তানভীরের দ্বিতীয় চাচা মোখলেছুর রহমান বলেন, তার ছেলে ঢাকায় তানভীরের ওখানে চাকরি করে।

বছরে একবার ঢাকায় যান। তখন নিজের ছেলে ও ভাইপো তানভীরের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হয়। এছাড়া তাদের সঙ্গে তানভীরের নিয়মিত কোন যোগাযোগ নেই। তানভীর তারুয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর পার্শ্ববর্তী তালশহর এ আই উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।

’৯৩-’৯৪ সালের দিকে বিয়ে করেন। তার জিসান নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। সে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে নবম শ্রেণীতে পড়ে বলে জানান মামাতো ভাই জাহাঙ্গীর। View this link আমি কইঃ আল্লাহর গজব পড়ুক হারামজাদার মাথায়  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.