ঋণ কেলেঙ্কারীর ঘটনায় দুদকের দায়ের করা দুর্নীতির ১৩ মামলায় হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদের জামিনের আবেদন নাকচ করেছে আদালত।
আজ ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক জহুরুল হক জামিন আবেদনের উপর শুনানি শেষে আবেদনগুলো নাকচ করে দেন।
আসামিপক্ষে জামিনের শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজি।
দেশেরে বৃহত্তম ঋণ কেলেঙ্কারীর ঘটনায় ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর হলমার্ক গ্রুপের এমডি তানভীর মাহমুদ, চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামসহ মোট ২৭ জনের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হলমার্ক ও সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
চার্জশিটের ২৫ আসামিরা হলেন, হলমার্কের এমডি মো. তানভীর মাহমুদ, তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, তানভীরের ভায়রা ও গ্রুপের মহা-ব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ, হলমার্ক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. শহিদুল ইসলাম, স্টার স্পিনিং মিলসের মালিক আ. বাছির, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. জিয়াউর রহমান, আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশি নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক ও সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার।
আরও আসামি করা হয়েছে, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের হোটেল রূপসী বাংলা শাখার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ব্যবস্থাপক এ কে এম আজিজুর রহমান, সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন ও সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার বর্তমান জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরিকে।
এছাড়া প্রধান কার্যালয়ের দুই জিএম ননী গোপাল নাথ ও মীর মহিদুর রহমান (দুজনই ওএসডি), প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, ডিএমডি মাইনুল হক ও আতিকুর রহমান (দুজনই ওএসডি), দুই উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) ও মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ (সাময়িক বরখাস্ত), দুই এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান (সাময়িক বরখাস্ত) ও এজাজ আহম্মেদকে আসামি করা হয়েছে।
চার্জশিটে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার অব্যাহতির সুপারিশ করা সোনালী ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম ভগবতী মজুমদার, এজিএম আবুল হাসান, সিনিয়র অফিসার মো. ওয়াহিদুজ্জামান, জেনারেল ম্যানেজার আ ন ম মাসরুরুল হুদা সিরাজী, এজিএম (সাময়িক বরখাস্ত) আশরাফ আলী পাটোয়ারী, জিএম (অব) সবিতা সিরাজ, ডিজিএম কানিজ ফাতেমা চৌধুরী ও এজিএম খুরশীদ আলমকে মামলা হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে হোটেল রূপসী বাংলা (সাবেক শেরাটন) শাখা থেকে মোট ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে হলমার্কের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়।
এছাড়া মানিলন্ডারিং এর অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি রাজধানীর রমনা থানায় হলর্মাকের এমডি, চেয়ারম্যানসহ প্যারাগন নিট কম্পোজিটের কর্মকতাদের বিরুদ্ধে আরও ২টি মামলা করে দুদক।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।