আমাদের দেশে যতগুলো জেলখানা আছে তার প্রত্যেকটিতে কিছু না কিছু চোর কয়েদি আছে। অর্থ্যা চুরি করার অপরাধে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন মোতাবেক বিচারকার্য শেষে তাদের সাজা হয়েছে। চুড়ান্তভাবে তারা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জেল খাটছেন। বাংলাদেশের সমস্ত জেলখানায় এরকম যত চোর আছেন তাদের পরিসংখ্যান আমার জানানেই। তবে আমি একজন ছোট মানুষের কাছে একটা তার ছোট মাথার গবেষণা লব্ধ প্রশ্ন শুনে অবাক হলাম! সে বলল, চাচা, “আমাদের দেশে যত চোর এখন জেল খাটছে- তাদের চুরি করা সমুদয় সম্পদের পরিমান কি চার হাজার কোটি টাকা হবে?” উত্তরে আমি বললাম, বাবা আমার মাথায় তো এখনো চুল আছে।
এত চুরির হিসাব করতে গেলে তো মাথার চুল পেকে যাবে, পড়ে যাবে আমি বুড়ো হয়ে যাব। তাই বলছি- এত টাকা তো অনেক টাকা। যাক, এ প্রশ্ন কেন? সে বলল- ওরা বেশীরভাগ লোক হয়ত পেটের দায়ে চুরি করেছে, ধরা পড়েছে, বিচার হয়েছে, জেল খাটছে। কিন্তু, সাংবাদিক ভাইয়েরা যাদের নাম পেপারে লিখছে তাদের কি হবে? বললাম, ওয়েট এন্ড সি। সাংবাদিক ভাইয়েরা তো বসে থাকবে না? ওদের কাজ একটাই যা ঘটবে তা চেয়ে চেয়ে দেখবে আর আমাদের লিখে দেখাবে।
ছেলেটি বলল, তখন আমরা কি করব? বললাম সেটাও আমরা পেপারে পড়ব আর ভুলে যাব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।