ধন্যবাদ এই পৃথিবী কে, বেচে থাকার যুদ্ধে ক্রমাগত বাধা দেওয়ার জন্য হযরত ছাত্তাবান (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে,
রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, “অচিরেই কাফির-মুশরিক, নাস্তিক-মুরতাদ এবং মুনাফিক জোট (জাতীসংঘ – ন্যাটো) তোমাদের বিরুদ্ধে (হামলা করার জন্য) এক অপরকে আহ্বান করবে যে রকমভাবে খাবারের প্লেটের দিকে ক্ষুধার্ত লোকদেরকে ডাকা হয়। তখন একদল সাহাবী প্রশ্ন করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তখন কি আমাদের সংখ্যা খুবই নগন্য হবে? রাসূল (সাঃ) উত্তর দিলেন, না, বরং তোমরা তখন সংখ্যায় অনেক বেশী হবে। কিন্তু তোমাদের অবস্থা হবে বন্যায় পানির উপর ভাসমান ময়লা-আবর্জনা ও খড়-কুটার ন্যায়। আর তোমাদের শত্রুদের অন্তর থেকে তোমাদের ভয় তুলে নেয়া হবে। পক্ষান্তরে তোমাদের অন্তরে ‘অহান’ চাপিয়ে দেয়া হবে।
একজন সাহাবী প্রশ্ন করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ‘অহান’ কি? রাসূল (সাঃ) বললেন, দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা (সম্পদের মোহ) এবং মৃত্যুকে অপছন্দ করা (শহীদ হবার আকাঙ্খা না থাকা)”। [মিশকাত, পৃ:৪৫৯]
রাসূলাল্লাহ (সাঃ) এর এই হাদীসের প্রতিটি বানী অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়িত হয়েছে এবং হচ্ছে। ইরাকে এবং আফগানিস্তানে হামলা কারার পূর্বে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বুশ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সফর করেছে, যোগাযোগ করেছে মুসলিমদের উপর হামলা করার লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য। ফলে সমস্ত কাফের শক্তিগুলো الكفر ملة واحرة এর বাস্তব রূপ নিয়ে মুসলিমদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
লক্ষ লক্ষ নারী শিশুকে হত্যা ও ধর্ষণ করেছে, মুসলিম যুবকদের তাজা রক্তে পৃথিবীর মাটি লাল করে দিয়েছে।
কাশ্মীরি মা-বোনদের পেট চিরে সন্তান বের করে আকাশের দিকে ছুঁড়ে মেরে নিচে ছুরি ধরে দ্বি-খন্ডিত করে উল্লাস করেছে।
মুসলিমদের পাখীর মত গুলি করে হত্যা করছে।
আফগানিস্তানের মুসলিম যুবকদের উলঙ্গ করে পিরামিড তৈরী করেছে।
কুরআনুল কারীমকে পায়খানায় ছুড়ে মেরেছে। কুরআনের গাঁয়ে ক্রুশ এঁকে দিয়েছে।
আবু-গারীব কারাগারে মা-বোনদেরকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। মা-বোনরা সহ্য করতে না পেরে দেয়ালের সাথে মাথা ঠুকরে ঠুকরে আত্মহত্যা করেছে।
ফিলিস্তিনে শিশু-কিশোরদের পাথর নিক্ষেপের জবাবে কামানের গোলা নিক্ষেপ করে বুক ঝাঁঝড়া করে দেয়া হচ্ছে। মুসলিমদের বাড়ি-ঘরগুলোকে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
ইরাকে প্রথমে অবরোধ দিয়ে লক্ষ লক্ষ শিশুকে হত্যা করলো, তারপর বৃষ্টির মত বোমা ফেলে নির্মমভাবে সাধারন মুসলিমদের হত্যা করল।
পাকিস্তানের লাল মসজিদ, সোয়াত এবং ওয়াজিরিস্তান সহ যেখানেই ইসলামের আওয়াজ বুলন্দ হয়েছে বা হচ্ছে সেখানেই কুফফারদের হামলার নিশানা হতে হয়েছে এবং হচ্ছে।
আর আমরা আমাদের ঈমান নিয়েই এখনো সন্দেহ সংশয়ে ভুগছি....... !!
মৌলিক বুনিয়াদ আকঢ়ে না ধরে কুসংস্কার আর বিদ'আত নিয়ে আনন্দ করছি আর ভাবছি যে কালিমা যখন পড়েছি তখনতো একদিন জান্নাতে অবশ্যই যাব। হায়!
আল্লাহ অবশ্যই কোন জাতির উন্নতি করে না যতদিন না তারা নিজেরা নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তনের চেষ্টা করে। । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।