ভালবাস সবাই ভালবাসাকে অনেকেই প্রাণ খুলে হাসতে পছন্দ করেন। কেননা হাসির মধ্যেই জীবনের প্রকৃত আনন্দ নিহিত রয়েছে। ঝকঝকে সুন্দর দাঁত আর প্রাণোচ্ছল হাসি দিয়েই অজানা বা অগণিতের মধ্যে নিজের অবস্থানকে সুদৃঢ় করে নেওয়া যায়। কিন্তু সেই হাসিতে আবার বিপত্তি ঘটে যখন দেখা যায় হাস্যোজ্জ্বল ব্যক্তির দাঁত অপরিষ্কার কিংবা কালো বা একেবারে হলদেটে হয়ে আছে। এটা খুবই অড দেখায় এবং অন্যের কাছে নিজের সম্পর্কে একটা নেগেটিভ ইমেজ তৈরি হয়।
দাঁতের এই রঙ পরিবর্তন হওয়ার পেছনে বেশকিছু কারণ রয়েছে। সাধারণত তাদেরই দাঁতের রঙ পরিবর্তন হয়ে যায় যারা নিয়মিত সকাল ও রাতে দাঁত ব্রাশ করেন না, যারা পান-সিগারেট খান, দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে, দাঁতের মাড়িতে কালো কালো পাথরের মতো জমে থাকে, মুখে যাদের দাঁতের ভাঙা অংশ রয়ে গেছে এবং যারা দাঁত ফিলিং করেন। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দুধদাঁত পড়ে স্থায়ী দাঁত ওঠার সময় টেট্রাসাইক্লিন জাতীয় ওষুধ খাওয়ানোর ফলে দাঁতের রঙ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে দাঁতের রঙ পরিবর্তন হওয়ার অন্যতম একটি প্রধান কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত পরিমাণে কোমল পানীয় বা এনার্জি ড্রিংকস পান করা। এসব এনার্জি ড্রিংকসে এমন এক ধরনের ক্ষতিকর এসিড রয়েছে যা মাত্র কয়েক মিনিটে স্থায়ীভাবে দাঁতের রঙ নষ্ট করে দিতে পারে।
এ ছাড়া চা, কফি ও চকোলেট জাতীয় খাবারগুলোও ধীরে ধীরে দাঁতের রঙ নষ্ট করে দেয়। প্রকৃতপক্ষে সব খাবার খাওয়ার পর নিয়মিত ব্রাশ না করলে দাঁতের শক্ত বহিরাবরণের ওপর একধরনের আবরণ পড়ে দাঁতের রঙ নষ্ট হয়ে যায়। আবার যাদের ডায়াবেটিস বা দাঁতের মাড়ির ইনফেকশন রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও এ ধরনের সমস্যা হতে পারে।
এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক, দাঁতের রঙ ঝকঝকে উজ্জ্বল ও সাদা রাখতে কী কী যত� নেওয়া প্রয়োজন
ষ নিয়মিত সকাল ও রাতে ভালোমানের টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। চিনিযুক্ত খাবার যেমন চকোলেট, চুইংগাম, মিষ্টি, কোমল পানীয় ইত্যাদি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাঁত ব্রাশ করে নিতে হবে।
ষ নিয়মিত শরীর ও দাঁতের জন্য উপকারী খাবার যেমন- রকমারি ফলমূল, শাক-সবজি, মাছ, চর্বিবিহীন মুরগির মাংস, চর্বিবিহীন কচি লাল মাংস, বিভিন্ন ধরনের সবজি ও লৌহ জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।
ষ দাঁতের মাড়িতে পাথরের মতো কালো কালো জমে থাকলে বা ইনফেকশন হয়ে থাকলে স্কেলিং করিয়ে নিন।
ষ ভাঙা দাঁতের অংশ থাকলে অভিজ্ঞ ডেন্টিস্ট দিয়ে তুলে ফেলুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।