আমি লিখি মানুষের কথা,মানুষ পড়ে না। তারা হাসে। তাদের হাসির জন্যে আমি লিখি 'সবকিছু হাসির বিষয় নয়' তারা হাসে না! তবু আমি লিখব।
নাতি-নাতনিরা আব্দার ধরল--দাদু, তোমাদের বিয়ের সুবর্ণ-জয়ন্তী করব।
না-ছো, না-ছো করে রাজী হলেন প্রিয়নাথ আর অপরাজিতা।
বিবাহের ৫০ বছর কম কথা নয়। বয়সও দুজনের অনেক।
নাতি-নাতনিরা মহা-সমারোহ কার্ড ছাপালো। বড়ো হোটেলে আপ্যায়ণের ব্যবস্থা করল।
বিয়ের সব নিয়ম-কানুন মেনে সব আচার-অনুষ্ঠান করল।
রাতে যথারীতি ফুলশয্যা।
লাল বেনারসী পরে পালঙ্কে বসে আছেন অপরাজিতা।
ঘরে ঢুকলেন প্রিয়নাথ।
ঘরে ঢুকে পেপার পড়তে শুরু করলেন প্রিয়নাথ।
অপরাজিতা উসখুশ করেন আর খুক-খুক করে কাশেন।
তাতেও কোন বিকার নেই প্রিয়নাথের।
লাজলজ্জার মাথা খেয়ে অপরাজিতা বললেন--ওগো শুনছো।
--হ্যাঁ, বলো।
খবরের কাগজ পড়তে-পড়তে জবাব দিলেন প্রিয়নাথ।
--আমি তোমাকে কি বলে ডাকতাম বলোতো?
--সে তো ৫০ বছর আগের কথা, সারাজীবন তো খোকনের বাবা শুনে বুড়িয়ে গেলাম।
--তুমিও তো আমাকে আর পরী বলে ডাকো না।
--তা ঠিক।
বলে আবার পেপার পড়তে শুরু করলেন প্রিয়তোষ।
--এই শুনছো?
--হুম।
--ফুলশয্যায় তুমি আবার গালে কামড়ে দিয়েছিলে মনে আছে?
--হ্যাঁ আছে।
--অমন করে আমার গালে কামড়াও না-গো।
--পাশের ঘরে আমার দাঁত-দুপাটি খুলে রেখেছি, ওটা আগে নিয়ে এসো!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।