সত্য পথের অনুসন্ধানি বরিশালে শওকত হোসেন হিরণ, খুলনায় মনিরুজ্জামান মণি, রাজশাহীতে বুলবুল,এবং সিলেটে কামরান এগিয়ে আছেন! বলে কি আমরা ধরে নিতে পারি----
সবাইকে অবাক করে দিয়ে শওকত হোসেন নারী ভোটারদের আকৃষ্ট করে বিএনপির দুর্ঘ বলে পরিচিত বরিশালে 2য় বার মেয়র হবার স্বপ্ন আঁকতে চলেছেন। সিডিসি এর 30 হাজার নারী কর্মী ও "লিপিষ্টিক তত্ব" তার অনুকুলে কাজ করেছে বলে জানা গেছে।
রাজশাহীতে হেফাজত জামাতের ব্যাপক প্রচারণার মুখে খায়রুজ্জামান লিটন এইবার অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে। আওয়ামীলীগের এই হেভিওয়েট প্রার্থীকে এই বার পরাজয় মেনেই নিতে হবে বলে বোদ্ধা মহল মনে করেছে। বুলবুলের জয়ের সম্ভাবনা বেশী।
খুলনায় তালুকদার আব্দুল খালেকের "ফরটি নাইন" রাগের বিপরীতে মনিরুজ্জামান মণির ভালো ব্যবহার ভোটারদের আকৃষ্ট করেছে বেশী।
মণি টি স্টল সাজানোর কাজ শুরু করাই যেতে পারে।
সিলেটে কামরান আপাত এগিয়ে আছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কামরানের চমৎকার ব্যবহার তাকে ৪র্থবার বিজয়ী করবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও সিলেটের মানুষ পরিবর্তন চেয়েছিলো।
কিন্তু কামরানের বিকল্প --আরিফুল নয় এমন একটা ধারনার কারণে কামরান শেষ হাসি হাসতেও পারেন।
সব কটি আসনে 18 দলীয় জোট জয় লাভ করলে যে বিবৃতি দিবে:
এই সরকার যে ব্যর্থ সেটা আবারো প্রমাণীত। এই সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই। সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা অনাস্থা জানিয়ে ফেলেছি। এখন শুধু ঝাঁকি দিয়ে নামানোর বাকী।
সরকার কারচুপির চেষ্টা করেছিলো কিন্তু জনগণের সতর্কতার কারণে সরকার কারচুপি করতে পারেনি।
2 টিতে নির্বাচিত হলে- আমরা আগেই বলেছিলাম এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনই সুষ্টু হবে না। সেনা মোতায়নে না করে তারা ভোট কারচুপি করেছে। না হলে আমরা সবকটি আসনেই বিজয়ী হতাম।
সরকারী দল-- 4 সিটিতে হারলে-
এই সরকারের অধীনে যে কোন নির্বাচন যে সুষ্ঠু হয় তার প্রামণ হলো এই নির্বাচনে।
ভোট ডাকাতি যে শেখ হাসিনা সরকার করে না সেটা আবারো প্রমাণীত। বিরোধী দলের তত্বাবধায়ক সরকারের দাবী যে অসার সেটা আবারো প্রমাণীত হলো। স্থানীয় নির্বাচনেরএই রায় জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে সামান্যই। এই নির্বাচনে পরাজয় এই সরকারের জন্য একটা সতর্ক সংকেত মাত্র। এর মাধ্যমে সরকার তার দিক নির্দেশনা খুঁজে পেলো।
হেফাজত- আমরা আগেই বলেছিলাম হেফাজতকে অবজ্ঞা করে কেউ ক্ষমতায় থাকতেও পারবে না কেউ ক্ষমতায় আসতেও পারবে না। আমাদের পানি পড়া না খেলে আগামীতে যে কারো খবর আছে।
আমার মত: সিটি নির্বাচন মানেই কি মেয়র নির্বাচন? এই সংস্কৃতিটা কি পাল্টানো উচিত নয়। প্রথমে সব ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচন করে পরে সেই কাউন্সিলরেরাই মেয়র নির্বাচন করবেন এই পদ্ধতিটাইকি কার্যকর হতো না। আমাদের পাশের দেশ থেকে প্রায় দেশের স্থানীয় নির্বাচনতো এই ভাবেই হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।