লেখার কপিরাইট স্বত্ব © হতভাগ্য কবি কংবা শুধুই একজন অপদার্থের নিকট সংরক্ষিত। আমার জীবনের অন্যতম সেরা স্মৃতিময় জায়গার নাম “নটরডেম কলেজ, ঢাকা”, আমার অনেক স্মৃতির ভিতর খন্ড একটি আজ দিলাম। একটু ১৮+ তাই হাল্কা সাবধানে
কোন রকন টাইন্না টাইন্না s.s.c পাশ দাওয়ার পর আব্বায় "“কাভি খুশী কাভি গমের”" অমিতাভ বচ্চনের মত কইলো - "" “তুমার ভাই পড়সে, তুমারেও পড়তে হইব”"" আমি বয়েজ স্কুলে পড়তে পড়তে ক্লান্ত, লুল ফালাইতে পারি না আমি কইলাম নাআ আআআ আমি সিটি কলেজে পড়ুম । আব্বায় হুঙ্কার কইলো "–“না"”। যাইহোক, কেমনে কেমনে জানি নটরডেমে চান্সও পাইয়া গেলাম, আর যাই কই আমার বন্ধু মহল আমারে জ্ঞানী কইয়া ছাইড়া গেলো, আমার গেল মন ভাইঙ্গা, কত্ত বদমাইশি-- কত গুন্ডামি করসি এক লগে,
যাউগগা
নবীন বরণ সকাল ৮টায় আব্বা কইলো নটরডেম নিয়মে চলে ৭.৩০ আর ভিতর যাইতে হইবো।
হাজির হইলাম চোখে তখনও ঘুম। ঢুক্তেই দেখি বড় ভাইরা লাইন দিয়া খাড়াইয়া আছে, কেউ বুকে পিন দিয়া “হে নবীন স্বাগতম” কেউ দিলো ফুল, দেখি মাঠে বিশাল স্টেজ প্যান্ডেল ২ ভাগে বিভক্ত এক ভাগে অভিভাবক এক সাইডে আমরা ।
বইলাম ঠিক ৮টায় দেখি গান শুরু " “আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে......"’’ ফাদাররা কেউ তবলা, কেউ হারমনিয়াম কেউ গীটার বাজায় কেউ গান গায়। আমি কই শ্যাষ !!!! এর পর ই শুরু হইলো শপথ বাক্য পাঠ করানো। নিয়ম কানুনের বানী শুইন্যা আমি আবার কইলাম শ্যাষ ।
ক্লাস শুরু হইলো পরদিন সকাল ৮টায়। এক বেঞ্চে ৩ জন ২ বছরের জন্য ফিক্সড। ডানদিক থেকে প্রথমে আমি, এরপর রাসেল, এরপর বাবলু চিরান(উপজাতি) খুবই রাগী, পুরা কলেজ লাইফ সব গুলা ক্লাসের অধিকাংশ সময় সে ঘুমিয়ে কাটাতো ইয়াও বসে বসে, আমাদের খুবিই হিংসা হতো
বন্ধু রাসেল কংকালের মত শুকনা, বাড়ি বরিশাল। জ্ঞানী টাইপ লুক দেয়, ও কলেজ লাইফে প্রথম যে কথাটা কইসিলো তা হইলো "A+ পাইসো??"
আমি গুন্ডা গুন্ডা ভাব লইয়া কইসিলাম "না, কি করবি? মারবি??"
ব্যাস!!! এতেই আমার আধিপত্য সাধন হয়
কিছুদিন ক্লাস করার পর আমি ও আমরা রাসেলের মহান লুল ক্ষমতা টের পেলাম।
ক্লাসের যে কারোর সাথে কথা কওয়ার সময় ও গোপন জায়গায় খোচা দিয়া বসে ।
প্রথম দিকে ২ এক জন ওরে মারতে উঠলে আমি অরে বাঁচাই। যদিও প্রথমদিকে ওর আর আমার অত বনতোনা কারন আমি নোয়াখালীর ও বরিশালের। আস্তে আস্তে আমারা বুঝলাম এইটা অর স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। ওর অধিকাংশ প্রশ্ন, গল্প, আড্ডা ওই যায়গা সংক্রান্ত
আমরা প্লান বানাইতে লাগলাম ক্যম্নে অরে টাইট দেওয়া যায়। ।
ক্যাম্নে ?? ক্যাম্নে??
ক্লাসের নিয়ম ছিল, স্যার ঢুইক্যা কইত পড়া কে বলবে। পুরা ক্লাস মুখ চেপে চেপে কইতো সোহেল সোহেল।
ব্যাচারা কোনোদিনই কিছু পারতো না। আমরা তাও পাষাণের মতো চিল্লাইতাম
এক দিন অর্থনীতি ক্লাসে গোপিনাথ স্যার ঢুইক্যা কয় পড়া কে বলবে??
শুরু হলো চাপা গুঞ্জন নুনু রাসেল, নুনু রাসেল।
স্যার ও ক্ষিপ্ত হয়ে কইলো অই নুনু রাসেল কে দাড়াও।
আর যায় কই ?
স্যার ওকে জিজ্ঞাসা করলো চাহিদা কাকে বলে?
রাসেলের মনে ঘটনার রেশ তখনো কাটে নাই ও ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়েই থাকলো। স্যার বলল সামনে এসে কানে ধইরা খাড়াও, এর পরই বললেন তোমার নামটা যথার্থ। পরবর্তীতে স্যার প্রায় সব ক্লাসেই ওকে পড়া ধরতেন ।
যাই হোক ,এই ঘটনার পর আমাদের নুনু রাসেল অনেক পালটে যায়। সবার সাথে হাত পকেটে ঢুকিয়ে কথা বলতো মাঝে মাঝে যদি অভ্যাসবশত হাত দিয়া বসত কইত স্যরি।
তাও অর নাম পাল্টাইলোনা
এখনো ক্যাম্পাসে যখনি দেখা হয় ডাক দি (মাইয়া থাকলে বেশী ডাকি)... ওই নুনু ওই্.........,
ও এসে কয় “দুস্ত অহোনো বুলো নাই, ""এক্কারে যখন টিপ্পা ধরমুআনে তহোন বুজবা”""
আমি জীবনে কি পেয়েছি জানি না তবে আমার বন্ধুরা আমার জীবনের অমূল্য সম্পদ
অপদার্থ
রোল- ৪০৮৩০১৫
গ্রুপ- জি (মানবিক)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।