মেহরাব হাসান নতুন প্রগতিশীল শ্রেণীর আবির্ভাব হয়েছে গালিবাজ প্রগতিশীল। নামের আগে বিভিন্ন রকমের গালি যোগ করেই আলোচনা শেষ করে। যা শুনতে খারাপ লাগে,গালি,নোংরা শব্দ তা কখনো মাত্ৃভাষা হতে পারে না। আলোচনা সমালোচনা হবে যুক্তি দিয়ে চিন্তা দিয়ে। বিশেষ করে ফেসবুকে দেখা যায় কোন বিষয় পাইলেই সেই বিষয়ের পক্ষে বিপক্ষের কোন যুক্তিতে না গিয়ে গালা গালি শুরু করে।
গত কিছুদিন আগের ইউনুস এর পুরুষ্কার প্রাপ্তি, মাহমুদুর রাহমানের গ্রেপ্তার,পার্থ্ִর ব্লগার নিয়ে টকশো ইত্যাদি অনেক বিষয় গুলোতেই দেখা যায় খুবই সংক্ষিপ্ত আকারে দু একলাইন গালি গালাজ লিখেই শেষ করে। কোন বিষয়েই গভীরে না গিয়ে গালি দেয়া নোংরা বাক্য উচ্চারন করা প্রগতিশীল হতে পারে না। শুধু মাত্র লাইকের আশায় একজন ব্যক্তিকে গালি দেয়া মত প্রকাশের অধিকার হতে পারে না। নিজেকে প্রগতিশীল হিসাবে জাহির করার জন্য গালি দিয়ে স্ট্যাস দেয়া নোংরামি ছাড়া আর কিছুই নোয়। গতকাল চার ব্লগারের মুক্তির দাবিতে সারাদিন ফেসবুক জুড়ে স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে।
সেখানেও অনেককে দেখা যায় মুক্তি দাবি জানিয়ে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেছে। জাফর ইকবাল কোথায় গেলো,পার্থ কি বলল তা বিচার বিশ্লেষন নাই কোন তথ্য উপাত্তর আলামত নাই শুধু মাত্র গালাগালি। ইউনুস যদি পুরুষ্কার পেয়েই থাকে সেটা তো আর গালি দিয়ে সামাধান হবে না। গালি দেবার চেয়ে ইউনুস কেন পুরুষ্কার পেলো বিপরীতে বাস্তবে তার ফলাফল কি। দারিদ্র জাদুঘরে না নোবেলে পুরুষ্কারে তার তথ্য উপাত্ত সহ হাজির করলে বোধহয় ভালো হতো।
নামের আগে উপসর্গ হিসাবে গালি যোগ করলেই দেশ উদ্ধার হয়ে যায় না। অনেকটা চিলের কান নিয়ে যাবার অবস্থা। গালি দিয়ে নিজেকে প্রগতিশীল দাবি করে নিজেকে আলাদা ভাবে উপস্থাপন করা শুধুই ভন্ডামী। ধর্মবিদ্বেষী কথা এদের দারাই হয়। হেফাজত নাস্তিক নিধনের দাবি তুলেছে এইসব তথাকথিত প্রগতিশীলের আশালীন কর্মকান্ডের জন্য।
দেশে নাশকতার তৈরি হয় এই সব প্রগতিশীলের জন্য। ঘটনার বিচার বিশ্লেষন না করে শুধু অন্ধের মতো একটা পক্ষে নিয়ে। আর হুজুগে নাচতে থাকে। এদের কথা বার্তা লেখালেখি সমস্ত কিছুই উস্কানি মূলক ছাড়া আর কিছুই নয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।