আলো।
সে যে রূপনাট্যের শেষ বিন্দুটি।
ধ্বংসলীলার সমাপ্যে তার দাঁড়িয়ে থাকা।
গহীনে, বদ্ধ কপাটের পাঠ চুকিয়ে সে উঁকি দেয়।
অধরের সদর ভেদে হাসি দেখায় সে।
উজানের অগ্রে,
শ্যামলের নীড়ে আর নিশানাহীন তীরে,
জরায়ু আঁধারের কাঠিন্যে,
কোমলের বুক চিরে,
মরুচর বেদুঈনপুরে,
সে নির্মল এক ফোটা অদম্যচ্ছটা।
সে লণ্ঠন নয়,
কাঞ্চনজঙ্ঘার ব্যাখ্যাতীত রূপ নেই তার।
সে সুচের পশ্চাতে সুতাবন্ধনীর মতই ক্ষুদ্র।
সে বলিয়ান, চাঁদেরে দেয় করুণা।
সমুদ্রতটের বালিরাশির উপর আছড়ে পড়েনা সে,
মণি-মুক্তার রসদে তার ভক্তি নেই,
সে তারে করে চিকচিকে।
রজনীর দিগন্তে হাজার বছর ধরে সে রেখাপাত করছে,
ইউক্লিপটাসের মাথা থেকে মহাশ্মশান,
সদা তার গতি রসনার তৃপ্তি আস্বাদের চেয়েও দ্রুত।
সে নগ্নবীরের আস্ফালন।
সে তেজস্বী ঘোড়ার গতি, অনবদ্য।
সে অকারণ আখিজল সয়না,
প্রতাপ, একগুঁয়ে দলছুট সে,
বাঙালি বিরঙ্গনার অশ্রু মুছে দেয়।
সে সুখবরের বার্তাবহ,
হাজার মাইল ধরে তার রাজত্ব।
ছায়াপথ, নিহারিকা আর নক্ষত্র?
এসবের সীমারেখা তার ছেলেখেলা।
ঈশ্বর রাজত্বে সে পা লুটায়,
আকাশটা তার খেলাঘরের উন্মত্ত রাজ্য।
দুর্দান্তের মাঝে সে চীর নমনীয়,
সে অন্যেরে দেয় আবাস।
আঁধারের আকুতি সে ফেলে দেয়না।
সে মজলুম বন্দরের আলোকবর্তিকা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।