প্রথমার্ধে একের পর এক আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়ে টটেনহ্যামের রক্ষণভাগকে তটস্থ করে রাখেন স্টিভেন জেরার্ডের অনুপস্থিতিতে এ ম্যাচে অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড পরা সুয়ারেস। টটেনহ্যামের স্টেডিয়াম হোয়াইট হার্ট লেনে ম্যাচের ১৮ মিনিটে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন তিনি।
একটু পেছনে থেকে দারুণ এক পাস দিয়েছিলেন জর্ডান হেন্ডারসনকে। হেন্ডারসন সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় দৌড়ে দিয়ে দুই ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন সুয়ারেস।
পাঁচ মিনিট পর দ্বিতীয় গোলের দেখা প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন সুয়ারেস।
তার শট কোনোমতে পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। খানিক বাদে সুয়ারেসের পাস থেকে ফিলিপে কোতিনিয়োর শট ক্রসবারে লাগে।
ম্যাচের ৪০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করে লিভারপুল। হেন্ডারসনের শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন টটেনহ্যাম গোলরক্ষক হুগো লিওরিস। ফিরতি বল থেকে সুয়ারেসের উচিয়া মরা বলও কোনোমতে ফেরান তিনি।
আবার বল পেয়ে এবার ভলিতে জালে পাঠিয়ে দেন হেন্ডারসন।
ম্যাচের ৬২ মিনিটে সুয়ারেসের বুকে লাথি মেরে পাওলিনিয়ো সরাসরি লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকরা।
৭৫ মিনিটে সুয়ারেসের পাস থেকে ব্যবধান ৩-০ করে ফেলেন তরুণ ডিফেন্ডার জন ফ্ল্যানেগান।
পুরো ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত খেলা সুয়ারেস আরেকটি গোল না পেলে অবিচারই হতো। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে অনন্য ভঙ্গিমায় গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জালে জড়িয়ে কাঙ্খিত গোলটি পান তিনি।
এরপর রাহিম স্টেরলিংকে ৮৯ মিনিটে পঞ্চম গোলটি করান গত কয়েক ম্যাচ ধরে অন্য গ্রহের ফুটবল খেলা সুয়ারেস।
ইপিএলের ১১ ম্যাচে ১৭ গোল করলেন সুয়ারেস। সেরা গোলদাতাদের তালিকায় তার পরে আছেন ম্যানচেস্টার সিটির স্যার্হিও আগুয়েরো (১৫ ম্যাচে ১৩ গোল)।
হোয়াইট হার্ট লেনে এর আগের ছয়টি ম্যাচেই হেরেছিল লিভারপুল। টটেনহ্যামের বিপক্ষে লিগে নিজেদের সবচেয়ে বড় জয়ে মাথা উচু করেই ফিরলো ব্রেন্ডান রজার্সের শিষ্যরা।
১৬ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে থাকা আর্সেনালের সঙ্গে লিভারপুলের পয়েন্ট ব্যবধান এখন ২। চেলসিরও পয়েন্ট ৩৩, তবে গোল ব্যবধানে লিভারপুলের পেছনে আছে জোসে মরিনিয়োর দল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।