আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডিএনএ নিয়ে মিডিয়ার কিছু কথা ..

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি সাগর রুনির খুনের আলামতের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তির ডিএনএ পাওয়া গেছে - এই খবরে বাংলাদেশের মিডিয়াতে বেশ আলোচনা হচ্ছে। ডিএনএ হলো যে কোন প্রানীর মৌলিক পরিচয়বাহক। উন্নত বিশ্বে ডিএনএ সনাক্তকরনের মাধ্যমে ক্রিমিনালদের চিহ্নিত করার একটা কার্যকরী পদ্ধতি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে ইমিগ্রেশন বিভাগও পারিবারিক সম্পর্কগুলো যাচাইএ এই পদ্ধতি ব্যবহার করছে। যাই হোক ডিএনএ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্যে এই লেখা না - মুলত বাংলাদেশের টিভির সাংবাদিকদের এই বিষয়ে বিভ্রান্তিকর কিছু কথার বিষয়ে আলোকপাত করাই এই লেখার উদ্দেশ্য।

আজ দেখলাম - একুশে টিভিতে বলা হচ্ছে - উন্নত দেশে নাগরিকদের ডিএনএ সংগ্রহ করে সংরক্ষন করা হয় এবং যে কোন ঘটনার পর ডিএনএ ম্যাচিং করে আসামী সনাক্ত করা হয়। উন্নত বিশ্ব বলতে কোন দেশ বুঝানো হয়েছে জানি না - তবে সাধারনভাবে জি ৮ এর আইন কানুন একই রকমের আর সেই আইনে দুই ক্ষেত্রে ডিএনএ সংরক্ষন করার জন্যে তথ্য সংগ্রহের জন্যে কেন্দ্রিয় পুলিশের ব্যাংক আছে যেখানে - ১) ক্রাইম সিন থেকে ডিএনএ এবং ২) সাসপেক্ট (সন্দেহজনক) লোকজনের ডিএনএ সংগ্রহ করে তথ্য সংরক্ষন করার ব্যবস্থা আছে। আর কিছু কিছু অপরাধের ক্ষেত্রে ( যেমন চাইল্ড এবিউজ, রেইপ ইত্যাদি) সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ডিএনএ সেম্পল দিতে বাধ্য। কিন্তু যেভাবে বলা হলো - "নাগরিক" দের ডিএনএ ব্যাংকে আছে - কথাটা ভুল। সাংবাদিকরা মনে হয় ডেস্কে বসেই রিপোর্টগুলো লেখেন এবং নিম্চয়ই উনাদের কম্পিউটরে ইন্টারনেট সংযোগ আছে - যদি দয়া করে উনারা ইন্টারনেটে গিয়ে একটু খোঁজ খবর নিয়ে রিপোর্ট লেখেন তা হলে বাংলাদেশের লোকজন বিভ্রান্তিকর তথ্য এবং ভুল তথ্য প্রাপ্তি থেকে বেঁচে যায়।

আর সঠিক তথ্য প্রদান তো সংবাদ মাধ্যমের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। আরো কিছু টিভির স্ক্রলে দেখলাম লেখা যাচ্ছে " মেঘের ডিএনএ আমেরিকায় পাঠনো হয়েছে" - কথাটা ভুল - আসলে কথাটা হবে "ডিএনএর জন্যে "স্যাম্পল" ( শরীরের যেকোন অংশ থেকেই ডিএনএ পাওয়া যায় - থুতু, চুল এমনকি গা থেকে ঝড়ে যাওয়া খুশকী বা মরা চামড়াও হতে পারে। ) এই বিষয়েও যদি সাংবাদিক ভাই/বোনেরা একটু পড়াশুনা করে কথাগুলো লিখতেন - তাহলে একটা আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে মানুষ সঠিক ভাবে জানতে পারতো - নতুবা এইটা হয়ে উঠবে সায়েন্স না হয়ে সায়েন্স ফিকশান। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.