আমার বিচ্ছিন্ন ভাবনার চিন্তিত ব্লগে স্বাগতম এনটিভির ক্লোজআপ ওয়ান, চ্যানেল নাইনের পাওয়ার ভয়েস, বা এস এ চ্যানেলের বাংলাদেশি আইডল প্রোগ্রামের চাইতে ব্যান্ড ভিত্তিক ডি রকস্টার সার্চ করাটা বেশি ফ্রুটফুল মনে হয়...। কারণ ব্যান্ড মেম্বার রা প্রোগ্রামে নিজেদের লেখা, সুর ও কম্পোজিশনে গান গায়, পাশাপাশি অন্যদের টা কাভার করে এবং তাদের গায়কীতে সফট, রক, মেটাল, হেভিমেটাল, মেলোরক সহ বিভিন্ন রকম কণ্ঠ পাওয়া যায় । তাদের এ্যালবাম বের করার ক্ষেত্রে শুধু কারা বাজারজাত করবে এটা ভাবতে হয় । গান কে লিখে দিবে, সুর কে করে দিবে, বাজাবে কে এসব ভাবতে হয় না । পাশাপাশি ব্যান্ড এর ভোকাল সহ আরো বাকি সদস্যদেরকেও প্রমোট করা হয় যারা ইন্সত্রুমেন্টাল বাজায় ।
ক্লোজআপ ওয়ান, পাওয়ার ভয়েস, বা বাংলাদেশি আইডল প্রোগ্রাম গুলোতে দেখা যাবে যারা শীর্ষে আছে তাদের সাথে করা চুক্তি অনুযায়ী জাস্ট একটা ফরমাল এ্যালবাম বের করে দিয়ে কাজ শেষ । তারপর তারা অতিকায় হস্তীর মত টিকে থাকবে নাকি তেলাপোকার মত টিকে থাকবে নাকি হারিয়েই যাবে এটা চিন্তার বিষয় না ।
তবে হ্যাঁ । যদি ক্লোজআপ ওয়ান, পাওয়ার ভয়েস, বা বাংলাদেশি আইডলের মত প্রোগ্রামগুলোতে শিল্পী বাছাইয়ের সময় শিল্পীর ইন্সট্রুমেন্টাল স্কিল, লেখালেখির ক্ষমতা এবং বাইরের গান শোনার প্রবণতা একি সাথে তাদের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য কতটা প্যাশন এবং কতটা প্রফেশন, কতটা ফ্যাশন বা কতটা হুজুগ এসব মাপার সময় এসেছে । নাহলে প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার পরে হয়তো তাদের কে পাড়ায় মহল্লায় গান গেয়ে বেড়াতে হতে পারে যেমন হয়েছে পূর্ববর্তী অধিকাংশ প্রতিযোগীর ক্ষেত্রে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।