নুহাশ পল্লীতে প্রয়াত নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের কবরের পাশে এসে শুক্রবার চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি তার জাপানি বন্ধু অধ্যাপক ড. কিউমি আসাহারা।
এসময় তিনি বন্ধুর কবরে ফুল দেন। ড. আসাহারা জাপানের টোকিওতে অবস্থিত কলেজ অব ম্যানেজমেন্ট, রিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিন তার সঙ্গে ছিলেন বলে জানান নুহাশ পল্লীর সহকারী ব্যবস্থাপক কাজী নূরুল হক।
তিনি আরো জানান, বেলা ১১ টার দিকে হুমায়ূন আহমেদের বন্ধু অধ্যাপক আসাহারা ও তার সহকর্মী নাসির উদ্দিন সঙ্গীদের নিয়ে নুহাশ পল্লীতে আসেন।
পরে তারা লেখকের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং প্রার্থনা করেন।
নুহাশ পল্লীতেই তারা দুপুরের খাবার সেরে বিকেল ৩ টার দিকে নুহাশ পল্লী ত্যাগ করেন।
প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুতে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে অধ্যাপক আসাহারা বলেন, “বাংলাদেশে হুমায়ূন আহমেদ এতো জনপ্রিয় তা জানতাম না । এখানে এসে লোকের সমাগম দেখে তা উপলব্ধি করলাম।
“হুমায়ূন আহমেদের একটা বই জাপানি ভাষায় প্রকাশ করলে জাপানে তা খুবই জনপ্রিয়তা পায়।
যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হুমায়ূন আহমেদ জাপানে তার বই প্রকাশের খবর পেয়ে খুবই খুশি হয়েছিলেন। ”
ড. আসাহারা আরো জানান, তিনি হুমায়ূনকে জাপানের লেখকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে সেদেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু যাওয়ার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
জাপানি এই অধ্যাপক নুহাশ পল্লী ঘুরে ঘুরে দেখেন।
শুক্রবারও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ নুহাশ পল্লীতে ভিড় জমান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।