প্রশ্ন : হুমায়ূন আহমেদের এবারের জন্মদিনটা আপনার কাছে একটু ব্যতিক্রম। আনন্দের এই দিনটাও নাড়া দেবে অতীতের অনেক স্মৃতিকে। কষ্টের কথাগুলো শেষ করা যাবে না। তবুও যদি কিছু কথা শেয়ার করতেন।
উত্তর : গত ১৯ জুলাইয়ের পর থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিটি দিন আমার কাছে সমান।
হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে এত বেশি রঙিন দিন পার করেছি যে স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে। এই বাসাজুড়ে তার এত স্মৃতি রয়েছে, যা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। বিশেষ করে তার জন্মদিনের স্মৃতি আমাকে নয়, সবাইকেই নাড়া দেবে। কারণ জন্মদিনের দিনটাতে তার দরজা সবার জন্য খোলা থাকত। ১২ তারিখ রাত থেকেই শুরু হয়ে যেত ভক্ত ও পাঠকদের আনাগোনা।
পরদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত চলত এই হইহুল্লোড়। তিনি ভীষণ সুন্দর করে গল্প বলতে পারতেন। সবাই মুগ্ধ হয়ে তার গল্প শুনত। তার গল্প সবাইকে হাসাত, কখনো কখনো চোখের পাতা ভিজিয়ে দিত। আরেকটি কথা না বলেই পারছি না।
জোর করে কখনো কেউ তাকে কেক খাওয়াতে পারতেন না। উনি অনেকটা লাজুক স্বভাবের ছিলেন। তবে বিশেষ এই দিনটাতে মায়ের তুলে দেওয়া কেক মুখে দিতেন তিনি। অবশ্য আমিও বেশ কয়েকবার তাকে নিজ হাতে কেক খাইয়েছি। বলতে পারেন অনেকটা জোর করেই।
হুমায়ূনের এবারের জন্মদিনে তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই, কোনো কিছু সাজাইওনি। কাকে মুগ্ধ করার জন্য সাজাব। ব্যক্তিগত কোনো আয়োজন নেই। দুই ছেলে তার বাবার জন্য কেক কাটবে। নুহাশ পল্লীতে যাব।
এ ছাড়া আমার শাশুড়ি আম্মা আসবেন কেক কাটতে।
নুহাশ পল্লীতে আপনিসহ হুমায়ূন আহমেদের প্রথমবার জন্মদিন উদযাপন নিয়ে বলুন?
নুহাশ পল্লীতে ধারাবাহিক নাটক ‘কালা কইতর’-এর শুটিং করতে গিয়েছি। ১২ তারিখ রাত শেষ করে পর দিন অর্থাত্ ১৩ তারিখ সকালে আমাদের ঢাকায় ফেরার কথা ছিল। হঠাত্ মনে হলো তাকে একটা সারপ্রাইজ দিতে হবে। আমার ইচ্ছা হলো তার পুরো ঘর, মেঝে ফুলে ফুলে ভরিয়ে দেব।
খোজাখুঁজি শুরু হলো ফুল পাওয়া যায় কোথায়? যে কথা সেই কাজ। প্রডাকশন ম্যানেজার কামরুলকে বললাম, ফুল দরকার। কিন্তু সেই সময় আশপাশে তেমন একটা ফুল পাওয়া গেল না। যা-ও পাওয়া গেল সব জংলি ফুল। সেই রাতেই সারা গ্রাম থেকে প্রচুর জংলি ফুল সংগ্রহ করা হলো।
তবে সাদা ফুল প্রচুর পরিমাণে আনা হয়েছিল। আমরা ৫০০ প্রদীপ জ্বালিয়ে পুরো বাংলোটা সাজিয়েছিলাম। এসব কিছুই করা হয়েছিল তার অজান্তে। তাই তিনি ঘরের ভেতর যাওয়ার পর ভীষণ সারপ্রাইজড হন।
হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে আপনি স্পেশাল উপহার দিতেন কিনা?
হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে কি উপহার দেব তা সবসময় ভেবে রাখতাম।
তার জন্মদিনে বেশিরভাগ ভাস্কর্য বা মূর্তি জাতীয় উপহার দিতাম। কখনো কখনো বইও দিয়েছি। তবে ২০০৭ সালের একটা ঘটনা বলি, তখন আমার বড় ছেলে হয়েছে। তিনি নিষাদের ছবি তুলতে খুব পছন্দ করতেন। সুযোগ পেলেই সন্তানের ছবি তুলতেন।
তা ছাড়া ছবি তোলার অনেক ম্যাটেরিয়ালস ছিল তার কাছে। তিনি শিলা ও বিপাশারও অনেক ছবি তুলেছেন। তিনি শুধু ছবিই তুলতেন না, সেগুলো আবার প্রিন্ট করে বড় করতেন। তাই মনে হলো তাকে স্পেশাল একটা ক্যালেন্ডার বানিয়ে দেব। এটাই হবে জন্মদিনের বিশেষ উপহার।
আমার আট মাসের ছেলেকে হিমু, শুভ্র ও দেবদাস সাজিয়ে বিভিন্ন ছবি তুললাম। এর পর এসব দিয়ে চার পাতার একটি ক্যালেন্ডার তৈরি করলাম। নাম দিলাম ‘হুমায়ূন ক্যালেন্ডার’। ক্যালেন্ডার তো শুরু হয় জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে আর শেষ হয় ডিসেম্বরের ৩১-এ। কিন্তু আমি ক্যালেন্ডারটি বানিয়েছিলাম ১৩ নভেম্বর থেকে পরের বছরের ১২ নভেম্বরের তারিখ দিয়ে।
এ উপহার পেয়ে তিনি ভীষণ আনন্দিত হয়েছিলেন। এটি ১০০ কপি করিয়ে প্রিয়জনদের উপহার দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন তোমরা এভাবে ক্যালেন্ডার বানিয়ে অন্যদের সারপ্রাইজ দিতে পার। এ ছাড়া ২০০৮ সালের জন্মদিনে আমি এবং এসআই টুটুল মিলে তাকে গান শুনিয়েছিলাম। সবচেয়ে বড় কথা তিনি ছিলেন খুবই শিশুসুলভের। তার মনটা বাচ্চাদের মতো ছটফট করত।
তাই তো গতবারের জন্মদিনে আমাকে অজগর সাপ উপহার দিতে বলেছিলেন। গত বার আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম। একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে প্লাস্টিকের বড় একটি অজগর সাপ দেখেছিলেন তিনি। তাই জন্মদিনের উপহার কী দেব জানতে চাইলে ছোট বাচ্চাদের মতো তিনি বললেন, আমি অজগর সাপ চাই। সেই প্লাস্টিকের সাপটি আমি নেব।
আমি বললাম, তুমি তো সাপ পছন্দ কর না। এটি দিয়ে কি করবে? তিনি বললেন, আমি নিষাদ-নিনিতের সঙ্গে খেলব। আমি বললাম, সাপ কিনে দেব না। তিনি বললেন, ঠিক আছে। তাহলে ছবি আঁকার জিনিস কিনে দাও।
তাকে ছবি আঁকার জিনিস কিনে দিলাম, এসব দিয়ে শেষ ছবিগুলো এঁকেছিলেন তিনি। আমার ছোটবোন হুমায়ূন আহমেদের সাপ চাওয়ার কথা শুনে বলল, আমি সাপ কিনে দুলাভাইকে গিফট করব। সাপটির দাম ছিল ১০০ ডলার। জন্মদিনের দিন কেক কাটার পর আমার ছোটবোন তার গলায় সাপটি পেঁচিয়ে দিল। তিনিও সাপটি পেয়ে খুব খুশি হলেন।
জন্মদিনের এই বিশেষ দিনটিতে হুমায়ূন আহমেদ কি স্পেশাল কিছু পছন্দ করতেন?
তিনি খেতেন খুব অল্প। কিন্তু তার খাবারের মেনুতে বিভিন্ন ধরনের আইটেম থাকত। একবেলার রান্না তিনি কখনো আরেকবেলা খেতেন না। তার মা-ও বলতেন, ছোটবেলায় খাবার জন্য মাকে খুব জ্বালিয়েছেন তিনি। কিছু যদি খাবার না থাকত তারপরও তাকে একটা ডিম হলেও ভেজে খাওয়াতে হতো।
এটি বিয়ের পরও লক্ষ্য করেছি। আমার হাতে ডিম ভাজাটা পছন্দ করতেন। তিনি বলতেন আমার ডিম ভাজাটা নাকি একটু বেশিই ফুলে ওঠে। তিনি কখনো একা খেতেন না। দেখা গেল, ১২ জনের রান্না হয়েছে, তিনি তার চেয়েও বেশি মানুষ নিয়ে বসে পড়তেন।
শেষমেশ দেখা যেত, বুয়াদের খাবারের জন্যও আর কিছু নেই। জন্মদিনের এই দিনটিতে অনেক রকম রান্না হতো। তার সব আইটেম থাকত খুব সাদামাটা। এই দিনটিতে তিনি লাউপাতা দিয়ে শুঁটকি খেতে একটু বেশি পছন্দ করতেন। এ ছাড়া কাঁচা পেঁপেকে আলুর মতো গোল গোল করে কাটা হতো তার জন্য।
এগুলো দিয়ে মুরগির মাংস রান্না করা হতো। চিতল মাছের কোপ্তাটাও পছন্দ করতেন তিনি।
হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে স্মৃতিময় কিছু বলুন, শুনেছি তিনি চমক দিতে খুব পছন্দ করতেন?
চমকের কথা যদি বলেন, তাহলে তো প্রতিটি দিন এমন ছিল। তিনি শিল্পীদের ভীষণ পছন্দ করতেন। রহমত আলী নামের একজন শিল্পী আছেন যিনি কাতল মাছের মাথা ভীষণ পছন্দ করেন।
তাই রহমত আলীর জন্য কাতল মাছের মাথা খাওয়ার ব্যবস্থা করলেন তিনি। এতে রহমত সাহেব এতটাই খুশি হয়েছিলেন যে, তিনি কেঁদে ফেললেন আর বললেন, ‘স্যার আপনি আমার জন্য কাতল মাছের মাথার ব্যবস্থা করেছেন। ’ প্রিয় মানুষের আনন্দ দেখতে তিনি খুব পছন্দ করতেন। তার প্রচুর মুখোশের কালেকশন ছিল। এগুলো পরে তিনি বাচ্চাদের চমকে দিতেন।
একদিন মাটিতে শুয়ে আছেন। শোয়া অবস্থায় বললেন, ‘আমার শরীরে চাদর জড়িয়ে দাও’। চাদর দিয়ে তার শরীর মুড়িয়ে দেওয়ার পর মাথা এবং পায়ের দুই পাশে মুড়িয়ে তিনি কুমিরের মতো ভঙ্গি করলেন। এভাবে তিনি বাচ্চাদের সঙ্গে কুমির কুমির খেলতেন। বাচ্চারা এতে খুব আনন্দ পেত।
তারা বুঝত এটি হুমায়ূন আহমেদ। তারপরও বাচ্চারা আনন্দ পেত। সবচেয়ে বড় কথা বাচ্চাদের আনন্দ দিতে তিনি ভীষণ পছন্দ করতেন। এ ছাড়া তিনি বাজার করতে পছন্দ করতেন। নিউমার্কেটের নির্দিষ্ট দোকান থেকে মাছ ও মাংস কিনতেন।
হুমায়ূন আহমেদ উপহার দিতেও খুব পছন্দ করতেন। তবে সব কিছু কেনার লিস্ট আমাকে দিতেন। লিস্ট অনুযায়ী আমি উপহারগুলো কিনতাম। একবার আমাকে বললেন, লিস্টের বাইরে দুটি পাঞ্জাবি কিনতে হবে। আমি বললাম, কার জন্য কিনতে হবে, তিনি কিছু বললেন না।
পাঞ্জাবি কেনার পর সেটি নিয়ে চলে গেলেন সোজা নিউমার্কেটে। সেই মাছ বিক্রেতার হাতে তুলে দিলেন সেটি। এতে মাছ বিক্রেতা হাউমাউ করে কেঁদে উঠল। আরেকটা পাঞ্জাবি দিলেন মাংসের দোকানের সেই কসাইকে। তাদের খুশি দেখে হুমায়ূন আহমেদেরও চোখ ভিজে গেল।
তাই তাড়াতাড়ি গিয়ে ওঠেন গাড়িতে। মানুষের আনন্দ দেখতে তিনি ভীষণ পছন্দ করতেন। আবার শুটিং ইউনিটের কারও জন্মদিনে তিনি প্যাকআপ করে জন্মদিন পালন করতেন। ইউনিটের মধ্যে যারা ভালো রান্না করতে পারতেন তাদের দিয়ে রান্না করাতেন। একবার হলো কি, ‘চন্দ্রকথা’ ছবির শুটিংয়ের সময় তিনি চম্পা আপাকে রান্না করতে বললেন।
তিনি খুব ভালো রান্না করতে পারেন। চম্পা আপা তাকে রান্না করে খাওয়ালেন। খাওয়া-দাওয়ার দিক দিয়ে তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি খেতেন অল্প কিন্তু বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করতেন। ঠিক তেমনি অন্যদেরও খাইয়ে তৃপ্তি পেতেন।
তবে কাজের সময় ভীষণ সিরিয়াস থাকতেন। এমনকি আমি কোনো কিছু না পারলে আমাকেও ধমক দিতেন। কাজের সময় তিনি আমাকে কখনো স্ত্রী বলে মনে করেননি। তাই আর ১০টা শিল্পীর মতো আমাকেও বকতেন।
প্রশ্ন : শুনেছি স্যার যখনই কোনো বই লিখতেন, সেটি আপনাকে পড়ে শোনাতে হতো।
এ বিষয়টি যদি বলতেন?
উত্তর : হুমায়ূন আহমেদ যখনই কোনো বই লিখতেন, সেটিই আমাকে পড়ে শোনাতে হতো। গল্পের বই হোক, ব্যক্তিগত বা কোনো ইস্যুকেন্দ্রিক বই হোক তার সামনে পড়তে হতো। আমার পড়ার ধরন দেখে তিনি বোঝার চেষ্টা করতেন লেখাটি ঠিক হয়েছে কিনা। হাসির ঘটনাগুলো পড়ে হাসলে তিনি প্রশ্ন করতেন, হাসলে কেন? তা বুঝিয়ে দিতে হতো। আবার কান্নার কোনো দৃশ্যে একই কাজ করতেন।
হুমায়ূন আহমেদ সব সময় আমার মন্তব্য নিতেন। তার কিছু কিছু উপন্যাস পড়তে পড়তে শেষ হয়ে গেলেও মনে হতো যেন তা শেষ হয়নি।
প্রশ্ন : তিনি তো অনেক গান লিখেছেন। এসব গান নিয়ে কিছু বলুন?
উত্তর : তার গানগুলো সব যেন জীবনের সঙ্গে মেশানো। তিনি আলাদাভাবে দু-একটি ছাড়া গান লেখেননি।
যে গানগুলো লিখেছেন সেগুলো সব সিক্যুয়েন্সের মতো আলাদা গান নয়। তবে তিনি গানের চিত্রায়নের দায়িত্ব আমার ওপর ছেড়ে দিতেন। বিয়ের পর গত ৮ বছর আমি তা করেছি। যেমন যমুনার জল দেখতে কালো, আমার ভাঙা ঘরে, ভাঙা চালা, নিশা লাগিল রে, এগুলো সব সিক্যুয়েন্সের গান, আলাদা কোনো গান নয়। আসলে হুমায়ূন আহমেদের গানে মাটির গন্ধ পাওয়া যেত।
প্রশ্ন : স্যার সব সময় বলতেন, শাওন আপনাদের জন্য ছবি বানাবে। আপনি এখন এটি নিয়ে কী ভাবছেন?
উত্তর : একটু একটু করে কাজ শেখার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু হঠাত্ পরিবর্তন এখনো নিজেকে সামলে নিতে পারিনি। আবার নতুন করে সব কিছু ঠিক করে নিতে হবে। মাথাটা যেন একদম ফাঁকা হয়ে গেছে।
মানুষ তো, তাই অনেক কিছু প্রকাশ করতে পারি না। সব কিছু নতুন করে প্রকাশ করতে আমার সময় নিতে হবে। ভাবার সঠিক শক্তিটি এখনো তৈরি করতে পারিনি। ইনশাআল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি শুরু করব। এখন যে পথচলা আছে সেটা নতুন করে শুরু করব।
প্রশ্ন : স্যারের অনেক কাজ এখনো অসম্পূর্ণ। এসব অসম্পূর্ণ কাজ নিয়ে কিছু বলুন?
উত্তর : অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করছি। আপনজনদের সব সময় কাছে পেয়েছি। শক্তি কতটুকু আছে তা জানি না। তার অসম্পূর্ণ লেখা নেই।
আর থাকলেও তা সম্পূর্ণ করার ক্ষমতা কারও নেই। তার শিশুসন্তান দুটিকে চোখের সামনে বড় হতে দেখতে না পারাটা তার আরেকটি অসম্পূর্ণ কাজ। এই কাজটিকে যথার্থ ও পূর্ণাঙ্গভাবে শেষ করতে হবে। হুমায়ূন আহমেদের তখনো রোগ ধরা পড়েনি। কিন্তু জানি না তিনি বুঝতে পেরেছিলেন কিনা।
সব সময় বলতেন নিষাদ, নিনিত বোধহয় বেশিদিন তাদের বাবাকে পাবে না। তখনো বুঝতে পারিনি সত্যি সত্যি সবাইকে ছেড়ে চলে যাবেন। এ ছাড়া নেত্রকোনায় শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ নামে তিনি একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। এটি সম্পূর্ণ নিজের অর্থায়নে চালাতেন। এই স্কুলকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন দেখতেন।
তিনি চাইতেন স্কুলটি ঢাকার স্কুলের সঙ্গে ফাইট করুক। একজন স্থাপত্যের মানুষ হিসেবে স্কুলটির ডিজাইন আমি করেছি। এটি ছিল আমার প্রথম কাজ। আমার নিজেরই স্কুলটির প্রতি মায়া পড়ে গেছে। স্কুলটি এখন ভালোভাবে চলছে।
আমার স্বপ্ন এটি ভবিষ্যতে এমপিওভুক্ত হবে। কিছু মানুষ স্কুলের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন। চেষ্টা করছি সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এ চেষ্টা চালিয়ে যাব।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।