https://twitter.com/nanarkota
কুশীল সমাজ, রাজনীতিবিদ সবাই আছে ক্ষমতা যওয়া নিয়া।
দ্যাশের সাধারন মানুষের কথা কেউ কয় না।
ইউসুফ আলী বয়স ৬৫ পেরিয়ে গেছে। ব্রহ্মপুত্র নদ বিচ্ছিন্ন করইবইশাল দ্বীপচরে তার বাড়ি। ১৫ বার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে সহায় সম্পত্তি সব কিছু হারিয়ে নিস্ব হয়ে পড়েছেন।
অন্যের জমিতে ঘর তুলে ৭ ছেলেমেয়েকে নিয়ে কঠিন জীবনের মুখোমুখি হয়েছেন। চার ছেলে ভিবিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁয় থাকে। দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। পরিবারের সবার ছোট নিজু মিয়া (৮) লেখাপড়ার ছেড়ে বাবার সাথে ঘোড়া গাড়ি টানে। আর তার স্ত্রী জরিনা বেগম মানসিক ভারসাম্যহীন।
গত বুধবার চিলমারী নৌকা ঘাটে কথা হয় ইউসুফ আলীর সাথে। কথা বলে জানা যায়, চিলমারী হাটবাজার থেকে মালামাল বহন করে নৌকা ঘাটে পেঁৗছে দেন তিনি। হাট থেকে নৌকাঘাট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার দূর। রাস্তা নেই। বালুচর পাড়ি দিয়ে ঘাটে পেঁৗছতে হয়।
এ জন্য প্রতি বস্তা মালের ভাড়া নেন ১৫ থেকে ২০ টাকা করে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাড়িতে মাল টেনে রাতে খেওয়া পাড়ি দিয়ে বাড়ি যান। কিন্তু গত ৭ দিন আগে তার পরিবারের আয় রোজগারের একমাত্র অবলম্বন একটি মাত্র ঘোড়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। কোনো উপায় না পেয়ে ইউসুফ আলী নিজেই গাড়ির জোয়াল কাঁধে নেন। আর ছোট ছেলেকে গাড়ির পিছনে ঠেলার দেয়ার জন্য রাখেন।
তিনি বলেন, 'কি কমু বাবা, হামার তো কাওই নাই। পেটোত ভাত দেয়া নাগনি। ছায়াপাওয়া আছে। হামার বেটি ছাওয়া তো পাগলি। হ্যাগ নিয়া আরেক জ্বালা।
বেটি এখনা বিয়া দিছিলাম সেখনাও ঘরোত আচছে। ' নৌকা ঘাট মাস্টার লিপু মিয়া জানান, বৃদ্ধ ইউসুফ প্রতিদিন সকালে ঘোড়ার
গাড়ি নিয়ে আসে। কয়দিন থেকে দেখি সে নিজে গাড়ি টানছে। সে খুব সৎ। তার গাড়িতে কোনো মাল উঠলে সে মালের কোনো ক্ষতি হতে
দিবে না সে।
লিন্কঃ এইখানে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।