‘কোচিং’ ধারনাটা কবে থেকে শুরু ঠিক জানিনা। তবে ৫ম এবং ৮ম শ্রেনীর বৃত্তি পরীক্ষার আগেও আমাদের স্কুলে কোচিং ক্লাস হত (১৯৮৬ এবং ১৯৮৯ সালে) । এসব ক্লাস অবশ্যই আমাকে পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহনে সাহায্য করেছিল। এইচ এস সি এর পরেও আমরা কোচিং করেছি, মেডিকেল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের, কিন্ত পড়াশোনা ছাড়া খারাপ কিছুত দেখিনি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও প্লেব বা ইউ এস এম এল ই (ইউ কে বা ইউ এস এ- তে ডাক্তার হিসাবে লাইসেন্স পাওয়ার জন্য পরীক্ষা) এসব এর জন্য কোচিং এর ব্যবস্থা আছে।
টোফেল বা আই ই এল টি এস এর যে ক্লাস গুলি হয় তাও এক ধরনের কোচিং ক্লাসই – বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃত কোন কোর্স নয়। ভারতেও জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য কোচিং হয়।
কোচিং এ পড়াশোনা ছাড়াত আর কিছু হয়না। তাহলে এ নিয়ে এত বিরূপ মনভাব কেন? এটা বন্ধ করার জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে কেন? উপরন্তূ কোচিং বেকার সমস্যা সমাধানে ও কিছুটা সহায়তা করছে।
যদি কোন কোচিং সেন্টার প্রশ্ন ফাঁস এর সাথে জড়িত থাকে, তবে প্রশ্ন হল, প্রশ্নটা যার দ্বায়িত্বে রক্ষিত ছিল বা যার দ্বায়িত্বে ছাপান হয়েছে তাকে কি বরখাস্ত করে আইন আদালতের মুখামুখি করা হয়েছে? বা কোন কোচিং সেন্টারকে কি এ কারনে বন্ধ করা হয়েছে? আর যদি কোনটা ই না করা হয়ে থাকে তবে কিসের ভিত্তিতে এসব ফালতু অভিযোগ করছেন আমাদের কর্তা ব্যক্তিরা।
তা নিতান্তই শিশু সুলভ বাতুলতা নয় কি?
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি বন্ধ করা হল মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা। এবং কর্তা ব্যক্তিদের কাছেই এখন ও পরিস্কার নয় নিবার্চন পদ্ধতি। তবে কি আমরা ধরে নিতে পারি যে মেডিক্যাল ভর্তি নিয়ে আরেকটি তুঘলকি কাণ্ড ঘটতে চলছে। নতুন ধরনের দুর্নীতি, নতুন বানিজ্য। বিনিময়ে হয়রানি ভর্তি ইচ্ছু ছাত্রছাত্রীদের।
এই ভর্তি নিবার্চন পদ্ধতি নিয়ে সরকার অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিভ্রান্তি দূর করবে, আশা করি। অবশ্য প্রজ্ঞাপন দিয়ে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি না করলেই হয়। ছাত্রছাত্রীদের স্বপ্ন নিয়ে কেউ নগ্ন বানিজ্যে মেতে উঠবে মেনে নেয়া যায় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।