তুমি যদি যাও,
ছায়া ঘেরা আর আঁকাবাকা
এই পথটি ধরি,
একটু পরে দেখতে পাবে
রহিম চাচার বাড়ী ।
দুই ছেলে আর এক মেয়ে
নিয়ে পরিবার তাঁর,
এমন একটি সুখী পরিবার
বলতো আছে কার ?
মেয়েটি যখন সেভেনে পড়তো
সোনার মত মুখ,
রেগে কথা বললে তারে
কেঁদে ভাসাতো বুক ।
এবার মেয়েটি সেভেনে থেকে
ক্লাস এইটে উঠে,
এদিক ওদিক সবদিক থেকে
বিঁয়ের প্রস্তাব আসে ।
তেরো বছরের শিশু কিশোরী
বাড়ন্ত তাঁর গড়ন,
বিঁয়ের কথায় অনেকেই তাই
তার বাবাকে করে বারণ ।
বাবা তাঁদের বোঝায় বলে
একটু মলিন মুখে,
বখাঁটে ছেলে উত্ত্যক্ত করে
স্কুলে যখন যায় হেঁটে ।
কিছু যদি হয়ে যায়
মেয়েকে নিয়ে তখন,
এ মুখ আমি কীভাবে দেখাবো
বলতো পারো এখন ।
অনেকে তবুও আপত্তি করেছিলো
বলেছিলো সমস্যার কথা,
তবুও মেয়ের বিঁয়ে দিয়েছিলো
লুঁকিয়ে রেখে শত ব্যাঁথা ।
বিঁয়ের আগে মেয়েটি বাবার
কহিছিলো পাঁ ধরে,
আদরের মেয়েকে ভাসালে বাবা
গঙ্গার জলে চিরতরে ।
তেরো বছরের সেই মেয়েটির
বিবাহ হয়ে গেলো,
কয়দিন পর সব রোগ যেন
মেয়েটিকে এসে ধরলো ।
সোনার মতন মুখ তার
এখন হয়েছে পিতল তামা,
মাটির মূর্তি হয়েছে
যেন সোনার প্রতিমা ।
এক বছর পর একটি ছেলে
ঘর আলো করে এল,
তা’তে করে মেয়েটির শরীর
আরো যে ভেঙ্গে গেলো ।
জীর্ণ শীর্ণ শরীর দেখে
মেয়েটির বাবা এখন বলে,
বড় ভুল আমি করেছি মাগো,
বাল্যবিবাহ তোরে দিয়ে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।