আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাল্যবিবাহ

তুমি যদি যাও, ছায়া ঘেরা আর আঁকাবাকা এই পথটি ধরি, একটু পরে দেখতে পাবে রহিম চাচার বাড়ী । দুই ছেলে আর এক মেয়ে নিয়ে পরিবার তাঁর, এমন একটি সুখী পরিবার বলতো আছে কার ? মেয়েটি যখন সেভেনে পড়তো সোনার মত মুখ, রেগে কথা বললে তারে কেঁদে ভাসাতো বুক । এবার মেয়েটি সেভেনে থেকে ক্লাস এইটে উঠে, এদিক ওদিক সবদিক থেকে বিঁয়ের প্রস্তাব আসে । তেরো বছরের শিশু কিশোরী বাড়ন্ত তাঁর গড়ন, বিঁয়ের কথায় অনেকেই তাই তার বাবাকে করে বারণ । বাবা তাঁদের বোঝায় বলে একটু মলিন মুখে, বখাঁটে ছেলে উত্ত্যক্ত করে স্কুলে যখন যায় হেঁটে ।

কিছু যদি হয়ে যায় মেয়েকে নিয়ে তখন, এ মুখ আমি কীভাবে দেখাবো বলতো পারো এখন । অনেকে তবুও আপত্তি করেছিলো বলেছিলো সমস্যার কথা, তবুও মেয়ের বিঁয়ে দিয়েছিলো লুঁকিয়ে রেখে শত ব্যাঁথা । বিঁয়ের আগে মেয়েটি বাবার কহিছিলো পাঁ ধরে, আদরের মেয়েকে ভাসালে বাবা গঙ্গার জলে চিরতরে । তেরো বছরের সেই মেয়েটির বিবাহ হয়ে গেলো, কয়দিন পর সব রোগ যেন মেয়েটিকে এসে ধরলো । সোনার মতন মুখ তার এখন হয়েছে পিতল তামা, মাটির মূর্তি হয়েছে যেন সোনার প্রতিমা ।

এক বছর পর একটি ছেলে ঘর আলো করে এল, তা’তে করে মেয়েটির শরীর আরো যে ভেঙ্গে গেলো । জীর্ণ শীর্ণ শরীর দেখে মেয়েটির বাবা এখন বলে, বড় ভুল আমি করেছি মাগো, বাল্যবিবাহ তোরে দিয়ে । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।