হৃদয়ে আমার “একাত্তর” স্বপ্নে দেখি রঙিন ভোর! একজন আস্তিকের দৃষ্টিতে
স্রষ্টা অসীম । তাঁকে কেউ সৃষ্টি করেনি । তিনি স্বয়ম্ভূ । তিনি ছিলেন, তিনি আছেন, তিনি থাকবেন । তাঁর কোন ধ্বংস নেই ।
নেই শুরু কিংবা শেষ । তাঁর অস্তিত্তের পেছনে কোন কারণ নেই । তিনি কারণ বিহীন সত্ত্বা । তাঁর অস্তিত্তের পেছনে কোন ব্যাখ্যাও নেই । তাই তাঁর ব্যাপারে কোন প্রশ্ন করার ও সুযোগ নেই !!!
একজন নাস্তিকের দৃষ্টিতে
বস্তু বা শক্তির কোন ধ্বংস নেই ।
এটির কেবল রূপান্তর সম্ভব । বস্তু অসীম । বস্তুই আদিম । বস্তু ছিল, বস্তু আছে এবং বস্তু থাকবে । এর রূপান্তর প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে অবিরাম ।
বস্তু অসৃষ্ট । বস্তুই সত্য, বস্তুই চূড়ান্ত । বস্তুর বাইরে আর কিছুই চিন্তা করা যায় না । এই বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড বস্তুরই ভিন্ন ভিন্ন রূপের প্রকাশ মাত্র !!!
নাস্তিকের “বস্তু/শক্তি/প্রকৃতি”-ই আসলে আস্তিকের “স্রষ্টা/আল্লাহ্/ ঈশ্বর”। “স্রষ্টার” যে সকল গুনাবলি বা বৈশিষ্টে একজন আস্তিক বিশ্বাস স্থাপন করে থাকে, তদ্রুপ একজন নাস্তিক ও “বস্তুর” ঠিক সে সকল বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলির কথাই বারবার তুলে ধরতে চেষ্টা করে! যা আমরা উপরে তুলে ধরেছি ।
তাহলে শেষ পর্যন্ত কি প্রমাণিত হয় ? একজন আস্তিক আর একজন নাস্তিকের মধ্যে শুধু মাত্র শব্দের মারপ্যাঁচ ছাড়া আর তেমন কোন মৌলিক বা বিশেষ মতপার্থক্য নেই! আস্তিক/নাস্তিক যুগ যুগ ধরে যেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরতে চেষ্টা করেছে তা আদতেই মৌলিক কিছু নয় । বরঞ্চ, উভয়ই এক কারণ বিহীন অসীম শক্তির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে এক প্রকার বাধ্যই হয়েছে বলা যেতে পারে ! অবশ্য এছাড়া তাঁদের আর বিকল্প ভাববার ও করারো কিছু ছিলো না । হয় “স্রষ্টা” না হয় “বস্তু” এর বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা আসলে মানবজাতির নেই! তাহলে কি আর করা, একে অপরের প্রতি কাঁদা ছোড়াছুঁড়ি বাদ দিয়ে নিজেদের সিমাবদ্ধতাকে অকপটে মেনে নেয়াটাই বরং প্রকৃত বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ও হ্যাঁ আরেকটি কথা, নাস্তিকতাবাদ কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনেক প্রশ্নেরই কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারে না । আস্তিকতাবাদ দিয়ে অবশ্য সহজেই সে সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয়া যায়।
যেমন, নৈতিকতার পুরো ব্যাপারটি মহান স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস এবং পরকালের সাথে সম্পৃক্ত করা না হলে শেষ পর্যন্ত তা প্রহসন এবং নিষ্ফল প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই দাড়ায় না। এই পৃথিবীতে আসলে কোন কিছুর প্রকৃত মূল্যায়ন করা কিংবা কোন কাজের যথাযথ প্রতিদান দেয়া কখনোই পুরোপুরি সম্ভব নয়। মৃত্যুর সাথে সাথেই যদি সব কিছু শেষ হয়ে যায় তাহলে মানুষকে তাঁর কর্মের প্রকৃত ফলাফল, মূল্যায়ন ও প্রতিদান থেকে সরাসরি বঞ্চিত করা হবে ! নাস্তিকতাবাদ কখনোই তার এই শূন্যতাকে কোন কিছুর বিনিময়ে পূরণ করেতে সক্ষম হবে না, এ কথা বেশ নির্দ্বিধায়ই বলা যায় !
وَلِلّهِ يَسْجُدُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ طَوْعًا وَكَرْهًا وَظِلالُهُم بِالْغُدُوِّ وَالآصَالِ
আল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু নভোমন্ডলে ও ভূমন্ডলে আছে ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় এবং তাদের প্রতিচ্ছায়াও সকাল-সন্ধ্যায়।
And unto Allâh (Alone) falls in prostration whoever is in the heavens and the earth, willingly or unwillingly, and so do their shadows in the mornings and in the afternoons. ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।