আমি একা নই......আরও অনেকে আমার সাথে ।
মাননীয় চেয়ারপারসনকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা। সেই সঙ্গে আগাম ঈদের আগাম শুভেচ্ছা। আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি অনুরোধ দয়া করে বোরকা পরা মহাসচিবকে দলের স্বার্থে বাদ দিন। জানি না এখনো আপনি অনুধাবন করতে পারছেন কি না, আপনার সদা হাস্যময় পাঞ্জাবি বাবু ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সাহেব দলকে ধ্বংসের প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি দলের ক্রান্তিকালে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সৎ সাহস পাননি। হটাত্ করে মুখ ফসকে সাংবাদিকদের বলে দিলেন খালেদা-হাসিনা কে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে কোনও রাজনীতি হবে না। দেশ নেত্রী আফণী রমজান মাসের শেষ দশ দিনের জন্য যখন এত্তেফাকের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের মাটিতে অবস্থান করছেন। ঠিক তখন আফনের ভারপ্রাপ্ত পাঞ্জাবি মহাসচিব দিলেন বোমা ফাটিয়ে। আমার জানতে ইচ্ছা করছে মির্জা ফখরুল এই মাইনাস দুই নেত্রী ফর্মুলার বাতাস কী করে পেলেন ?
দেশ নেত্রী, আফনের হইত মনে রয়েছে এর আগে পুলিশের গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য বোরকা পরে তিনি হাইকোর্টে যেতে লজ্জাবোধ করেননি।
আফণাকে বলতে চাই, আফনের এই ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আন্দোলনের হুমকি-ধমকি মারেন আবার গভীর রাতে সরকারকে আশ্বস্ত করেন, দলকে চাঙা রাখার জন্য এগুলো বলতে হয়। সরকারের এ নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। তিনি এও বলেন, ম্যাডামকে খুশি রাখার জন্যই এগুলো বলতে হয়। না হলে দলের সামনে এবং ম্যাডামের কাছে টিকে থাকা দায়।
হায় এই ব্যাটা কী করে বিএনপির মত একটা দলের মহাসচিব হয় ? যে দলের রয়েছে রাজাকার গুয়াজম, নিজামীদের স্বসম্মানে বাচানোর মত পরিকল্পনা সেই দলের মহাসচিবের পদে মির্জা ফখরুল এখনো থাকে কী করে ?
দেশ নেত্রী, আফনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের প্রতিটি বক্তব্যই বিভ্রান্তিকর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিএনপি ও জামাতের জন্য ক্ষতিকর।
তিনি আওয়ামী লীগের সাথে মিলেমিশে আগাম কথা বলে বিএনপি ও জামাতের আগাম ক্ষতি করে চলেছেন।
সম্প্রতি আফণী জামাতীদের সঙ্গে সমঝোতার লক্ষ্যে এবং সবচেয়ে বড় কথা জামাতি দের বৃহত্তর স্বার্থে এবং রাজাকার দের প্রত্যাশা ও গুয়াজম দের মুক্তির লক্ষে জামাতীদের ইফতার পার্টিতে গিয়ে গুয়াজম-নিজামীদের মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চেয়েছেন, অথচ আফনের ভারপ্রাপ্ত পাঞ্জাবি বাবু গুয়াজম নিজামীদের মুক্তি বিষয়ে আফনের দোয়ার পক্ষে কথা না বলে। কী সব মাইনাস ফর্মুলা নিয়ে আবালের মত বিনদুন বলে যাচ্ছে। যা মনে করি বিএনপি-জামাতীদের জন্য খুব ক্ষতিকারক।
শুধু তাই নয়, তিনি আরো দম্ভোক্তি করেছেন, আগামীতে তিনি সরকারে যেতে পারলে রাজাকার দের বিচার করার দায়ে বর্তমান সরকারের বিচার করবেন! তাই তার এ বক্তব্যে স্বভাবতই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
প্রথমত : ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এবং তার বোরকা পরা সাঙ্গপাঙ্গরা বর্তমান সরকার এর বিচার করতে কতটুকু সক্ষম?
দ্বিতীয়ত: দেশনেত্রী আফণী যেখানে বলেছেন তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছাড়া নির্বাচনে যাবেন না সেখানে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আগামীতে কীভাবে ক্ষমতায় যাবেন?
আমি মনে করছি আফনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সাহেব অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে তার ইপ্সিত লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছেন এবং কোনোপ্রকার রাজনৈতিক লক্ষ্য ও পরিকল্পনা ছাড়াই দলকে পয়েন্ট অব নো রিটার্নের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন এবং দলের নেতাকর্মীদের অহেতুক এবং অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকিতে ফেলছেন। শুধু ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের বোকামি, অদূরদর্শিতা, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে চরম ব্যর্থতা ও ফখরুলের বোরকা পরার রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং কাপুরুষতা ও রাজাকার বাছাও আন্দোলনের চরম ব্যর্থতার কারণে গুয়াজম নিজামীদের মতো খাটি রাজাকার দের জেল খানা বের করে দিতে এখন পর্যন্ত সরকারকে বাধ্য করতে পারেনি।
এ বর্ণচোরা ও সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদদের ছুড়ে ফেলে দিয়ে দলের নিবেদিত ও ত্যাগী এবং জামাতীদের জন্ম থেকে অবিচ্ছিন্নভাবে দলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এমন কাউকে দলের মহাসচিব করুন। প্রয়োজনে তারেক রহমানকে ফিরিয়ে এনে দলের মহাসচিবের দায়িত্ব দিয়ে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে গুয়াজম-নিজামীদের মুক্তি নিশ্চিত করুন।
@সুলতান মির্জা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।