লিভিং টুগেদার বৈধ। কারণ ভারতের ধর্মগ্রন্থ গুলো এর সমর্থন করে। সম্প্রতি ভারতের সুপ্রীম কোর্টো দক্ষিণ ভারতের এক মুসলিম নায়িকা খুশবুর মামলায় এ রায় দিয়েছেন। ওই নায়িকা লিভিংটুগেদারের পক্ষে কথা বলায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল তার বিরোধীরা। নিম্ন আদালত হয়ে সে মামলা উচ্চ আদালতে এসে এ পরিণতি লাভ করে।
বিচারক রায় দেয়ার মধ্যে দেশ জুড়ে এক বির্তক সৃষ্টি করলেন । এ রায়ে তিনি রেফারেন্স হিসেবে যে হিন্দু ধর্মের কথা বলেছেন এখন তার বিপক্ষে সাবেক বিচারপতি ও বিজেপি হরিয়ানার এক এমপির যুক্তি হচ্ছে বিচারপতিগণ দেখাক হিন্দু ধর্ম লিভিংটুগেদারকে ভাল বলে বা এ কাজ করতে হিন্দু ধর্ম উৎসাহ দেয় এরকম প্রমাণ তিনি হাজির করুন।
বিচারপতি কেজি বালাকৃষ্ণানন সম্পর্কে কিছু বিষয় আগে জেনে নেয়া যাক। সম্প্রতি কালে ভারতে তিনি একজন বিতর্কিত বিচারপতি। বিচারকদের সম্পদ প্রকাশ করা না করা নিয়ে সারা ভারতের বিচারপতিদে মধ্যে যে দ্বিধাবিভক্তি কাজ করছে তার মূলে হচ্ছেন স্বয়ং তিনি।
তিনি বিচারপতিদের সম্পদ প্রকাশ করার বিরুদ্ধে। কারণ তিনি এবং তার মত বহু বিচারপতি অর্থের বিনিময়ে অন্যায় রায় দিয়ে সম্পদের পাহার বানিয়েছেন। বিচারপতিরা দূর্নীতিগ্রস্থ এদের বিচার হওয়া উচিত এমন একটি দাবি যখন ভারতের সব মহল থেকে উঠছে সে মুহূর্তে তিনি তার বিতর্কিত কাজ গুলো করতে থাকেন। কিন্তু ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিরা চান বিচারবিভাগের স্বচ্ছতা ও জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য বিচারপতিদের সম্পদ জনগণের মাঝে প্রকাশ করা উচিত। এর জন্য যেসব আইন করা উচিত তা যেন বিচার বিভাগ করে।
কিন্ত এই বালা কৃষ্ণের জন্য তা হচ্ছে না। ব্যক্তির গোপনীয়াতে এতে লঙ্ঘিত হয় এ অজুহাতে তিনি বিচারপতিদের সম্পদ প্রকাশে রাজি নন বলে জানান।
যাক মূল ঘটনায় আসি। একটা প্রবাদ আছে "কৃষ্ণ করলে নীলা খেলা আমি করলে দোষ"। যারা স্বভাবে হীন চরিত্রের তাদের কাছে বিষয়টি এরকম।
কিন্তু যারা কৃষ্ণ ভক্ত তাদের কাছে বিষয়টি অন্যরকম। লিভিংটুগেদার কি? সেটা আমরা সকলেই জানি। তারপরও বলতে হয় বিবাহিত নয় কিন্তু স্বামী স্ত্রীর মত এক সাথে রাত্রি যাপন আহার নিদ্রা সব কিছু এক সাথে করা। মোট কথা বিবাহ ছাড়া বিবাহিত স্বামী স্ত্রীর মত বসবাস করাকে লিভিং টুগেদার বলে। আপনি গার্ল ফেন্ড নিয়ে কিছু সময় ঘোরাঘুরি করলেন তারপর বাসায় ফিরে আসলেন সেটাকে লিভিং টুগেদার বলে না।
বান্ধবীকে নিয়ে কাজের এক ফাকে বসে লাঞ্চ করলেন সেটা কে লিভিংটুগেদার বলে না। পার্কে বসে বা ক্যম্পাসে বান্ধবী নিয়ে আড্ডা মারলেন তাকে লিভিংটুগেদার বলে না। হিন্দুদের ভগবান শ্রী কৃষ্ণ তার শৈশবে গোপীদের সাথে খেলাধূলা, হাসি ঠাট্টা এসব করেছেন বলে জানা যায়। গোপীদের সাথে তিনি রাত্রি যাপন করতেন এরকম কাহিনী কৃষ্ণের নীলা খেলার মধ্যে কোথাও আছে জানা যায় না। তবে কীসের ভিত্তিতে বিচারক বালাকৃষ্ণন এসব বললেন।
তার প্রমান তিনিই দিতে পারবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।