ফ আহমেদ মো: আসাদুজ্জামান আসাদ। জন্ম ১৯৮৩ সালে। শান্ত ছায়া ঘেরা প্রকৃতি গাজীপুরের এক নিভৃত পল্লীতে। সচকিত উচ্চারণের প্রতিনিয়তের ধারাবাহিকতায় তার পরবর্তী যাত্রা যশ ও সুনামের তীর্থস্থান যশোরে চাচার গৃহে। তারপর প্রবাহমান উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনার মাঝে কখনও ফুটবল খেলোয়াড়, আবার মনোযোগী ছাত্র হিসাবে, আবার কখনও ধর্মীয় উদ্দীপনার প্রকোষ্ট বন্ধনে আবদ্ধ।
এরপর বয়সের পালক পেরিয়ে যশোর জিলা স্কুল থেকে ১৯৯৮ সালে এক অগ্নিপরীক্ষার বদৌলতে কাগজে সার্টিফিকেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। সামনে রাজপথ। আর এ পথের গন্তব্য যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ। সূর্যাস্তের ক্ষণে প্রতিদিনের অধ্যাবসায় আর বুকের ভিতরের লালিত সুপ্ত স্বপ্নকে ধারণ করে কলেজে। কলেজের মোহনীয় দিনগুলোর সাথে পরম প্রিয়া বান্ধবী জেনিফার বাসায় সন্ধ্যাকালীন আড্ডার এক প্রানবন্ত উম্মাদনা।
অবশেষে ক্লান্ত, অবসর মন নিয়ে আবার সেই পুরাতন ঠিকানায়।
কিছুক্ষণ ছন্দপতন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দৌড়গোড়ায়। চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন। আসাদ আবার যুদ্ধ ক্ষেত্রে বিজয়ীর বেশে।
২০০০ সালের আগষ্টে শান্ত, সৌম্য, ছোটখাট মানব সন্তানের এবার সরব উপস্থিতি। যাত্রার যোজনে সন্নিবেশিত হল আমাদের আলবোলা ভোলা বাকু। বন্ধুকে নিয়ে রাজধানী কেন্দ্রিক ভাবনার অভিন্ন প্রয়াসে কিছুদিন ঠিকানা হল রায়ের বাজার হাতেমবাগ মসজিদ সংলগ্ন এক বাড়ির চিলে কোঠায়। তারপর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর বড় ভাইয়ের সহায়তায় জগন্নাথ হল।
ভর্তিযুদ্ধ প্রহসনে আক্রান্ত হয়ে বিজনেস স্টাডি থেকে দু-দুবার ব্যর্থতার সমীকরণ মিলিয়ে চলমান ধারাবাহিকতার সাথে যোগ হল বঙ্গবন্ধু হলের ১১৪ নম্বর কক্ষ। কিছুদিন যেতে না যেতেই জীবনকেন্দ্রিক ভাবনা আর কঠোর বাস্তবতা। তাই শিক্ষার বিনিময়ে সম্মানী। গন্তব্য মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল কলেজ। চারিদিকে নিরব-নিস্তব্ধ।
আকাশে কালো মেঘ। বৃষ্টি নামার আগে আসাদের চোখ থেকে নেমে এলো অঝর জলধারা। বাবাকে শেষ বিদায় জানিয়ে আবার পথ চলা। উচ্চায়ত ভাবনাকে বাস্তবায়ন করার অভিপ্রায়ে জাপানী ভাষার উপর ডিপ্লোমায় পারদর্শিতা অর্জন। ঠিক পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় আলোকিত হওয়ার আগে ৩৫ দিনের জন্য জাপান যাত্রার অগ্রিম টিকিট।
কিছুদিন সাফল্যের উপচেপড়া ঢেউয়ে আবার সংযোজন হল এক বছরের জাপান যাওয়ার অনুমোদন। এরপর থেকে আসাদ চলছে অবিরত......(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।