আমি জানি আমি জানি না অনুবাদে ধবলীকরণ । ।
সুরা তওবায় বলা হচ্ছে: ‘ইহুদীরা বলে আল্লাহর পুত্র, নাসারারা বলে মসীহ আল্লাহর পুত্র ,এ তাদের মুখের কথা-পূর্ববর্তী কাফেরদের মত-আল্লাহ এদের ধ্বংস করুণ। ’(৯:৩০) মুল আরবীতে আছে ক্বতল,যার অর্থ অধিকাংশ বাংলা অনুবাদ ধ্বংস,নিপাত করা ,মেরে ফেলা । কিন্তু এই শব্দটি আব্দুল্লাহ ইউসুফ আলি ও সাকিরের ইংরেজি অনুবাদে হয়ে গেল curse , যার বাংলা অভিশাপ ।
Allah’s curse be on them ( Tr. Ali) ; may God curse them (Tr.Shakir) ।
দেখা যাচ্ছে মুল আরবী এবং বাংলা কোরানে ইহুদি ও খৃষ্টানদের যে ভাষায় ‘কতল’ বা ধ্বংস করতে বলা হয়েছে ইংরেজি অনুবাদকেরা তাকে অনেকটাই মোলায়েম করে কেবল ‘অভিশাপ’ বলেছেন । ধ্বংস করতে বলা আর তাদের উপর অভিশাপ দেয়া ,দুটো পরিভাষায় আকাশ-পাতাল তফাৎ । অনেকে একেই কোরানের ধৌতকরণ বা sanitization বলেন । এটি করা হয়েছে বিশেষ করে সেইসব অমুসলিম ইংরেজিভাষীদের জন্য যাতে কোরানকে কেবল শান্তির ,সহাবস্থানের গ্রন্থ বলে দেখানো যায় ।
এরকম আরও অনেক উদাহরণ আছে । প্রশ্ন ,আমরা কোনটা সঠিক মানবো ?
শুধু যে ইংরেজি অনুবাদে ধবলীকরণ হয় তা নয়, বাংলা অনুবাদের মধ্যেও ব্যক্তিবিশেষের রাজনৈতিক দর্শণ অনুযায়ী অনুবাদের ভাষা বদল হয়, -যেমন জিহাদ এর বাংলা ড ম শহীদুল্লাহর কাছে ‘সংগ্রাম’, মওদুদীর অনুবাদে হয়ে যায়- ‘যুদ্ধ’ ।
সংগ্রাম অনেক ব্যাপক এবং এর দ্বারা অনেক কিছু বোঝান যায় । শহীদুল্লাহ ইসলাম কে মওদুদীদের মত যুদ্ধংদেহী দেখতে চাননা তাই কিছুটা সংযত করলেন । কিন্তু মওদুদীরা সেই প্রাথমিক যুগের ইসলামী খিলাফত আনতে চান-তাই যুদ্ধের আহ্বান ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।