আমি একজন বাঙ্গালি রমনী....... বাংলাদেশের সংবিধানের ৭ম সংশোধনী নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের পর গণমাধ্যমগুলো হঠাৎ এ নিয়ে খুব সচেতন হয়ে ওঠেছে। সপ্তম সংশোধনী একটি পুরোনো বিষয় হলেও ২০১০ সালের এপ্রিল থেকে বিষয়টি গণমাধ্যমে আলোচিত হয়ে ওঠে। এরপর ২৯ ডিসেম্বর ২০১০ হাইকোর্ট সপ্তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে পূর্নাঙ্গ রায় দেয়। এরপরই শুরু হয় রায়ের বা¯Íবায়ন নিয়ে সংশয়। আর এ বিষয়ে গণমাধ্যমের উৎকণ্ঠা।
তবে সংবিধানের ৫ম সংশোধনী গণমাধ্যমে যেভাবে ট্রিটমেন্ট পায় সপ্তম সংশোধনী নিয়ে ততটা আলোচনা হয় না।
“অবসান হলো রাতি নিভাইয়া ফেল কালিমা মলিন ঘরের কোণার বাতি”
সংসদে ৭ম সংশোধনী বিল গৃহীত হবার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরীর এমন বক্তব্য নিয়ে ১৯৮৬ তে মূলধারার সংবাদপত্রগুলো সংবাদ উপস্থাপনা করলেও আজকে ৭ম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার পর গণমাধ্যম এ বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে ফেলেছে। এছাড়াও পত্রিকার নিজস্ব মতাদর্শও তাদের এ বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদে প্রভাব ফেলে। তবে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াগুলো এই সপ্তম সংশোধনী বিষয়ে একই ধরনের সংবাদই প্রকাশ করে আর প্রিন্ট মিডিয়ায় এ বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদের ট্রিটমেন্টের ধরনে পার্থক্য লক্ষ্যনীয়।
ফিরে দেখা সপ্তম সংশোধনী ঃ
পঞ্চম সংশোধনীর মতো বাংলাদেশের সংবিধানের আর একটি কালিমাময় সংশোধনী হলো সপ্তম সংশোধনী।
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ বাংলাদেশে সামরিক শাসন জারি করে ক্ষমতা দখল করে সংবিধানের কার্যকারিতা স্থগিত করেন এবং দেশে সকল প্রকারের রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত করেন। এ সময় তিনি ‘সামরিক আইন প্রশাসক’ হিসেবে বেশ কিছু সামরিক আইন, ফরমান, অধ্যাদেশ, আদেশ জারি করে। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত জারিকৃত সকল আদেশ, ফরমান ও উক্ত ফরমান দ্বারা ঘোষিত সামরিক আইন, গৃহীত কার্যাবলী নিয়োগকে বৈধতা দেবার জন্য ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর তৃতীয় জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিচারপতি একে এম নুরুল ইসলাম ‘সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী বিল’ উত্থাপন করেন। বিলটির পক্ষে ২২৩ জন সংসদ সদস্য ভোট দেন আর বাকিও সাংসদরা সংসদ বয়কট করেন। এরপর বিল ১১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির নিকট অনুমোদন পায়।
আর এই বিলটিই ‘সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী আইন, ১৯৮৬ নামে পরিচিত।
সংবিধানের ৭ম সংশোধনীর বিষয়বস্তু ঃ
১। বিচারপতিদের বয়স সীমা ৬২ থেকে ৬৫ তে প্রতিস্থাপন।
২। ১৯৮২ সালের ২৪ শে মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত জারিকৃত সকল আদেশ, ফরমান অধ্যাদেশ এমনকি সামরিক আইনের বৈধতা প্রদান।
সংবিধানের ৭ম সংশোধনী বাতিলের উদ্যোগ ঃ
১৯৮৪ সালের ১২ নভেম্বর চট্টগ্রামের মসলা ব্যবসায়ী আবু তাহের খুন হবার পর ২৪ ডিসেম্বর এ ঘটনায় চট্টগ্রামের কতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করা হয়। সাধারণ আদালতে মামলাটি চলছিল। তবে ১৯৮৬ সারৈর ১২ মার্চ মামলাটি মার্শাল ল’ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। আর এতে সিদ্দিক আহমেদ, নূর মোহাম্মদ ও নুরূল আনোয়ারকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয় তবে সে সময় সিদ্দিক আহমেদ পলাতক ছিলেন। পরে ২০০৬ সালের ২ আগস্ট তাকে গ্রেফতার করা হলে তিনি সামরিক শাসন, সামরিক আদালত ও সংবিধানের সপ্তম সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
এর প্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ৫ এপ্রিল ‘সংবিধানের ৭ম সংশোধনী কেন অবৈধ হবে না’- এ বিষয়ে রুল জারি করা হয়; রুলের পর ২৬ আগস্ট হাইকোর্ট ৭ম সংশোধনীকে অবৈধ বলে রায় দেয়; আর রায় ঘোষণার ৪ মাস পর ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে হাইকোর্টের পূর্নাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
সপ্তম সংশোধনীর বর্তমান অবস্থা ঃ
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মোঃ জাকির হোসেন কর্তৃক ঘোষিত হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যম সপ্তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষিত হয় এবং এরশাদকে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। রায়ে অতীতে যারা সামরিক শাসন জারি করেছিলেন তাদের বিচার করা প্রয়োজন বলে বলা হয় কারণ এর ফলে ভবিষ্যতে বে-সামরিক শাসন জারির অপচেষ্টা করবে না। তবে জারিকৃত পূর্ণাঙ্গ রায়ে সামরিক শাসকের বিচার সরকার ও সংসদের হাতে ছেড়ে দেয়ায় রায়ের বা¯Íবায়ন সরকার উপর ন্য¯Í করা হয়েছে। আর সরকার ৭ম সংশোধনী নিয়ে তেমন সচেতন নয়, বরং তাদের সকল মাথাব্যাথা ৫ম সংশোধনী নিয়ে।
দেশের স্বাধীনতার মূল চেতনা ও সংবিধানের ৭নং অনুচ্ছেদের পরিপন্থী । তাই ৭ম সংশোধনী বাতিল প্রতিটি সচেতন নাগরিক ও সুশীল সমাজের অন্যতম দাবি। কারণ সপ্তম সংশোধনীর মাধ্যমে দীর্ঘ ৪ বছরের সামরিক শাসন যা দেশকে কয়েক বছর পিছিয়ে দিয়েছে তাকে বৈধতা দেয়া হয়েছে।
সংবিধানের ৭ম সংশোধনী, হাইকোর্টের রায় ও গণমাধ্যমে অবস্থান
যে ৭ম সংশোধনী বাংলাদেশের সংবিধানের সম্পূর্ণ পরিপন্থী তা নিয়ে দীর্ঘকাল আমাদের গণমাধ্যম নিশ্চুপ ছিল, যেন এটা কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই নয়। সম্প্রতি ৫ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করলে হঠাৎ গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ, প্রতিবেদন ছাপা হয়।
তবে আমাদের গণমাধ্যম ৭ম সংশোধনী নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে থাকে ২৬ আগষ্টে হাইকোর্ট এই সংশোধনীকে অবৈধ বলে রায় দেবার পর থেকে এবং পরবর্তীতে ২৯ শে ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হবার পর গণমাধ্যমে এ নিয়ে বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। তবে সংবিধানের এই অবৈধ সংশোধনী যেমন রাজনীতিবিদদের কাছে তেমন গুরুত্ব পায় নি তেমনি গণমাধ্যমেও পায় নি। রায় প্রকাশিত হবার পরের কয়েক দিন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কিছু ফলোআপ সংবাদ ছাপা হয় তবে এ নিয়ে কোন টকশোতে আলোচনা হতে দেখা যায় নি, বরং ৫ম সংশোধনী আলোচনার ফাঁকে কখনো কখনো সংবিধানের ৭ম সংশোধনী স্থান পেয়েছে। আর প্রিন্ট মিডিয়ার মধ্যে প্রথম আলোয় এ বিষয়ে সর্বাধিক সংবাদ প্রকাশ করে। প্রথম আলো পত্রিকায় আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সংবিধানের ৭ম সংশোধনী বিষয়ে ১৪টি সংবাদ ও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, এমনকি একটি গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন হয়।
এই পত্রিকাটি ৭ম সংশোধনী বিষয়ে সাংসদ ব্যরিস্টার মওদুদ আহমেদের একটি সাক্ষাৎকারও প্রকাশ করে। তবে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ৭ম সংশোধনী নিয়ে মাত্র ৫টি সংবাদ প্রকাশিত হয় আর জনকণ্ঠে সপ্তম সংশোধনী নিয়ে প্রথম পাতার ডিসেম্বর মাসে ৩টি সংবাদ ছাপা হয় তবে কোন সম্পাদকীয় ছাপা হয় নি। অথর্ধাৎ গণমাধ্যমে ৭ম সংশোধনী ও এ বিষয়ে হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়কে তুলনামূলক কম গুরুত্ব দিয়েছে।
গণমাধ্যমের জরিপ
দৈনিক প্রথম আলো ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা ৭ম সংশোধনী মামলায় হাইকোর্টের রায় ঘোষিত হবার পর বেশ কিছু জরিপ পরিচালনা করে।
৩১শে ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে দৈনিক প্রথম আলোর জরিপের প্রশ্ন ছিলো সামরিক শাসন জারির অপরাধে এরশাদের বিচার হবে বলে আশা করেন কি?
উত্তরে ২৫.০৫% লোক হ্যাঁ ও ৭২.৯২% লোক না উত্তর করে।
আবার ২৮ আগস্ট জরিপেরে প্রশ্ন ছিলো অবৈধ ক্ষমতা দখলের জন্য সরকার এরশাদের বিচার করবে বলে মনে করে? এখানে ২০৮ জন ব্যক্তি হ্যাঁ উত্তর করে আর ১১৯৭ জন ব্যক্তি মনে করে সরকার এরশাদের বিচার করবে না।
দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ৩০ আগস্টে ‘প্রচলিত আইনে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীদের বিচার সম্ভব কিনা’ এমন জরিপে সম্ভব বলে উত্তর করেন ৪৮৯ জন ব্যক্তি আর সম্ভব নয় বলে উত্তর করেন ২৯০২ জন ব্যক্তি।
কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, সপ্তম সংশোধনী বিষয়ক মামলার আদলে জরিপগুলো করা হলেও জরিপের কোথা ও ‘৭ম সংশোধনী’ শব্দটি উল্লেখ নেই তাই আমার নিজের একটি জরিপে দেখা যায় ১২ জন নমুনার মধ্যে মাত্র ২ জন সপ্তম সংশোধনী ও এর মামলার রায় ষিয়ে সম্পূর্ণ অবগত আছে। এখানে গণমাধ্যম তার এজেন্ডা অনুসারী সরকারকে সমর্থন জানাচ্ছে বলে আমি মনে করি।
সংবিধানের ৭ম সংশোধনীর মিডিয়া কভারেজ ও গণযোগাযোগ তত্ত্বাবলীর সম্পর্ক
গত কয়েক মাস ধরে গণমাধ্যমে ৭ম সংশোধনী নিয়ে সংবাদ ও আলোচনা উপস্থাপন করা হচ্ছে।
মূলত ২৬শে আগস্ট ২০১০ এ হাইকোর্টের রায় ও ২৯ শে ডিসেম্বর ২০১০ এ প্রকাশিত হাইকোর্টের পূর্নাঙ্গ রায়ের পর প্রায় সব গণমাধ্যম বিষয়টিকে গুরুত্ব নিয়েছে। তবে গণমাধ্যমে ৭ম সংশোধনী নিয়ে আসা সংবাদ ও আলোচনার সালে আমাদের পঠিত গণযোগাযোগ তত্ত্বাবলীর যোগসূত্র রয়েছে। এই গণযোগাযোগ তত্ত্বাবলীয় সালে সংবিধানের ৭ম সংশোধনী বিষয়ে মিডিয়া কভারেজের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে নিম্নে উপস্থাপন করা হলো ঃ-
সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী ও গণমাধ্যমের এজেন্ডা সেটিং ঃ
১৯৭২ সালে সাংবাদিকতার অধ্যাপক গধীবিষষ গপঈড়সনং এবং উড়হধষফ ঝযধি সর্বপ্রথম অমবহফধ ঝবঃঃরহম ঞযবড়ৎু র প্রবর্তন করেন। এই তত্ত্বের মূল কথা হলো মিডিয়া আমাদের জানিয়ে দেয় আমরা কি কি নিয়ে ভাববো। অর্থাৎ গণমাধ্যম এজেন্ডা সেটিং বা আলোচ্য সূচী নির্ধারণের মাধ্যমে অনেকগুলো ইস্যুর মধ্য হতে এক বা একাধিক ইস্যুকে এমনভাবে কাভারেজ দিবে যাতে এক বা একাধিক ইস্যুকে এমনভাবে কাভারেজ দিবে যাতে দর্শক শ্রোতা পাঠক সে বিষয়টি নিয়ে ভাবে বা ভাবতে বাধ্য হয়।
সংবিধানে ৭ম সংশোধনী আনা হয় ১৯৮৬ সালে। এরপর দীর্ঘসময় এ নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি। ২০১০ সালের ২৬ আগস্ট হাইকোর্ট সংবিধানের ৭ম সংশোধনীকে অবৈধ বলে রায় দিলে হঠাৎ গণমাধ্যমে এটি সর্বাধিক গুরুত্ব পায়। ইলেক্স্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার লীড নিউজ হয় সংবিধানের ৭ম সংশোধনী বিষয়ক হাইকোর্টের রায়। এ সময় গণমাধ্যম এর পিছনের ইতিহাস নিয়ে বেশ কিছু ধারাবাহিক প্রতিবেদন ছাপা হয়।
তবে রায় প্রকাশের পরের দিন প্রত্যেকটি গণমাধ্যমে ৭ম সংশোধনী মামলার রায় সর্বাধিক গুরুত্ব পেলে ও পরে কয়েকটি গণমাধ্যম ছাড়া অন্যান্য গণমাধ্যম এ বিষয়ে কোন সংবাদ প্রচার করে নি। আবার ২৯ ডিসেম্বর হাইকোর্ট পূর্নাঙ্গ রায় ঘোষণা করলে ৭ম সংশোধনী আবার লীড নিউজে স্থান পায়। তবে সেপ্টেম্বর অক্টোবর নভেম্বরে সপ্তম সংশোধনী নিয়ে প্রথম আলোতে কয়েকটি প্রতিবেদন আসলে ‘দৈনিক ইনকিলাব’; দৈনিক যুগান্তর’, ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ সহ অন্য পত্রিকা এ বিষয়ে কোন প্রতিবেদন ছাপে না এমনকি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াও রায়ের যথার্থতা ও রায়ের বা¯Íবায়ন বিষয়ে কোন আলোচনার আয়োজন করে না। ফলে আমি ‘সংবিধানের ৭ম সংশোধনী সম্পর্কে আমরা কতটা জানি’ এ বিষয়ে ১২ জন ব্যক্তির উপর জরিপ করলে দেখা যায় মাত্র দু’জন ৭ম সংশোধনী ও এর বৈধতা বিষয়ে হাইকোর্টের রায় বিষয়ে পরিপূর্ণ জানে আর বাকি ১০ জনের মধ্যে ৬জন ৭ম সংশোধনীকে ৫ম সংশোধনী ভেবে ভুল উত্তর দেয়। কারণ গণমাধ্যম ৫ম সংশোধনী ও এর রায় নিয়ে সেভাবে সংবাদ ও প্রতিবেদন প্রকাশ করে ৭ম সংশোধনী নিয়ে তা করে না।
তাই সাধারণ মানুষ ৫ম সংশোধনী মামলার রায় সম্পর্কে অবগত থাকলেও ৭ম সংশোধনী মামলার রায় নিয়ে অবগত নয়।
রাজনৈতিক মতাদর্শ, গণমাধ্যম পলিসি ও এজেন্ডা সেটিং আন্ত: সম্পর্কিত হওয়ায় গণমাধ্যম ৭ম সংশোধনী মামলার রায়কে কম গুরুত্ব দিচ্ছে, কারণ রায়ের বা¯Íবায়ন হাইকোর্ট সরকার ও সংসদের উপর ছেড়ে দিলেও সরকার এ বিষয়ে নীরবতা পালন করছে। আবার গণমাধ্যমের ভিন্ন ভিন্ন পলিসির কারণে ‘দৈনিক জনকণ্ঠ’ ৭ম সংশোধনী বিষয়ে হাইকোর্টের রায়কে কম গুরুত্ব দিচ্ছে আর দৈনিক প্রথম আলো তুলনামূলক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
সংবিধানের ৭ম সংশোধনী ও কর্ষণ তত্ত্ব ঃ
জর্জ গার্বনার প্রবর্তিত ‘কর্জের তত্ত্বের মূল কথা গণমাধ্যম আমাদের একইভাবে ভাবতে শেখায়। তবে গার্বনার তাঁর তত্ত্বে বলেন, টেলিভিশনে প্রদর্শিত অনুষ্ঠান বা সর্হিসতা দু’ ধরনের দর্শকের উপর দু’রকম প্রভাব ফেলে।
যারা বেশি টেলিভিশন দেখে (৪ ঘন্টা বা তার বেশি) তারা এগুলোকে বা¯Íব মনে করে আর যারা কম দেখে (৪ ঘন্টার কম) তারা এর দ্বারা কম প্রভাবিত হয়।
সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী বিষয়ে প্রচারিত সংবাদের সাথে কর্তন তত্ত্বের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। গণমাধ্যমে ৭ম সংশোধনী বিষয়ে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় অর্থাৎ ‘সপ্তম সংশোধনী অবৈধ’ বলে জারিকৃত হাইকোর্টের রায়ের সমালোচনা না করার সাধারণ মানুষ এই সংশোধনীকে অবৈধ বলেই জেনে নেয়া ব্লগে ৭ম সংশোধনী রায়ের প্রতিক্রিয়া পড়ে দেখা যায় বেশির ভাগ পাঠকই এ সংশোধনী এরশাদের শা¯িÍ দাবি জানিয়েছেন। আমিও প্রতিবেদনটি ‘তৈরির আগে মিডিয়া কভারেজ দেখে হাইকোর্টের রায় অবিলম্বে বা¯Íবায়নের পক্ষপাতিত্ব করেছি।
সংবিধানের ৭ম সংশোধনী ও ক্রিটিকাল কালচারাল তত্ত ঃ
ঋৎধহশভঁৎঃ ঝপযড়ড়ষ এর তিনজন ঈৎরঃরপধষ ঃযবড়ৎরংঃ গধী ঐড়ৎশযবরসবৎ, ঞযবড়ফড়ৎ ড. অফড়ৎহড়, ঐবৎনবৎঃ গধৎপঁংব এবং ঈঁষঃঁৎধষ ঃযবড়ৎরংঃ ব্রিটিশ অধ্যাপক ঝঃঁধৎঃ ঐধষষ ঈৎরঃরপধষ ঈঁষঃঁৎধষ ঞযবড়ৎু প্রবর্তন করেন।
মূলত পঁষঃঁৎব ও গধৎীরংস এর সমন্বয়ে পৎরঃরপধষ পঁষঃঁৎধষ ঃযবড়ৎু তৈরি হয়। তবে পঁষঃঁৎধষ ঃযবড়ৎরংঃ রা মনে করেন সংস্কৃতির মাধ্যমে সমাজের একটি শ্রেণী অপর শ্রেণীকে ফড়সরহধঃব করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়। তবে ঝঃঁধৎঃ ঐধষষ বলেন- “যোগাযোগ ও সংস্কৃতি পরষ্পর সম্পর্কযুক্ত”। যোগাযোগের মাধ্যমে শাসক শ্রেণী নিজেদের পঁষঃঁৎব ব্যবহার করে শোসিত শ্রেণীকে উড়সরহধঃব কার। তবে এ ফড়সরহধঃরড়হ এ ভড়ৎপব ব্যবহার কর।
হয় না বরং মিডিয়ার মাধ্যমে ধীরে ধীরে এই ফড়সরহধঃরড়হ গড়ে ওঠে।
বলা যায়, গণমাধ্যমে সংবিধানের ৭ম সংশোধনী অবৈধ, এরশাদের বিচার হওয়া উচিৎ, এরশাদ অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী, হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়, ৭২’ এর সংবিধানে ফিরে যাবার পথে আরও এক ধাপ এমন সংবাদ ও প্রতিবেদন প্রচার করে সমাজের একটি শ্রেণী ‘সংবিধান সংশোধন’ নামক একটি নতুন সংস্কৃতির অবতারণা করেছে, আর এরই মাধ্যমে শাসক শ্রেণী সমাজের অপর শ্রেণীর উপর তাদের ভাবাদর্শ, মতাদর্শ চাপিয়ে দিয়ে ধীরে ধীরে সমাজে নিজেদের আধিপত্য সুসংহত করছে।
সপ্তম সংশোধনীর মিডিয়া কভারেজ ও নীরবতার কুন্ডলী ঃ
নীরবতার কুন্ডলী বা ঝঢ়রৎধষ ড়ভ ংরষবহপব তত্ত্বের প্রবক্ত হলেন জার্মান নারী ঊষরংধনবঃয ঘড়বষশব০- ঘবঁসধহহ এ তত্ত্বের মূলকথা গুলো ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘিষ্ঠের মতামত’। মানুষ সবসময় তার বর্তমান ও ভবিষ্যতের বিষয়ে বিবেচনা করে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতকে সমর্থন করেন। অর্থাৎ অধিকাংশ লোক যা বলে তা ভুল হলেও বাকিরা তার প্রতিবাদ করে না বরং চুপ থাকে।
তেমনি ৭ম সংশোধনী অবৈধ বলে ঘোষিত হাইকোর্টের রায়ের পর মিডিয়াতে যে সকল প্রতিবেদন উপস্থাপিত হয় তাতে সপ্তম সংশোধনীও এর প্রবর্তক এরশাদের সমালোচনা করা হয়। তবে জনসাধারণের মধ্যে অনেকেই এর সমর্থন করতে ও পারে যেমন: প্রথম আলো পত্রিকায় ২৮ আগস্ট ২০১০ এ ব্যরিস্টার মওদুধ আহমেদ বলেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ৭ম সংশোধনীর প্রয়োজনীয়তা ছিল। কিন্তু সকল সংখ্যালগিষ্ঠের মতামত গণমাধ্যমে তেমন উঠে আসে নি, ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদের এ চুক্তি ছাড়া কেউ ৭ম সংশোধনী বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের সমালোচনা গণমাধ্যমে এভাবে করে নি। তবে ব্লাগে অনেকেই সপ্তম সংশোধনীকে যথার্থ বলে দাবি করেন, কিন্তু তাদের মন্তব্য প্রতিবেদন মূল ধারার গণমাধ্যমে ওঠে আসে না। আবার অনেকে প্রত্যক্ষভাবে এমন সমালোচনায় জড়াতে চান না কারণ বর্তমান সরকার ও রাজনৈতিক অবস্থা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সামরিক শাসনের বৈধতা প্রদানের বিরোধীতা করেন এবং হাইকের্টের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ের সমর্থন করেন।
সপ্তম সংশোধনীর মিডিয়া কভারেজ ও গণমাধ্যম নির্ভরতা তত্ত্ব ঃ
গববষারহ উব. ঋষবঁৎ ও ঝধহফৎধ ও. ইধষষ জড়শবধপয ‘তাঁদের ঞযবড়ৎরবং ড়ভ গধংং পড়সসঁহরপধঃরড়হ’ বইতে সমাজের বিভিন্ন ুচুটডম এর মধ্যে যে বা¯Íব সম্পর্ক রয়েছে তাঁর আলোক গবফরধ উবঢ়বহফবহপু ঞযবড়ৎু- র প্রবর্তন করেন। এ তত্ত্বে বলা হয় দর্শক- শ্রোতা সামাজিক সিস্টেমের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে আলাদাভাবে মিডিয়া দ্বারা প্রভাবিত হয় না। বরং আমরা মিডিয়া কোন না কোন সামাজিক সিষ্টেমের বৃত্তে আবদ্ধ। আধুনিক সমাজের অন্যতম সিষ্টেম হিসেবে গণমাধ্যমের সাথে গোষ্ঠি, সংগঠন ও অন্যান্য সামাজিক সিষ্টেমের সম্পর্ক রয়েছে। ব্যক্তি সমাজ ও বিভিন্ন সংগঠনকে তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য মিডিয়ার উপর নির্ভরশীল হতে হয়।
তবে এর নির্ভরশীলতা একমুখী নয় বরং দ্বিমুখী।
গণমাধ্যম ব্যবহারেক অন্যতম প্রধান কারণ কোন কিছু বুঝতে পারা। ব্যক্তি সপ্তম সংশোধনী সম্পর্কে হাইকোর্টের রায় ও সরকারের অবস্থা বোঝার জন্য গণমাধ্যমের উপর নির্ভর করে। যেমন: ২৬ আগষ্টে প্রথম আলো সহ সকল সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলে সপ্তম সংশোধনীকে অবৈধ ও অসংবিধানিক বলে হাইকোর্টের রায় প্রচারের পর সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য আমরা গণমাধ্যমের দ্বারস্থ হই। ফলে এ বিষয়ে আমাদের একটি ধারণা লাভের জন্যও মানুষ গণমাধ্যমের উপর নির্ভর করে।
আর এক্ষেত্রে আমাদের কাছে যা বেশি বিশ্বাসযোগ্য তাকেই আমরা বেছে নেই। এর কারণে সপ্তম সংশোধনী ও এর বর্তমান অবস্থঅ সম্পর্কে জানার জন্য আমি প্রথম আলো ও দৈনিক যুগান্তরকে বেছে নিয়েছি।
রাজনৈতিক সিষ্টেম বিভিন্ন ধরনের কর্মকান্ডের জন্য মিডিয়ার উপর নির্ভরশীল আবার মিডিয়াও তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য রাজনৈতিক সিষ্টেমের উপর নির্ভরশীল। রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো জনমত তৈরিতে গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে; এ কারণে বেশির ভাগ গণমাধ্যমে ৭ম সংশোধনী বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের সমালোচনায় কোন প্রতিবেদন আসে নি আর ‘দৈনিক জনকণ্ঠে’- রায়ের পক্ষে ডিসেম্বরে প্রথম পাতায় চারটি সংবাদ আসে।
সপ্তম সংশোধনীর মিডিয়া কভারেজ ও ংবসরড়ঃরপং
ঝবসরড়ঃরপং এর মূল বিষয় হলো ংরমহ, কোন প্রতীক এবং তার অর্থ, তার উপর কিভাবে অর্থ আরোপিত হয়, কিভাবে ব্যক্তি অর্থকে ফবপড়ফব করে।
এবং কিভাবে অর্থের ভিন্নতা দেখা দেয় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করে ংবসরড়ঃরপং। গনমাধ্যম সবসময় ংবসরড়ঃরপং ব্যবহার করে আমাদের বসড়ঃরড়হং কে জাগিয়ে তোলে ও পুজিপতিদের স্বার্থ রক্ষায় সাহায্য করে।
গণমাধ্যম বিশেষ করে পত্রিকায় পাতায় ৭ম সংশোধনী ও এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায় নিয়ে সংবাদ ও প্রতিবেদন প্রকাশের সময় দৈনিক প্রথম আলো ২৭ আগস্ট ২০১০, ২৮ আগস্ট ২০১০, ৩০ ডিসেম্বর ২০১০; দৈনিক ইত্তেফাকের ২৮ আগস্ট-২০১০, এ এরশাদের কার্টুন চিত্রের পাশাপাশি এ পত্রিকাসহ অন্যান্য পত্রপত্রিকা ও টিভি নিউজে হাইকোর্টের চিত্র দেখানো হয়, যা জেনারেল এরশাদ ও সপ্তম সংশোধনী বিষয়ে আমাদের মাঝে একটি নেতিবাচক ধারণার উদ্ভব ঘটায়। এছাড়া এ বিষয়ে লীড নিউজ করার সময় লাল অক্ষর ব্যবহার করাও একটি প্রতীক বহন করে। যার দরুন সপ্তম সংশোধনী ও জেনারেল এরশাদকে আমাদের জন্য বিপদজনক বলে মনে হতেও পারে।
আর আমার কাছে ৭ম সংশোদনী নিয়ে পত্রিকার এমন মেকআপ এমন নেতিবাচক অর্থই তৈরি করেছে।
সপ্তম সংশোধনীর মিডিয়া কভারেজ ও ব্যবহার ও তুষ্টি তত্ত্ব ঃ
অঁফরবহপব গণমাধ্যমকে কিভাবে ব্যবহার করি তার আলোকে ব্যবহার ও তুষ্টি তত্ত্বের উদ্ভব হয়। এ তত্ত্বে দেখানো হয় মানুষ গণমাধ্যম ব্যবহার করে আর চাহিদা ও প্রয়োজন পূরণ করে তুষ্টি অর্জন করে। এই চাহিদাগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্ঞান ও তথ্য অর্জন, বিনোদন লাভ, যোগাযোগ স্থাপন, সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা লাভ, অভিজ্ঞতা অর্জন।
সপ্তম সংশোধনী বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদগুলো আমাদের নতুন তথ্য দেয়, রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ধারণা দেয় আর আমাদের নতুন কিছু অভিজ্ঞতা দিয়ে জ্ঞান সমৃদ্ধ করে এভাবে সচেতন নাগরিক গণমাধ্যম ব্যবহার করে তুষ্টি অর্জন করে।
আমি পত্রিকা পড়ে সপ্তম সংশোধনী ও এ বিষয়ে বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তথ্য পেয়ে সন্তুষ্টি অর্জন করেছি।
পর্যালোচনা ঃ
সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী নিয়ে হাইকোর্টের রায় বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যু। তাই এটি গণমাধ্যমের জন্য ও একটি উল্লেখযোগ্য -----। সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে সপ্তম সংশোধনীকে অবৈধ এবং জাতির জন্য এক কলঙ্কময় অধ্যায় বলে উপস্থাপন করা হয়। আর এ বিষয়ে ২৯ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হাইকোর্টের পূর্ণঙ্গ রায়ের যথার্থতা ব্যখ্যা করা হয়।
গণমাধ্যমে সপ্তম সংশোধনীর মূল নায়ক তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এরশাদের সমালোচনা করতে দেখা গেছে। প্রথম আলো পত্রিকায় ১০ আগস্ট জানুয়ারি ২০১১ তে সম্পাদকীয় পাতায় প্রকাশিত ‘সংসদনেত্রী, শকুন সহোদর ও সপ্তম সংশোধনী শীর্ষক প্রতিবেদন সহ সোহরাব হাসান কর্তৃক লিখিত ‘পতিত’ ও ‘অতীত’ শাসকের জবানবন্দী; প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের ‘এরশাদের শেষ ষড়যন্ত্র’ প্রতিবেদনগুলোতে সেনা প্রধান আর সেনাশাসক হিসেবে তার স্বৈরতান্ত্রিক কার্যক্রম, অপকর্ম আর দুর্নীতিগুলোকে তুলে ধরেছে আর এমন প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমাদের গণমাধ্যমগুলো সপ্তম সংশোধনী বাতিল নিয়ে উদ্ভুদ সংশয়কে আড়াল করার চেষ্ট করছে। তাই পত্রিকায় প্রকাশিত জরিপগুলো কোনটিই সপ্তম সংশোধনী কখন বাংলাদেশের সংবিধান থেকে বাদ যাবে আদ্যো যাবে কিনা এই বিষয়ে করা হয় নি। অর্থাৎ আমাদের গণমাধ্যমে এরশাদ ও তার কর্মকান্ডের বিপক্ষে একটি জনমত তৈরির চেষ্টা করছে, সপ্তম সংশোধনীর বিপক্ষে নয়। মূলধারার দৈনিকগুলো পড়েই আমার মাঝে এমন ধারণার জন্ম হয়েছে।
অর্থাৎ মিডিয়ার এজেন্ডা হলো এরশাদের সমালোচনা ও তার বিরুদ্ধে জনমত গঠন আর জরিপ ও ব্লগের লেখাগুলো পড়ে দেখা যায় জনগণ এরশাদের বিচার হবে কিনা, কোন আইনে তার বিচার হবে এ বিষয়ে বেশি আলোচনা করতে আগ্রহী; তারা ৭ম সংশেঅধনীটি কখনো সংবিধান থেকে মুছে ফেলা হবে এ নিয়ে প্রশ্ন করে না।
এখানে দেয়া যাচ্ছে সমাজের একটি শ্রেণী ‘সয়বিধান সংশোধন’ নামক সংস্কৃতির মাধ্যমে সমাজে তাদের ভাবাদর্শের প্রয়োগ করছে আর আমরা ও ধীরে ধীরে গণমাধ্যমের দেখিয়ে দেয়া পথেই হাটছি।
শেষ কথন ঃ
আমাদের দেশের গণমাধ্যমে ৭ম সংশোধনী ও একে অবৈধ বলে ঘোষিত রায়টি তেমনভাবেই উপস্থাপিত হচ্ছে যেমনভাবে সপ্তম সংশেঅধনী নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত হচ্ছে। কিন্তু ভবিষ্যতে জাতিকে আবার নতুন কোন সামরিক শাসক ও শাসনের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য অবিলম্বে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান’ থেকে ৭ম সংশোধনীর শেষ চিহ্নটুকুও মুছে ফেলা উচিৎ আর এরশাদসহ সকল অবৈধ ক্ষমতাদখলকারীদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলে তাদের শা¯িÍর সম্মুখীন করা প্রয়োজন। তাই প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক উভয় গণমাধ্যমকে এ সংক্রান্ত সংবাদের ট্রিটমেন্ট দেবার ক্ষেত্রে আরও অনুসন্ধানী ও সচেতন হওয়া আবশ্যক।
সহায়ক সূত্র ঃ
১। বাংলা উইকিপিডিয়া
২। রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সিরাজুল ইসলাম
৩। দৈনিক প্রথম আলো ২০১০ সাল (আগস্ট-ডিসেম্বর)
৪। দৈনিক প্রথম আলো ২০১১, জানুয়ারি
৫।
দৈনিক যুগান্তর ২০১০ সাল (আগস্ট-ডিসেম্বর)
৬। অন্য দিগন্ত (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর, ২০১০)
৭। দৈনিক ইনকিলাব (২০১০, ডিসেম্বর)
৮। দৈনিক ইত্তেফাক (২০১০; আগস্ট ও ডিসেম্বর)
৯। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান
১০।
ইন্টারনেট
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।